Showing posts with label স্থানীয় সংবাদ. Show all posts
Showing posts with label স্থানীয় সংবাদ. Show all posts

Thursday, 14 April 2022

চন্দরপুরে গোলারখাল রোডের বেহাল দশা: গর্ত-কর্দমাক্তে দুর্ভোগ চরমে

চন্দরপুরে গোলারখাল রোডের বেহাল দশা: গর্ত-কর্দমাক্তে দুর্ভোগ চরমে


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরে গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। গ্রামের গোলারখাল সংলগ্ন রাস্তাটিতে ব্যাপক গর্ত আর কর্দমাক্তে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এতে যানবাহন, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের চলাচলে ব্যাপক দুর্গতি পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবী, দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়া এবং খাল খননকাজের অব্যবস্থাপনাই এই দুর্গতির কারণ। তারা জানান, স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানদের বারংবার প্রতিশ্রুতি থাকলেও উন্নয়নের মুখ দেখেনি রোডটি।


সরেজমিন দেখা যায়, গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া গোলারখাল সংলগ্ন এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় যাতায়াত অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। এছাড়া বিগত ২বছর পূর্বে খাল খনন কাজের অব্যবস্থাপনায় রাস্তাটি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়। অথচ এই দীর্ঘদিনেও রাস্তাটির মেরামতে কোনো উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্যকে এব্যাপারে বারবার অবহিত করা হলেও কার্যত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেন নি তিনি।

স্থানীয়রা জানান, বিগত (২০১৬) ইউপি নির্বাচনে এ রাস্তাটি পাকাকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ। অথচ এই দীর্ঘ ৬বছরেও রাস্তাটির প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটেনি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা গেছে।


রাস্তাটির ব্যাপারে কথা হলে ইউপি চেয়ারম্যান মস্তাব উদ্দিন কামাল জানান, আপাতত ইউনিয়ন পরিষদে রাস্তাটির সংস্কার কাজের কোনো বরাদ্দ নেই। তবে উপজেলা পরিষদে এ রাস্তাটির উন্নয়নকাজের প্রস্তাবনা দেয়া রয়েছে। সেখান থেকে শীগ্রই তা পাস হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

Friday, 25 March 2022

গোলাপগঞ্জের বানিগাজী থেকে ইয়াবাসহ ৩ যুবক আটক

গোলাপগঞ্জের বানিগাজী থেকে ইয়াবাসহ ৩ যুবক আটক


গোলাপগঞ্জের বানিগাজী গ্রাম থেকে ইয়াবা-সহ ৩ যুবককে আটক করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার (২৫ মার্চ) গভীর রাতে বানিগাজী কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশ থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৩পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া তাদের নিকট আরোও ইয়াবা ছিলো, যা তারা কৌশলে অন্যত্র ফেলে দেয় বলেও জানানো হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, গোলাপগঞ্জের বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বানিগাজী গ্রামের হাজী মোঃ ফারুক উদ্দিনের পুত্র আতাউল কবির রুমন (২৩), চন্দরপুর গ্রামের মরহুম জিলাল উদ্দিনের পুত্র মোহাম্মদ আলী কাজল, বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের সদরপুর নালগ্রামের মরহুম পংকি মিয়ার পুত্র সাইদুর রহমান (২৭)।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত ৩ টার দিকে এস.আই পার্থ সারথী দাসের নেতৃত্বে ওই ৩ যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন এ.এস.আই শাহী্নুল ইসলাম, পুলিশ সদস্য মুর্শালিন, শায়হান, আনোয়ার হোসেন বাবলু ও আলী আহসান।

আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এস.আই পার্থ সারথী দাস।

Tuesday, 22 March 2022

বানিগাজীতে মোহাম্মদ নুরুজ আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

বানিগাজীতে মোহাম্মদ নুরুজ আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত


গোলাপগঞ্জের বানিগাজীতে মরহুম মোহাম্মদ নুরুজ আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। মরহুম মোহাম্মদ নুরুজ আলীর পুত্র মরহুম ডাঃ আব্দুল মতিন এবং ডাঃ আব্দুল মতলিবের বাড়িতে সোমবার (২১ মার্চ) দিনব্যাপী এ মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

ফ্রি এ মেডিকেল ক্যাম্পে আগত ৫ শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে ব্যবস্থাপত্র এবং ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়।

এসময় চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন সিলেট মা ও শিশু হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃ ফয়ছল মাহমুদ (এম.বি.বি.এস), সিলেট আল হারামাইন হসপিটালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আলেয়া ফেরদৌস নিপা (গাইনি বিভাগ), সিলেট নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহনেওয়াজ মাহমুদ সৌরভ (এম.বি.বি.এস, মেডিসিন ও কার্ডিওলজি বিভাগে অভিজ্ঞ) এবং সিলেট মা ও শিশু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহরিয়ার মাহমুদ সাগর (এম.বি.বি.এস)।

এছাড়া মরহুম মোহাম্মদ নুরুজ আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রতি মাসের শেষ শুক্রবার স্থানীয় চন্দরপুর বাজারের শাপলা ফার্মেসিতে ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিক অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে রোগীগণ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারবেন বলেও ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

Saturday, 26 February 2022

চন্দরপুরে ২ সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার: হত্যা, নাকি আত্মহত্যা?

চন্দরপুরে ২ সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার: হত্যা, নাকি আত্মহত্যা?


বিশেষ প্রতিবেদনঃ গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরে দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তৈরি হয়েছে রহস্যের ধুম্রজাল। গতকাল (শুক্রবার) রাত ৮টার দিকে শিউলী বেগম নামের ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। সে চন্দরপুর গ্রামের আমকোনী বাড়ির ইকবাল হোসেনের স্ত্রী। তাদের দুটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান রয়েছে।

শিউলী বেগমের পিত্রালয়ও একই এলাকায়। সে লামা-চন্দরপুর গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে।

দুই সন্তানের ওই জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি হত্যা? নাকি আত্মহত্যা? এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মনে।

ইকবাল হোসেনের পরিবার ঘটনাটি আত্মহত্যা দাবী করলেও বিপরীত দাবী জানিয়েছেন শিউলী বেগমের পরিবার। তাদের দাবী পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে শিউলী বেগমের নিথর দেহ।


স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, শিউলী বেগম ও ইকবাল হোসেনের মাঝে পারিবারিক কলহ ছিলো। এমনকি তা তালাক পর্যন্ত গড়ায়। তালাকের ঘটনায় প্রায় দুই মাস শিউলী বেগম তার পিত্রালয়ে ছিলেন। পরবর্তীতে উভয় পরিবার, চেয়ারম্যান-মেম্বার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করেন, এমনকি হাসিমুখে গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শিউলী বেগম তার স্বামীর বাড়িতে ফিরেন। সালিশ-বৈঠকে শিউলী বেগম চেয়ারম্যান-মেম্বারগণকে স্বামীর বাড়িতে ফেরার পূর্ণ অনুমতিও দিয়েছিলেন। অথচ, স্বামীর বাড়ি ফেরার এক সপ্তাহের মাথায় (২৫ ফেব্রুয়ারি) রহস্য ঘেরা ঝুলন্ত লাশ হলেন শিউলী বেগম(২৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে শিউলী বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এসময় শিউলী বেগমের নিথর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো। তবে দু'পা বিছানায় লেপ্টে থাকায় সন্দেহের উদ্রেক দেখা দিয়েছে। এছাড়া শিউলী বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন ও দেবর রাজন আহমদ ঘটনার সময় বাড়িতে থাকলেও পুলিশের আগমন এবং লাশ উদ্ধারের পূর্বে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে রহস্য ঘনীভূত হয়।

এদিকে ইকবাল হোসেনের পরিবারের দাবী, ইকবাল গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসার জন্য বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজার গিয়েছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু পূর্বে সে বাড়িতে ফিরে। তবে ঠিক কি কারণে ইকবাল হোসেন ও রাজন আহমদ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেন তার সদুত্তর মিলেনি।

পরিবার সূত্র আরোও জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু পূর্বে ইকবাল হোসেন বাড়িতে আসলে শিউলী বেগমকে তার বন্ধ কক্ষে ডাকাডাকি করেন। এসময় শিউলী বেগম ঘুমিয়ে আছেন মনে করে ইকবাল আবারও বাড়ির বাইরে চলে যান। পরবর্তীতে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘরের ভেতর শিউলী বেগমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। এসময় আশপাশের লোক জড়ো হলে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা? তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসলে বলা যাবে না। লাশের অবস্থা দেখে এটাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে করছেন তিনি। তবে ময়না তদন্ত শেষেই ঘটনার সত্যতা জানা যাবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এঘটনায় শিউলী বেগমের পিতৃ পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

তবে স্থানীয় এলাকাবাসীর মনে রয়েছে সংশয়। ঘটনাটি হত্যা? নাকি আত্মহত্যা? এ প্রশ্নের সঠিক খোঁজ পেতে প্রশাসনের সর্বাত্মক তৎপরতা কামনা করেন তারা। তবে এ পর্যন্ত ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষাই করতে হচ্ছে সবাইকে।

আরোও পড়ুনঃ

চন্দরপুরে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হওয়া শিউলীর দাফন সম্পন্ন

চন্দরপুরে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হওয়া শিউলীর দাফন সম্পন্ন


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা সেই শিউলী বেগমের জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাদ সন্ধ্যায় লামা-চন্দরপুর শাহী ঈদগাহ ময়দানে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এর আগে ময়না তদন্ত শেষে শিউলী বেগমের মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার পিত্রালয়ে। তার পিতার বাড়ি একই এলাকার লামা-চন্দরপুর গ্রামে। সে লামা-চন্দরপুর গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে।

উল্লেখ্য, গতকাল (শুক্রবার) রাত ৮টার দিকে শিউলী বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। শিউলী বেগম(২৫) চন্দরপুর গ্রামের আমকোনী বাড়ির ইকবাল হোসেনের স্ত্রী। তাদের দুটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান রয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। ইকবাল হোসেনের পরিবার ঘটনাটি আত্মহত্যা দাবী করলেও বিপরীত দাবী জানিয়েছেন শিউলী বেগমের পরিবার। আর প্রত্যক্ষদর্শী-সহ এলাকাবাসী রয়েছেন রহস্যের বেড়াজালে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, শিউলী বেগম ও ইকবাল হোসেনের মাঝে পারিবারিক কলহ ছিলো। এমনকি তা তালাক পর্যন্ত গড়ায়। তালাকের ঘটনায় প্রায় দুই মাস শিউলী বেগম তার পিত্রালয়ে ছিলেন। পরবর্তীতে উভয় পরিবার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করলে গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শিউলী বেগম তার স্বামীর বাড়িতে ফিরেন। স্বামীর বাড়ি ফেরার এক সপ্তাহের মাথায় (২৫ ফেব্রুয়ারি) রহস্য ঘেরা ঝুলন্ত লাশ হলেন শিউলী বেগম(২৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে শিউলী বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এসময় শিউলী বেগমের নিথর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো। তবে দু'পা বিছানায় লেপ্টে থাকায় সন্দেহের উদ্রেক দেখা দিয়েছে। এছাড়া শিউলী বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন ও দেবর রাজন আহমদ ঘটনার সময় বাড়িতে থাকলেও পুলিশের আগমন এবং লাশ উদ্ধারের পূর্বে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে রহস্য ঘনীভূত হয়।

এদিকে ইকবাল হোসেনের পরিবারের দাবী, ইকবাল গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসার জন্য বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজার গিয়েছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু পূর্বে সে বাড়িতে ফিরে। তবে ঠিক কি কারণে ইকবাল হোসেন ও রাজন আহমদ পালিয়ে গেলেন তার সদুত্তর মিলেনি।

পরিবার সূত্র আরোও জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু পূর্বে ইকবাল হোসেন বাড়িতে আসলে শিউলী বেগমকে তার বন্ধ কক্ষে ডাকাডাকি করেন। এসময় শিউলী বেগম ঘুমিয়ে আছেন মনে করে ইকবাল আবারও বাড়ির বাইরে চলে যান। পরবর্তীতে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘরের ভেতর শিউলী বেগমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। এসময় আশপাশের লোক জড়ো হলে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।

তবে শিউলী বেগমের পরিবারের দাবী, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তারা।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, লাশের অবস্থা দেখে এটাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ময়না তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।