Showing posts with label শিক্ষাঙ্গন. Show all posts
Showing posts with label শিক্ষাঙ্গন. Show all posts

Monday, 28 November 2022

এসএসসির ফল প্রকাশ আগামীকালঃ অনলাইন/মেসেজ মাধ্যমে যেভাবে দেখবেন রেজাল্ট

এসএসসির ফল প্রকাশ আগামীকালঃ অনলাইন/মেসেজ মাধ্যমে যেভাবে দেখবেন রেজাল্ট


রাত পোহালেই ঘোষণা হবে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল। সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় পরীক্ষার ফল একযোগে স্ব স্ব কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। বোর্ডের ওয়েবসাইট, রেজাল্টের ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানের ফল জানা যাবে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে সব কেন্দ্রসচিব ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। করোনা ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।

এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখের বেশি। ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ১৬ লাখ।

ওয়েবসাইট থেকে ফল জানবেন যেভাবে:

নির্ধারিত রেজাল্টের ওয়েবসাইটে (http://www.educationboardresults.gov.bd) ভিজিট করে ফল জানা যাবে। এ ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নাম্বার, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার (Examination) নাম, বোর্ড ও বছর সিলেক্ট (Select) করে সাবমিটি বাটনে (Submit Button) ক্লিক করে ফল জানা যাবে।

আর শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের (www.dhakaeducationboard.gov.bd) ‘রেজাল্ট কর্নারে’ ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করতে হবে।

এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধানরা রেজাল্টের ওয়েবসাইটে (http://www.educationboardresults.gov.bd) রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনের মাধ্যমে ফল ডাউনলোড করতে পারবেন।

এসএমএসে ফল জানার উপায়:

মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফল পাওয়া যাবে। এর জন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ স্বরূপ: SSC DHA 123456 2022 লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।  মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের জন্য Dakhil লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণস্বরূপ: Dakhil MAD 123456 2022 পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। 

Sunday, 27 March 2022

রমজানে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট

রমজানে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট


২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (২৭ মার্চ) অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।

২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, অন্যবছর রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এবার ক্লাস চলবে। তবে ঈদের যে স্বাভাবিক ছুটি সেগুলো বহাল থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মনিষ চাকমা স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রমজান মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রাথমিকের ক্লাস শুরু হয়ে চলবে বেলা ৩টা পর্যন্ত। এর মধ্যে নামাজের বিরতি থাকবে ৩০ মিনিট।

অফিস আদেশে বলা হয়, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হলো।

এর আগে শনিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২০ রমজান পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

Monday, 21 February 2022

কাল থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

কাল থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

ফাইল ছবি

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি)। আগামীকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হচ্ছে।

তবে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কীভাবে চলবে এ বিষয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ২০ নির্দেশনা দিয়ে একটি আদেশ জারি করেন।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যে সকল শিক্ষার্থী কোডিড-১৯ টিকার ২য় ডোজ গ্রহণ করেছে সে সকল শিক্ষার্থী সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখসহ অন্যান্য স্থানে কোডিড-১৯ অতিমারি সম্পর্কিত সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে করণীয় বিষয়সমূহ ব্যানার বা অন্য কোনো উপায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।

৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথে সকল শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা ও তা পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করা।

৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন-ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে শিখন-শেখানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

৫. শিক্ষার্থীদের জন্য বিতরণকৃত অ্যাসাইনমেন্টসমূহের কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে।

৬. শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুটিন ইতোপূর্বে প্রেরিত নির্দেশনা মোতাবেক প্রণয়ন করতে হবে।

৭. শিক্ষার্থীদের ভিড় এড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের সবগুলো প্রবেশ-প্রস্থান মুখ ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা। যদি কেবল একটি প্রবেশ-প্রস্থান মুখ থাকে সেক্ষেত্রে একাধিক প্রবেশ-প্রস্থান মুখের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা।

৮. প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেণি কার্যক্রমে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করা।

৯.প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করবে এবং বাসা থেকে যাওয়া-আসা করবে সেই বিষয়ে তাদেরকে শিক্ষণীয় ও উদ্বুদ্ধকারী ব্রিফিং প্রদান করার ব্যবস্থা করা।

১০. প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ আইসোলেশন কক্ষ হিসেবে প্রস্তুত রাখা।

১১. প্রতিষ্ঠানের সকল ভবনের কক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি, ছাদ এবং আঙিনা যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করা।

১২. প্রতিষ্ঠানের সকল ওয়াশরুম নিয়মিত সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখা এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখা।

১৩. প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, অভিভাবকসহ অন্য কেউ প্রবেশ-অবস্থান-প্রস্থানের সময় সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করা।

১৪. প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী এবং অন্য কেউ সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করার বিষয়টি নিশ্চিত করা।

১৫. প্রতিষ্ঠানে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দ্বারা হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা।

১৬. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা। এক্ষেত্রে পারস্পরিক ৩ (তিন) ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করা।

১৭. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ, ড্রেন ও বাগান যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং কোথাও পানি জমে না থাকে তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা।

১৮. প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা নিরূপণ করা।

১৯. প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত করা।

২০. প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সঙ্গে সভা করে এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

প্রসঙ্গত, করোনা বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ আছে। এই ছুটি ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবার করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেড় বছর পর ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও চালু হয়। 

Thursday, 17 February 2022

অনলাইনেই চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান: শিক্ষামন্ত্রী

অনলাইনেই চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান: শিক্ষামন্ত্রী


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান অনলাইনে চলবে। আর ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আরও ১০ থেকে ১৪ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ব্রিফিংয়ে সব প্রতিষ্ঠানকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। এদিকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যাদের দুই ডোজ টিকা দেওয়া আছে, শুধু তারাই সরাসরি ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ম ডোজ টিকা পেয়েছেন এক কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ২২২ জন। আর দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৮ জন।

এর আগে বুধবার রাত ১০টার দিকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। 
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চালু করা হবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকে পাঠদান শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আরও দুই সপ্তাহ পর নেওয়া হবে।  বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের পাঠদানের সময়সূচি ঠিক করে নেবে। তবে ২২ তারিখ থেকেই শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চালু করতে পারবে।

করোনা পরিস্থিতিতে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখার নির্দেশ দেন দীপু মনি। বলেন, সব ক্ষেত্রে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিধিবিধান থাকবে।  

শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা টিকা নেননি, তাদের টিকা নিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

প্রাথমিকে ক্লাস শুরুর বিষয়ে তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি মনে করে ২২ তারিখের পর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া শুরু করবে। পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিকেও ক্লাস শুরুর মতো পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এখনও যে অবস্থা আছে তাতে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে নিয়ে আসছি না। আমরা আরেকটু অপেক্ষা করছি। কারণ তাদের তো টিকা দেওয়া হয়নি।  আমরা সপ্তাহ দুয়েক সর্বোচ্চ দেখব। আমরা আশা করছি সপ্তাহ দুয়েক পর সংক্রমণ কমে আসবে এবং আমরা তাদের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসতে পারব।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকে অর্থাৎ ১২ বছরের নিচে যারা তাদের টিকাদানের ব্যাপারেও একটা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়গুলো দেখছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে।  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার পর ১২ বছরের নিচের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।  

দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি সংক্রমণ কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বলছে করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। যুগান্তরকে বুধবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।

জাতীয় কমিটির পরামর্শ ছিল ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে শিশুদের নয়। ১২ বছর বা তার বেশি বয়সি শিশুরা যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছে, তাদের এখন স্কুলে যেতে কোনো বাধা নেই। 

বুধবার রাত ১০টায় জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

বৈঠক শেষে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা যুগান্তরকে বলেছিলেন, যেহেতু সংক্রমণ হার অনেকটা কমেছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বলেছি। কখন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে সেটি শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেবেন।

তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কোনো সুপারিশ দেওয়া হয়নি জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে।