Showing posts with label সিলেট বিভাগ. Show all posts
Showing posts with label সিলেট বিভাগ. Show all posts

Thursday 30 November 2023

সিলেট বিভাগে তৃণমূল বিএনপির ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

সিলেট বিভাগে তৃণমূল বিএনপির ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ


আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সিলেট বিভাগে তৃণমূল বিএনপির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মোট ১৮ প্রার্থী। বুধবার (২৯ নভেম্বর) পর্যন্ত সিলেট বিভাগের ১৯ টি সংসদীয় আসনে ১৮ জন প্রার্থী দলটির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৃণমূল বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন ও মিডিয়া উইং চিফ সালাম মাহমুদ।

মিডিয়া উইং সুত্রে জানা যায়, সিলেট ১ আসনে হাফিজ মোঃ রইছ উদ্দিন, সিলেট ২ আসনে ড. এ এম খান, সিলেট ৩ আসনে আমিনুল ইসলাম ড্যানী, সিলেট ৪ আসনে আবুল হোসেন, সিলেট ৫ আসনে কায়সার আহমেদ কাউসার, কুতুব উদ্দিন শিকদার, সিলেট ৬ আসনে শমশের মুবিন চৌধুরী, সুনামগঞ্জ ১ আসনে মাওলানা আশরাফ আলী মাদানী, মো: রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ ৩ এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, সুনামগঞ্জ ৫ আবু সালেহ, মৌলভীবাজার ১ আসনে আনোয়ার হোসেন, মৌলভীবাজার ২ এম এম শাহীন, মৌলভীবাজার ৩ মিছবাহ উদ্দিন, মৌলভীবাজার ৪ কবির আহমদ বাবর, মোঃ মইনুর রশীদ চৌধুরী, হবিগঞ্জ ২ আসনে এডভোকেট খায়রুল আলম ও সাদিকুর মিয়া তালুকদার মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়ার তিনদিন পর তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা মারা যান। এরপর দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা। পরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর দলটিতে যোগ দিয়েই চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন শমসের মবিন চৌধুরী এবং মহাসচিবের দায়িত্ব পান তৈমূর আলম খন্দকার।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে। 

Sunday 8 January 2023

কুলাউড়া ট্রাজেডি : ‘অন্তিম শয়নে তারা’

কুলাউড়া ট্রাজেডি : ‘অন্তিম শয়নে তারা’



দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী রাজু মিয়া। তাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে আনতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন বোন-ভাই-ভাগ্নিসহ পরিবা রের বেশ কয়েকজন। হাস্যজ্জ্বল চেহারা নিয়ে উৎফুল্ল মনে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।

কিন্তু পথিমধ্যে থমকে যায় সকল স্বপ্ন। হাসিমুখ মলিন হয়ে নিমিষেই ঘটে যায় এক ট্রাজেডি। ট্রাক,মাইক্রোবাস ও পিকআপ ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে সেখানে প্রাণ হারান শিশুসহ ৫ ব্যক্তি। বলছিলাম ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুর নামক স্থানে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কথা।

হৃদয়বিদারক মর্মান্তিক দূর্ঘটনার পর সিলেটজুড়ে নেমেছে বিষাদ। উপজেলাজুড়ে বইছে শোকের মাতম। স্বজনদের আর্তনাদে নিঃস্তব্ধ হয়ে যায় গোটা এলাকা।

এদিকে শনিবার (৭ জানুয়ারি) বাদ আসর অশ্রুসিক্ত নয়নে জানাজা শেষে কুলাউড়া ও কমলগঞ্জে নিহতদের বাড়িতে তাদের দাফন করা হয়। অন্তিম শয়নে শেষ বিদায় জানাতে জানাযায় দুর-দুরান্ত থেকে হাজারো মানুষ উপস্থিত হন। এসময় শোকে স্তব্ধ দেখা যায় স্বজনদের।

জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মাদানগর গ্রামে প্রবাসী রাজুর ছোটভাই সিহাবের (১৩) জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। একই উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের গাড়িচালক সাদি রের (৩২) লাশও তার এলাকায় জানা জা শেষে দাফন করা হয়। বাকি তিনটি লা শ কমলগঞ্জের ভেড়ারচর গ্রামে দাফন করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালাম (৩২), তার স্ত্রী সাদিয়া (২১) ও তাদের শিশুসন্তান হাবিবা (২)। তারা প্রবাসী রাজুর ভগ্নীপতি, বোন ও ভাগ্নি।

এরআগে শনিবার (৭ জানুয়ারি) গভীর রাত আনুমানিক ২টায় ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুর নামক স্থানে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায় কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মাদানগর গ্রামের ক্বারী নুরুল হকের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী রাজু মিয়াকে আনতে পরিবারের ৮ সদস্য মাইক্রোবাসে করে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। 

Wednesday 11 August 2021

রেকর্ড ব্রেকঃ সিলেটে একদিনে ২২ মৃত্যু

রেকর্ড ব্রেকঃ সিলেটে একদিনে ২২ মৃত্যু



পেছনের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ২২ জনের।এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫৫৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় থেকে আজ বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে সিলেটজুড়ে করোনাক্রান্ত ২২ জন মারা গেছেন। তন্মধ্যে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ জনসহ সিলেট জেলাতেই মারা গেছেন ১৯ জন। হবিগঞ্জে ২ জন ও মৌলভীবাজারের একজনের মৃত্যু হয়েছে।

চব্বিশ ঘন্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর এটাই নতুন রেকর্ড। এর আগে গত ৩ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে ৪ আগস্ট সকাল ৮টার মধ্যে ২০ জন মারা গিয়েছিলেন সিলেটে।

সবমিলিয়ে সিলেট বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা এখন ৮৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৭ জনসহ সিলেট জেলাতে মারা গেছেন ৬৭৭ জন। সুনামগঞ্জের ৫৯ জন, মৌলভীবাজারের ৬৬ জন  ও হবিগঞ্জের ৪২ জন মারা গেছেন।

এদিকে, সর্বশেষ চব্বিশ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে ৫৫৭ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ১৯১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে তাদেরকে শনাক্ত করা হয়। শনাক্তের হার ২৯.০৬ ভাগ। শনাক্তদের মধ্যে সিলেট জেলায় ৩১৯ জন, সুনামগঞ্জের ৬৩ জন, মৌলভীবাজারের ১১৪ জন ও হবিগঞ্জের ৬১ জন রয়েছেন।

তাদের নিয়ে বিভাগে করোনাক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪৭ হাজার ১১ জন। তন্মধ্যে ওসমানী হাসপাতালে ৩৯১১ জনসহ সিলেট জেলায় শনাক্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ১২২ জন। শনাক্তদের মধ্যে সুনামগঞ্জের ৫ হাজার ৪৭৫ জন, মৌলভীবাজারের ৬ হাজার ৭৩০ জন ও হবিগঞ্জের ৫ হাজার ৬৮৪ জন রয়েছেন।

সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, সর্বশেষ চব্বিশ ঘন্টায় বিভাগে ৭১৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে ৪৬৯ জন করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Tuesday 10 August 2021

সিলেটজুড়ে গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি

সিলেটজুড়ে গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশব্যাপী গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখার ফলে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর থেকে সিলেটেও গ্যাসের নতুন সংযোগ বন্ধ রয়েছে। জালালাবাদ গ্যাসের অধীনস্থ এলাকা হয়েও সিলেটবাসী ওই সময় থেকে নতুন করে গ্যাস সংযোগ পাননি। সোমবার সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণার পর থেকে নতুন করে দাবি উঠেছে সিলেটবাসীর।

জকিগঞ্জের গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। সেখানে প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব। যার মূল্য হবে প্রায় ১২৭৬ কোটি টাকা। জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে এনার্জি সিকিউরিটি: মডার্ন কনটেক্সট, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে গ্যাসক্ষেত্র সন্ধানের তথ্য জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।


এ ঘোষণার পর থেকে সিলেটে সচেতন মহলের মাঝে নতুন করে গ্যাস সংযোগ চালুর দাবি উঠে। তারা বলছেন, সিলেট জালালাবাদ গ্যাস এলাকাধীন থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন থেকে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে, তাই অনতিবিলম্বে সিলেটে সর্বত্র গ্যাসের আওতাধীন করার দাবি জানান তারা।

‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ সিলেটের যুগ্ম আহ্বায়ক কমরেড আবু জাফর সিলেট প্রতিদিনকে বলেছেন, সিলেটে অযৌক্তিক কারণে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। গ্যাস সিলেটে উৎপাদন হয়, অথচ সিলেটের মানুষ গ্যাস পাচ্ছেন না। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে মূলত সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থে। আমরা গ্যাস সংযোগ বন্ধের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের শুরু থেকে প্রতিবাদ করে আসছি। বিগত সংসদ নির্বাচনে শাসক দলের অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন গ্যাস সংযোগের। কিন্তু এখন তারা ভুলে গেছেন। জকিগঞ্জের গ্যাসষ্কেত্র আবিষ্কার হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা সিলেটসহ সর্বত্র আবার আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ চালু হবে।

‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ সিলেটের আহ্বায়ক ধীরেন সিংহ সিলেট প্রতিদিনকে বলেন, গ্যাস প্রাকৃতিক সম্পদ, এর মালিক জনগণ। কিন্তু সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে সিলেটে দীর্ঘদিন গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। অনতিবিলম্বে তিনি, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সিলেটের সর্বত্র গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জোর দাবি জানান।


নাগরিক জোট সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী সিলেট প্রতিদিনকে বলেন, সিলেট জালালাবাদ গ্যাসের আওতাধীন এলাকা হওয়া স্বত্ত্বেও গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। কতিপয় লোকের স্বার্থের কারনে সিলেটবাসীকে তাদের ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।জকিগঞ্জে দেশের ২৮তম গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জোর দাবি- সিলেটের সর্বত্র যেন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী সিলেট প্রতিদিনকে বলেছেন, জকিগঞ্জে গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া সিলেট সহ সারা দেশের জন্য সুখবর। আমাদের দাবি- আগে সিলেট বিভাগের সকল জায়গায় গ্যাস সংযোগ চালু করা হোক। এরপর দেশের যেকোন জায়গায় গ্যাস দেওয়া হোক।‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ নেতাদের দাবি- সিলেট অঞ্চলে নতুন গ্যাস-সংযোগ বন্ধ রাখার আদেশকে ‘বায়বীয়’। এর কারণ সম্পর্কে নেতারা বলেন, লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের প্রভাবে বায়বীয় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে শুধু জনভোগান্তি নয়, সরকারও রাজস্ব খাত থেকে কোটি কোটি টাকা বঞ্চিত হচ্ছে।


জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩ জানুয়ারি এক আদেশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জালালাবাদ গ্যাসের অধীন এলাকা ছাড়া অনুমোদন সাপেক্ষে গ্যাসের নতুন সংযোগ দেওয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়। এরপর সারা দেশে গ্যাস-সংযোগ বন্ধ থাকলেও সিলেটে চালু ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালের ৮ জুলাই আরেকটি নির্দেশনায় জালালাবাদ গ্যাসকে একইভাবে সারা দেশের সঙ্গে নতুন সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত কমিটির অনুমোদন নেওয়ার অফিস আদেশ জারি হয়।

এরপর ৩ নভেম্বর থেকে সিলেটে নতুন সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।এ অবস্থায় ২২ ডিসেম্বর সাম্যবাদী দল সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক ধীরেন সিংহকে আহ্বায়ক করে ‘গ্যাস-সংযোগ বন্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন’ গঠন করা হয়। সিলেটের প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতাদের ওই কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়।

৬ জানুয়ারি তাদের প্রথম সভায় ১০ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলনের পক্ষে ১০ দিনের টানা গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু এতে কোন ফলপ্রসু হয়নি।এদিকে সোমবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন করতে পারব। যেখান থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করতে পারব। যার মূল্য প্রায় এক হাজার ২৭৬ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, জকিগঞ্জে আমরা ইতোমধ্যে প্রায় ৬৮ পিসিএফ (প্রতি বর্গ ইঞ্চি) গ্যাসের সন্ধান আমরা পেয়েছি। এরপর থেকেই সিলেটবাসীর মনে নতুন করে গ্যাস সংযোগের আশা জাগে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বাপেক্সকে ধন্যবাদ জানাই, তারা দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করতে পেরেছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমি ধন্যবাদ জানাই। সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে জ্বালানি বিভাগের যে টিম এই কাজ করেছে তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। জকিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামে সন্ধান পাওয়া এটি দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র।

বাপেক্স বলছে, এটি থেকে উত্তোলনযোগ্য ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে। সেখান থেকে গ্রিডে দৈনিক ১০ মিলিয়ন যুক্ত হবে। আর ১০ থেকে ১২ বছর গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে।এর আগে সিলেটের জকিগঞ্জে অনুসন্ধান কূপে দারুণভাবে সফলতার আলামত দেখে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)।

গত ১৫ জুন সকালে ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় রাষ্ট্রীয় এ কম্পানিটি।কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চি) আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের অধিক। প্রথমত একটি স্তরের টেস্ট চলমান। কূপটিতে মোট ৪টি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বাপেক্স। নতুন এই ফিল্ডটি থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে বিয়ানীবাজার ও ৪৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোলাপগঞ্জ।


বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী ওই সময় গণমাধ্যমকে বলেন, এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা ভালো কিছু আশা করছি, অনেক সময় পকেট থাকতে পারে। তাই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, ঘণ্টা দুয়েক পর্যবেক্ষণের পর বলতে পারব। তার আগে বললে সেটি সঠিক না-ও হতে পারে।

এর আগে একটি সেমিনারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমান ওই ফিল্ডটি সম্পর্কে বলেছিলেন, আমরা নতুন একটি ফিল্ডে সফল হতে চলেছি। সেখানে কূপের প্রেসার ৬০ হাজারের অধিক রয়েছে। পরীক্ষা চলছে, এটি আমাদের জন্য দারুণ সুখবর হতে পারে।

আশা করছি, খুব শিগগিরই ভালো খবর দিতে পারব।বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরো ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুদ। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে।সে হিসেবে প্রমাণিত মজুদ অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ, আর সম্ভাব্য মজুদ রয়েছে আরো ৭ টিসিএফের মতো।১১৩টি কূপ দিয়ে প্রতিবছরে উত্তোলিত হচ্ছে প্রায় ১ টিসিএফের মতো। এর মধ্যে দেশীয় কম্পানির ৭০টি কূপের (দৈনিক) ১ হাজার ১৪৫ এমএমসিএফডি, আইওসির ৪৫টি কূপের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ৬১৫ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট)। দৈনিক কমবেশি ২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে।

গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলও এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে।বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত জুনে গণমাধ্যমে বলেন, ভালো কিছু সম্ভাবনা দেখছি। হয়তো বড় মজুদ হবে না। আমরা আরো বেশ কিছু গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি।

সৌজন্যেঃ sylhetprothidin24.com

Tuesday 3 August 2021

সিলেটে আরোও ৪৩৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত

সিলেটে আরোও ৪৩৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত



সিলেটে নতুন করে আরোও ৪৩৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাব এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তাদের দেহে করোনা পজিটিভ আসে।

এরমধ্যে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৮১ জনের দেহে এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫৮ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।