Showing posts with label শোক সংবাদ. Show all posts
Showing posts with label শোক সংবাদ. Show all posts

Sunday 18 June 2023

সাংবাদিক চেরাগ আলীর মৃত্যুতে গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি শোক

সাংবাদিক চেরাগ আলীর মৃত্যুতে গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি শোক


গোলাপগঞ্জ উপজেলার অন্যতম জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক  দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার গোলাপগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি চেরাগ আলী আর নেই। ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি নেতৃবৃন্দ। 

 শনিবার (১৭জুন) সকাল ১০  টা ৩০ মিনিটের সময় ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিনিয়র এই সাংবাদিক ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে  শয্যাশায়ী ছিলেন।  মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা ও ৩ পুত্র সন্তানসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 

সাংবাদিক চেরাগ আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন গোলাপগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ খন্দকার বদরুল আলম, সহ-সভাপতি আব্দুল মুমিত রনি, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ফখরুল ইসলাম শাকিল, কোষাধ্যক্ষ জাবেদ মাহবুব, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, দপ্তর সম্পদক আব্দুল আজিজ বাবর, প্রচার সম্পাদক অলিউর রহমান তামিম, নির্বাহী সদস্য আফসার আহমদ, জাকারিয়া মোহাম্মদ, ডিএইচ মান্না। তারা এক শোক বার্তায় শোক সন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

Tuesday 3 May 2022

প্রাজ্ঞদীপ এ.এম.এ মুহিতের মৃত্যুতে সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য'র শোক

প্রাজ্ঞদীপ এ.এম.এ মুহিতের মৃত্যুতে সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য'র শোক


সিলেট ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী, ভাষাসৈনিক, প্রাজ্ঞপ্রদীপ আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মৃত্যুতে সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য-এর পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
 
আবুল মাল আব্দুল মুহিত মহান ভাষা আন্দোলনের আপোষহীন সৈনিক, বাংলাদেশ সরকারের একজন সফল অর্থমন্ত্রী, দক্ষ  অর্থনীতিবিদ, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ এবং গুণী ব্যাক্তি ছিলেন। অর্থনীতি, সমাজনীতি, প্রশাসন ইত্যাদি নিয়ে তাঁর গবেষণা ও নীরীক্ষা এবং লেখাসমূহ বহু যুগ পর্যন্ত আমাদের দেশ ও সমাজকে আলোর পথ দেখাবে। একজন দক্ষ কুটনীতিবিদ, পরিবেশবিদ হিসাবে তাঁর অবদান দেশ ও জাতির জন্য শিক্ষনীয় উদাহরণ হিসাবে গন্য হবে চিরকাল। ১৯৭১ সালে আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের পক্ষে তাঁর অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে।
 
তাঁর মৃত্যুতে সিলেটবাসী এবং গোটা জাতি একজন মহান ব্যাক্তিকে হারালো। তবে তিনি এবং তাঁর কর্মসমূহ যুগ যুগ ধরে জাতির জন্য প্রেরণার বিষয় হয়ে উজ্জ্বল আলো দেবে।
 
সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের পক্ষথেকে আমরা জনাব আবুল মাল আব্দুল মুহিতের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

-প্রেস বিজ্ঞপ্তি 

Sunday 1 May 2022

নিথর দেহে আপন নীড়ে ফিরলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত

নিথর দেহে আপন নীড়ে ফিরলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত


সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ তার জন্মস্থান সিলেটে পৌঁছেছে। শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে লাশবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুল্যান্সে তার মরদেহ নিজ বাসভবন সিলেট নগরীর ধোপাদীঘীর হাফিজ কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছায়। 

এ সময় আবুল মাল আবদুল মুহিতের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় হাফিজ কমপ্লেক্স ও তার আশপাশের এলাকায়।

আগামীকাল রোববার (১ মে) বাদ জোহর সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিতের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপরই পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত হবেন এই ভাষাসৈনিক। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, রোববার দুপুর ১২টায় আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেওয়া হবে। পরে দুপুর ২টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁর রায়নগরের ডেপুটি বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্ম নেওয়া মুহিত তার মা সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী ও বাবা আবু আহমদ আবদুল হাফিজের ১৪ সন্তানের মধ্যে ছিলেন তৃতীয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তার ছোট ভাই।

আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৫১ সালে সিলেটের এমসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন তিনি। পরের বছর একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। অংশ নিয়েছিলেন ভাষা আন্দোলনে। ছাত্রজীবনে সলিমুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

বিদেশে চাকরিরত অবস্থায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন তিনি। আর ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএ ডিগ্রি লাভ করেছিলেন।

১৯৫৬ সালে আবদুল মুহিত যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি)। পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব হিসেবে ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। অর্থনৈতিক পরামর্শক হিসেবে ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৎকালীন পাকিস্তান দূতাবাসে যোগদান করেছিলেন। ছিলেন পাকিস্তান কর্মপরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ও উপ-সচিব। ওয়াশিংটন দূতাবাসে কূটনীতিকের দায়িত্ব পালনের সময় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের জুনে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করেন।

১৯৭১ সালে গঠিত অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়াশিংটন দূতাবাসে ইকনমিক কাউন্সেলরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ওই সময়ে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 

পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে পরিকল্পনা কমিশনের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হন। এছাড়াও, ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিঃসম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুহিত।

১৯৮১ সালে আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছিলেন। এরপর তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি এবং উন্নয়ন বিভাগের একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছিলেন। আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন সংস্থা বা ইফাদেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।

১৯৮২-১৯৮৩ সালে এরশাদ সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছিলেনন মুহিত। পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), আইডিবি ও জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

আবুল মাল আবদুল মুহিত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহা ঐক্যজোটের মনোনয়নে সিলেট-১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৯ জানুয়ারি ৬ তারিখে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা ১০ বছর বাজেট উপস্থাপন করেছেন জাতীয় সংসদে।

২০২১ সালের ২৫ জুলাই আবুল মাল আবদুল মুহিত করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত মার্চের শুরুতে আবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন কিছু দিন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ১৪ মার্চ সিলেট ঘুরে আসেন। সিলেট সিটি করপোরেশন ১৬ মার্চ তাকে ‘গুণীশ্রেষ্ঠ সম্মাননা’ দেয়। 

Tuesday 8 February 2022

সহস্রাধিক মানুষের ঢলে আল্লামা হাবিবুর রহমানের শেষ বিদায়

সহস্রাধিক মানুষের ঢলে আল্লামা হাবিবুর রহমানের শেষ বিদায়

প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, ইছামতি কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ শায়খুল হাদিস আল্লামা হাবিবুর রহমানের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার সময় থানাবাজার সংলগ্ন উত্তর মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় বিপুল সংখক মুসল্লী অংশ নেন। 

জানাযায় ইমামতি করেন মাওলানা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী।

এর আগে, প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, ইছামতি কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ শায়খুল হাদিস আল্লামা হাবিবুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্নালিল্লাহি .. রাজিউন)। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জকিগঞ্জের বাড়িতে বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

সবার কাছে ‘মুহাদ্দিস ছাহেব’ নামে খ্যাত শাইখুল হাদীস আল্লামা হবিবুর রহমান জকিগঞ্জের রারাই গ্রামে ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এলাকার খ্যাতিমান আলিমে দীন মরহুম মাওলানা মুমতায আলী ও মাতা মরহুমা আমিনা খাতুন। ৭ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।

তিনি ইছামতি দারুল উলুম সিনিয়র মাদরাসায় অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিয়মতান্ত্রিকভাবে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর দীর্ঘ পরিশ্রম ও একান্ত প্রচেষ্টা ইছামতি মাদরাসা পূর্ব সিলেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। তাঁর একক প্রচেষ্টায় মাদরাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়। আলিম, ফাজিল ও কামিল ক্লাশের সরকারি মঞ্জুরি এবং স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ইছামতি মাদরাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি সৎপুর কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শায়খুল হাদিস ছিলেন।

অর্ধ শতাব্দীরও অধিককাল ধরে ইলমে হাদীসের খিদমতে নিয়োজিত এ মনীষী অধ্যাপনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে কুরআন-হাদীসের শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন মাহফিলে বয়ান পেশ করতেন।

Monday 7 February 2022

আল্লামা হাবিবুর রহমানের জানাজা মঙ্গলবার

আল্লামা হাবিবুর রহমানের জানাজা মঙ্গলবার



প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, ইছামতি কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ শায়খুল হাদিস আল্লামা হাবিবুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্নালিল্লাহি .. রাজিউন)। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জকিগঞ্জের বাড়িতে বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে, ৩ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন, গুণগ্রাহী এবং হাজার হাজার ছাত্র রেখে গেছেন।

মরহুমের জানাযা মঙ্গলবার বিকেল ৩টার সময় থানাবাজার সংলগ্ন উত্তর মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রখ্যাত আলেমের ইন্তেকালে জকিগঞ্জ তথা সিলেটে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সবার কাছে ‘মুহাদ্দিস ছাহেব’ নামে খ্যাত শাইখুল হাদীস আল্লামা হবিবুর রহমান জকিগঞ্জের রারাই গ্রামে ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা এলাকার খ্যাতিমান আলিমে দীন মরহুম মাওলানা মুমতায আলী ও মাতা মরহুমা আমিনা খাতুন। ৭ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।

তিনি ইছামতি দারুল উলুম সিনিয়র মাদরাসায় অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিয়মতান্ত্রিকভাবে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর দীর্ঘ পরিশ্রম ও একান্ত প্রচেষ্টা ইছামতি মাদরাসা পূর্ব সিলেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। তাঁর একক প্রচেষ্টায় মাদরাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়। আলিম, ফাজিল ও কামিল ক্লাশের সরকারি মঞ্জুরি এবং স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ইছামতি মাদরাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি সৎপুর কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শায়খুল হাদিস ছিলেন।

অর্ধ শতাব্দীরও অধিককাল ধরে ইলমে হাদীসের খিদমতে নিয়োজিত এ মনীষী অধ্যাপনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে কুরআন-হাদীসের শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন মাহফিলে বয়ান পেশ করতেন।