Showing posts with label শিক্ষাঙ্গন. Show all posts
Showing posts with label শিক্ষাঙ্গন. Show all posts

Monday, 28 November 2022

এসএসসির ফল প্রকাশ আগামীকালঃ অনলাইন/মেসেজ মাধ্যমে যেভাবে দেখবেন রেজাল্ট

এসএসসির ফল প্রকাশ আগামীকালঃ অনলাইন/মেসেজ মাধ্যমে যেভাবে দেখবেন রেজাল্ট


রাত পোহালেই ঘোষণা হবে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল। সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় পরীক্ষার ফল একযোগে স্ব স্ব কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। বোর্ডের ওয়েবসাইট, রেজাল্টের ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানের ফল জানা যাবে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে সব কেন্দ্রসচিব ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। করোনা ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।

এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখের বেশি। ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ১৬ লাখ।

ওয়েবসাইট থেকে ফল জানবেন যেভাবে:

নির্ধারিত রেজাল্টের ওয়েবসাইটে (http://www.educationboardresults.gov.bd) ভিজিট করে ফল জানা যাবে। এ ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নাম্বার, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার (Examination) নাম, বোর্ড ও বছর সিলেক্ট (Select) করে সাবমিটি বাটনে (Submit Button) ক্লিক করে ফল জানা যাবে।

আর শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের (www.dhakaeducationboard.gov.bd) ‘রেজাল্ট কর্নারে’ ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করতে হবে।

এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধানরা রেজাল্টের ওয়েবসাইটে (http://www.educationboardresults.gov.bd) রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনের মাধ্যমে ফল ডাউনলোড করতে পারবেন।

এসএমএসে ফল জানার উপায়:

মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফল পাওয়া যাবে। এর জন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ স্বরূপ: SSC DHA 123456 2022 লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।  মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের জন্য Dakhil লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণস্বরূপ: Dakhil MAD 123456 2022 পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। 

Sunday, 27 March 2022

রমজানে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট

রমজানে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট


২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (২৭ মার্চ) অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।

২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, অন্যবছর রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এবার ক্লাস চলবে। তবে ঈদের যে স্বাভাবিক ছুটি সেগুলো বহাল থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মনিষ চাকমা স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রমজান মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রাথমিকের ক্লাস শুরু হয়ে চলবে বেলা ৩টা পর্যন্ত। এর মধ্যে নামাজের বিরতি থাকবে ৩০ মিনিট।

অফিস আদেশে বলা হয়, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হলো।

এর আগে শনিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২০ রমজান পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

Monday, 21 February 2022

কাল থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

কাল থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

ফাইল ছবি

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি)। আগামীকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হচ্ছে।

তবে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কীভাবে চলবে এ বিষয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ২০ নির্দেশনা দিয়ে একটি আদেশ জারি করেন।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যে সকল শিক্ষার্থী কোডিড-১৯ টিকার ২য় ডোজ গ্রহণ করেছে সে সকল শিক্ষার্থী সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখসহ অন্যান্য স্থানে কোডিড-১৯ অতিমারি সম্পর্কিত সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে করণীয় বিষয়সমূহ ব্যানার বা অন্য কোনো উপায়ে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।

৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথে সকল শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা ও তা পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করা।

৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন-ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে শিখন-শেখানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

৫. শিক্ষার্থীদের জন্য বিতরণকৃত অ্যাসাইনমেন্টসমূহের কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে।

৬. শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুটিন ইতোপূর্বে প্রেরিত নির্দেশনা মোতাবেক প্রণয়ন করতে হবে।

৭. শিক্ষার্থীদের ভিড় এড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের সবগুলো প্রবেশ-প্রস্থান মুখ ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা। যদি কেবল একটি প্রবেশ-প্রস্থান মুখ থাকে সেক্ষেত্রে একাধিক প্রবেশ-প্রস্থান মুখের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা।

৮. প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেণি কার্যক্রমে স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করা।

৯.প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করবে এবং বাসা থেকে যাওয়া-আসা করবে সেই বিষয়ে তাদেরকে শিক্ষণীয় ও উদ্বুদ্ধকারী ব্রিফিং প্রদান করার ব্যবস্থা করা।

১০. প্রতিষ্ঠানের একটি কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ আইসোলেশন কক্ষ হিসেবে প্রস্তুত রাখা।

১১. প্রতিষ্ঠানের সকল ভবনের কক্ষ, বারান্দা, সিঁড়ি, ছাদ এবং আঙিনা যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করা।

১২. প্রতিষ্ঠানের সকল ওয়াশরুম নিয়মিত সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখা এবং পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখা।

১৩. প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, অভিভাবকসহ অন্য কেউ প্রবেশ-অবস্থান-প্রস্থানের সময় সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করা।

১৪. প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী এবং অন্য কেউ সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করার বিষয়টি নিশ্চিত করা।

১৫. প্রতিষ্ঠানে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দ্বারা হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা।

১৬. শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা। এক্ষেত্রে পারস্পরিক ৩ (তিন) ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করা।

১৭. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ, ড্রেন ও বাগান যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং কোথাও পানি জমে না থাকে তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা।

১৮. প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা নিরূপণ করা।

১৯. প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত করা।

২০. প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সঙ্গে সভা করে এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

প্রসঙ্গত, করোনা বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ আছে। এই ছুটি ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবার করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেড় বছর পর ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও চালু হয়। 

Thursday, 17 February 2022

অনলাইনেই চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান: শিক্ষামন্ত্রী

অনলাইনেই চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান: শিক্ষামন্ত্রী


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান অনলাইনে চলবে। আর ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আরও ১০ থেকে ১৪ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ব্রিফিংয়ে সব প্রতিষ্ঠানকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। এদিকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যাদের দুই ডোজ টিকা দেওয়া আছে, শুধু তারাই সরাসরি ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ম ডোজ টিকা পেয়েছেন এক কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ২২২ জন। আর দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৮ জন।

এর আগে বুধবার রাত ১০টার দিকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। 
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চালু করা হবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকে পাঠদান শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আরও দুই সপ্তাহ পর নেওয়া হবে।  বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের পাঠদানের সময়সূচি ঠিক করে নেবে। তবে ২২ তারিখ থেকেই শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চালু করতে পারবে।

করোনা পরিস্থিতিতে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখার নির্দেশ দেন দীপু মনি। বলেন, সব ক্ষেত্রে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিধিবিধান থাকবে।  

শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা টিকা নেননি, তাদের টিকা নিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

প্রাথমিকে ক্লাস শুরুর বিষয়ে তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি মনে করে ২২ তারিখের পর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া শুরু করবে। পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিকেও ক্লাস শুরুর মতো পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এখনও যে অবস্থা আছে তাতে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে নিয়ে আসছি না। আমরা আরেকটু অপেক্ষা করছি। কারণ তাদের তো টিকা দেওয়া হয়নি।  আমরা সপ্তাহ দুয়েক সর্বোচ্চ দেখব। আমরা আশা করছি সপ্তাহ দুয়েক পর সংক্রমণ কমে আসবে এবং আমরা তাদের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসতে পারব।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকে অর্থাৎ ১২ বছরের নিচে যারা তাদের টিকাদানের ব্যাপারেও একটা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়গুলো দেখছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে।  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার পর ১২ বছরের নিচের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।  

দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি সংক্রমণ কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বলছে করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। যুগান্তরকে বুধবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।

জাতীয় কমিটির পরামর্শ ছিল ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে শিশুদের নয়। ১২ বছর বা তার বেশি বয়সি শিশুরা যারা দুই ডোজ টিকা নিয়েছে, তাদের এখন স্কুলে যেতে কোনো বাধা নেই। 

বুধবার রাত ১০টায় জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

বৈঠক শেষে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা যুগান্তরকে বলেছিলেন, যেহেতু সংক্রমণ হার অনেকটা কমেছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বলেছি। কখন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে সেটি শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেবেন।

তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কোনো সুপারিশ দেওয়া হয়নি জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে।    

Monday, 14 February 2022

শতভাগ পাসে আল-এমদাদ ডিগ্রি কলেজের অনন্য সাফল্য

শতভাগ পাসে আল-এমদাদ ডিগ্রি কলেজের অনন্য সাফল্য


এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্য বয়ে এনেছে গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা তীরবর্তী ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-এমদাদ ডিগ্রি কলেজ,চন্দরপুর। 

প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে মোট ১৫৮জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে ৬টি জিপিএ-৫ সহ ১৫৮জন পরীক্ষার্থীই কৃতিত্বের সহিত উত্তীর্ণ হয়েছেন।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছেন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগ থেকে মোট ২২জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ জন শিক্ষার্থী এবং অপর ১৭ জন শিক্ষার্থী A গ্রেড নিয়ে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল নিয়ে এসেছেন। এবং মানবিক বিভাগ থেকে ১১৭ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়ছেন ১জন। এছাড়া ১৯ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৮টি A গ্রেড-সহ সন্তোষজনক ফলাফল এসেছে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে।

সর্বোপরি শতভাগ পাসের হারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ সকল শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল আনতে পারে আমরা সর্বদাই সেদিকে লক্ষ্য রাখি। প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দও সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখেন। এবারের শতভাগ ফলাফলে আমরা সকলেই খুশি। ভবিষ্যতেও শতভাগ ফলাফলের সাথে জিপিএ-৫ বৃদ্ধি হবে, এমনটাই প্রত্যাশা রাখেন তিনি।

Friday, 12 November 2021

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা


সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী রোববার (১৪ নভেম্বর) শুরু হতে যাওয়া এই পরীক্ষায় অংশ নেবে মোট ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট নির্দেশনা সম্বলিত পরিপত্র প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে সকল পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কেউ নির্ধারিত সময়ের পর পরীক্ষাকেন্দ্রে আসলে রেজিস্ট্রারে নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে। বিলম্বে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রসচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করবেন।

পরিপত্র বলা হয়, কেন্দ্রসচিব ব্যতীত পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্রসচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট/কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) নিয়োগ দিতে হবে। ট্রেজারি/থানা/নিরাপত্তা হেফাজত থেকে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তার মনোনীত উপযুক্ত প্রতিনিধি ট্যাগ অফিসারসহ প্রশ্নপত্র গ্রহণ করে পুলিশ প্রহরায় কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট/কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার)-এর উপস্থিতি ব্যতীত প্রশ্ন বের করা যাবে না কিংবা বহন করা যাবে না।

ট্রেজারি/থানা/নিরাপত্তা হেফাজত থেকে পরীক্ষার কেন্দ্রে বহুমুখী নির্বাচনি প্রশ্নসহ রচনামূলক/সৃজনশীলের সকল প্রশ্ন সেটই নিতে হবে। সেট কোড পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে জানানো হবে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত সেট কোডে পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার), কেন্দ্র সচিব এবং পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতি ও সই বিধি অনুযায়ী প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে।

পরীক্ষা চলাকালীন এবং পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আগে বা পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ব্যতীত অন্যদের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশকারী অননুমোদিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

অনিবার্য কারণবশত কোনো পরীক্ষা বিলম্বে শুরু করতে হলে যত মিনিট পরে পরীক্ষা শুরু হবে, পরীক্ষার্থীদের সে সময় থেকে যথারীতি প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত নির্ধারিত সময় দিতে হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে ও প্রশ্ন পরিবহনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা একাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পরীক্ষা অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য পরীক্ষার্থীর সঙ্গে একজনের বেশি অভিভাবক আসতে পারবেন না। তাছাড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর জারি করা গাইড লাইনের নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।

পরিপত্রের আদেশ বাস্তবায়নে সকল বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Wednesday, 10 November 2021

জেএসসি-জেডিসিতে ‘অটো পাস’

জেএসসি-জেডিসিতে ‘অটো পাস’

চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষাও হবে না। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি এবং শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা-শেখানো কার্যক্রম বিবেচনায় ২০২১ সালের জেএসসি পরীক্ষা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বার্ষিক পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

২০২১ সালের জেএসসি পরীক্ষার্থীদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন করে এর ফলাফলের ভিত্তিতে বোর্ড থেকে উত্তীর্ণ সনদ দেওয়া হবে।

এজন্য আগামী ৬ থেকে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে জেএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করতে নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

এর আগে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলতি বছরের (২০২১) সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

Wednesday, 27 October 2021

এবার মাধ্যমিকে অংশ নেবে ২২ লাখ ২৭ হাজার শিক্ষার্থী

এবার মাধ্যমিকে অংশ নেবে ২২ লাখ ২৭ হাজার শিক্ষার্থী


করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ৯ মাস পিছিয়ে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার অংশ নিচ্ছে ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী।

বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগের ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ নভেম্বর থেকে মোট ৩ হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। ১৮ লাখ ৯৯৮ জন আট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি, ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৭ জন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল এবং ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীয় বসবে।

মহামারি পরিস্থিতির কারণে এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে কেবল তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেওয়া হবে। 

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আগেই জানিয়েছিলেন, বাংলা, ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়গুলোতে পরীক্ষা না নিয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।

Monday, 13 September 2021

২০২৩ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম

২০২৩ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আগামী ২০২৩ সাল থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে এইচএসসি পরীক্ষার নাম ও ধরনেও পরিবর্তন আসবে।

আগামী বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হবে। এক্ষেত্রে প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং শুরু হবে। আর প্রয়োগ শুরু হবে আগামী ২০২৩ সাল থেকে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যযাক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম বাস্তায়ন করা হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে যেসব পরিবর্তন আসবে


শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আগামীতে একাদশ ও দ্বাদশের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল মিলিয়ে এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হবে। এখন থেকে তিনটি পাবলিক পরীক্ষা হবে। দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি শেষে পরীক্ষায় বসবে শিক্ষার্থীরা। দশম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা এসএসসি এবং একাদশ ও দ্বাদশ সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল মিলিয়ে প্রকাশ করা হবে এইচএসসির ফল।

উঠে যাচ্ছে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আগামী ২০২৩ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন কারিকুলামে যে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে, তাতে থাকবে না পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা।বার্ষিক পরীক্ষা থাকছে না তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত

আগামীতে যে নতুন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে তাতে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো বার্ষিক পরীক্ষা হবে না।

কারিগরি শিক্ষায় প্রাধান্য

শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে কারিগরি শিক্ষাকে আরও বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে।


দশম শ্রেণি পর্যন্ত থাকছে না বিভাজন

নতুন শিক্ষাক্রমে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আর কোনো গ্রুপ বিভাজন অর্থাৎ বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শাখা থাকছে না। একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে এই বিভাজন শুরু হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাক্রমের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছেন। আগামী বছর থেকেই পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের পাইলটিং চলবে। এদিন সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Sunday, 12 September 2021

শিক্ষার্থীদের বেতন ও ইউনিফর্ম নিয়ে কড়াকড়ি না করার নির্দেশ

শিক্ষার্থীদের বেতন ও ইউনিফর্ম নিয়ে কড়াকড়ি না করার নির্দেশ



শিক্ষার্থীদের স্কুলের বেতন পরিশোধে অভিভাবকদের যেন চাপ দেওয়া না হয় স্কুল-কলেজগুলোকে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বেতন নিয়ে অভিভাবকদের যেন চাপ দেওয়া না হয়। করোনার এই সময়ে অনেকের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।


রোববার সকালে দেড় বছর পর স্কুল খোলার প্রথম দিনে রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরিদর্শনে এসে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অন্যান্য খরচ কমিয়ে আপনার সন্তানদের বেতন আগে পরিশোধ করতে পারেন। বেতনের টাকা কিন্তু খুব বেশি নয়।

এ সময় করোনা পরিস্থিতি ও ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় কোনো ব্যত্যয় বা অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ কময় আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছি।


এখন শুধু করোনা না ডেঙ্গুরও সিজন চলছে। ডেঙ্গু মশা কামড়ের সময়ই শিক্ষার্থীরা ক্লাসে থাকে। তাই তাদের ফুলহাতা জামা পরে আসার জন্য বলব। এ সময়টাতে শিক্ষার্থীদের স্কুল ইউনিফর্ম নিয়ে কড়াকড়ি না করাই ভালো। দীর্ঘ সময়ের বন্ধে অনেক শিক্ষার্থী ইউনিফর্ম থেকে বড় হয়ে গেছে। তিনি অভিভাবকদের সন্তানদের স্কুলে দিতে এসে গেটের সামনে ভিড় না করার অনুরোধ জানান এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে অভিভাবকদের সামাজিক তদারকি করারও আহ্বান জানান।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফিরেছে প্রাণের উচ্ছ্বাস!

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফিরেছে প্রাণের উচ্ছ্বাস!



মুখে মাস্ক, চোখে আনন্দের ঝিলিক। মনে উচ্ছ্বাস! অতি সংক্ষেপে এই হচ্ছে আজ সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র। এই আনন্দ নিজের অতি প্রিয় ক্যাম্পাসে ফেরার, আবারও ক্লাস করতে পারার।

শুধু যে শিক্ষার্থীদের মধ্যেই এই উচ্ছ্বাস বিরাজমান, তা নয়। বরঞ্চ শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ভাসছেন অন্যরকম এক আবেগে।

দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর আজ রোববার থেকে সিলেটসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গেল বছরের মার্চে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর গেল প্রায় এক সপ্তাহ ব্যস্ত সময় পার করেছেন সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা, স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা, করোনা বিষয়ক সচেতনতামূলক পোস্টার লাগানোসহ বিভিন্ন কাজে তারা ব্যস্ত ছিলেন।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া নিয়ে গেল শুক্রবার সিলেটে এসে জরুরি বৈঠক করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এছাড়া গতকাল শনিবার সিলেটে আসেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক। স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসনও একের পর এক বৈঠক করেছে।

আজ রোববার সিলেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস ঠের পাওয়া গেছে।

মুখে মাস্ক পরে সকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা হাতে ফুল নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন শিক্ষার্থীদের। তারা আসার পর ফুল দিয়ে বরণ করা হয় তাদেরকে। একইসাথে মাপা হয় তাদের শরীরের তাপমাত্রা। ব্যবস্থা ছিল হাত ধোয়ারও।

লাইন ধরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। শ্রেণিকক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদেরকে নতুন ড্রেস পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে দেখা গেছে। এমনকি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একই রঙের নতুন কাপড় পরিধান করতে দেখা গেছে।

সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শামীমা চৌধুরী বলছিলেন, ‘উন্মুখ হয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছে। সবার মধ্যে অন্যরকম এক উচ্ছ্বাসের আবহ। সরকারি সব নির্দেশনা মেনে আমরা কলেজ খুলেছি।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বায়োজিদ খান জানান, প্রাথমিকে ১৬টি নির্দেশনা মেনে ক্লাস চলবে। এ বিষয়ে সকল স্কুলের প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।


মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল মান্নান খান বলেন, ‘আজকের দিনটি অন্যরকম। এতো দিন শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করেছে। আজ থেকে সবাই সশরীরে ক্লাসে ফিরেছে। তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন সিলেবাস ও রুটিন করা হয়েছে।’

তিনি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে তদারকি থাকবে তাদের।

প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আপাতত স্বাস্থ্যবিধি মেনে থেকে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী, পঞ্চম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রতিদিন এবং প্রথম থেকে চতুর্থ ও ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেওয়া হবে।

চলতি বছরের শেষভাগে এসএসসি ও এইচএসসির পাশাপাশি পঞ্চমের প্রাথমিক সমাপনী, অষ্টমের জেএসসি-জেডিস এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

Tuesday, 31 August 2021

সশরীরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে

সশরীরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে



করোনার কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত থাকা পরীক্ষা আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সশরীরে শুরু হচ্ছে। পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সোমবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে চলমান বিভিন্ন পরীক্ষা গত মার্চ মাসে স্থগিত ঘোষণা করা হয়।  বিধিনিষেধ উঠে যাওয়া এবং টিকা কার্যক্রম সম্প্রসারণের পর সোমবার (৩০ আগস্ট) রাতে পরীক্ষার নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা গ্রহণ এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে দুই জন পরীক্ষার্থীর মাঝে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে (আসন বিন্যাসের নমুনা-১ অথবা আসন বিন্যাসের নমুনা-২ এর অনুরূপভাবে) আসন ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে। সব শিক্ষক, পরীক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী মাস্ক পরিধান করে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন। মাস্ক সঠিক নিয়মে পরতে হবে এবং মাস্ক ছাড়া কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীর পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সাময়িক মাস্ক খোলা যাবে।


বিজ্ঞপ্তিতে আরও নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের আগে হাত ধোয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সাবান এবং পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে।  প্রয়োজনে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৮ বছর ও তার বেশি বয়সী সবাইকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হচ্ছে। যেসব শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এখনো টিকা গ্রহণ করেননি, তাদের টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। 

এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা সব স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার জোরাল নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

Tuesday, 24 August 2021

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে



সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তবে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসার আগেই শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেয় মাউশি।

সারাদেশে সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পরিদর্শনে যাবে সহকারি উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসার। একইসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ নজর রাখতে হবে।


প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে- সহকারি উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ বিদ্যালয় পরিদর্শন, ওয়ার্কশিট বিতরণ শতভাগ নিশ্চিতকরণ ও যাচাই করা, শিখন ঘাটতির অবস্থা ও ফিডব্যাক নেয়া, বিদ্যালয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, শিক্ষকদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করা, হোম ভিজিট যাচাই করা, শিক্ষার্থী প্রোফাইল শতভাগ হয়েছে কি-না তা দেখা, দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য করণীয় নির্ধারণ করা, স্যাম্পল হিসেবে শিক্ষার্থীদের বাড়ি যাওয়া এবং তাদের যোগাযোগ রেজিস্ট্রার যাচাই করা। এছাড়াও খুলে দেওয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক ঠিক করার জন্য দ্রুত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এখন সব শিক্ষককে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছি।

Thursday, 12 August 2021

এইচএসসি-আলিমের ফরম ফি নির্ধারিতঃ বেশি নিলে ব্যবস্থা

এইচএসসি-আলিমের ফরম ফি নির্ধারিতঃ বেশি নিলে ব্যবস্থা



চলতি বছরের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের অনলাইনে ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ফরম পূরণ কার্যক্রম শেষ হবে আগামী ৩০ আগস্ট।

এর মধ্যে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ফরম পূরণ। এরপর ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ফরম পূরণের জন্য শিক্ষাবোর্ডের এসএমএম পাওয়া শিক্ষার্থীরা ফি পরিশোধ করবেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার্থীদের ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে শিক্ষাবোর্ড। নির্ধারিত ফি'র বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার তথ্য দৃষ্টিগোচর হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ফরম পূরণ প্যানেল বন্ধ করাসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর অনলাইনে ফরম পূরণ ও অনলাইনেই ফি পরিশোধ করতে হবে। কোনো পরীক্ষার্থী বা অভিভাবককে সশরীরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজির হতে হবে না।

এছাড়া করোনার কারণে এবারের এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা (টেস্ট) হবে না। তাই এ সংক্রান্ত কোনো ফিও নেওয়া যাবে না।


কোন বিভাগে কত ফি:

ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগে ১১৬০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ১০৭০ টাকা ফি বেঁধে দেয়া হয়েছে। 

আলিম পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্র প্রতি ১০০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্র প্রতি ৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫০ টাকা মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ১০০ টাকা রিটেনশন ফি দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। এছাড়া জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদেরও ১০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ১০০ টাকা সনদ ফি দিতে হবে।

আলিম পরীক্ষার কেন্দ্র ফি বাবদ প্রতি পরীক্ষার্থীকে ৩০০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ব্যবস্থাপনার জন্য পত্র প্রতি ৫ টাকা ফি দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের।

ফরম ফি পরিশোধের নিয়মঃ

এসএমএস-এ পাওয়া লিংক বা সোনালী ব্যাংকের ই-সেবা অ্যাপ ব্যবহার করে সোনালী সেবা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে। বোর্ডের ওয়েবসাইটে স্টুডেন্ট প্যানেল থেকেও সোনালী সেবা গেটওয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবে পরীক্ষার্থীরা।


এ ছাড়া, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ, বিকাশ, রকেট, ইউপে ও সোনালী ই-ওয়ালেট যে কোনো একটির মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দেওয়া যাবে। যে কোনো ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডাচ বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস প্রভৃতি ব্যবহার করেও পরীক্ষার ফি পরিশোধ করা যাবে।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে, আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে আলিম পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি সোনালী ব্যাংক ও বিভিন্ন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। করোনার কারণে এবারের আলিমেরও টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
অনলাইনে এইচএসসি-আলিমের ফরম পূরণ শুরু

অনলাইনে এইচএসসি-আলিমের ফরম পূরণ শুরু



চলতি বছরের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের অনলাইনে ফরম পূরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ফরম পূরণ কার্যক্রম শেষ হবে আগামী ৩০ আগস্ট।

প্রথমবারের মতো এ বছর অনলাইনে ফরম পূরণ ও অনলাইনেই ফি পরিশোধ করতে হবে। কোনো পরীক্ষার্থী বা অভিভাবককে সশরীরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজির হতে হবে না।

এইচএসসি-আলিমের ফরম ফি নির্ধারিতঃ বেশি নিলে ব্যবস্থা

গত ৩১ জুলাই ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল।

জানা গেছে, এইচএসসি-আলিমের ফরম পূরণ চলবে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ফরম পূরণের জন্য শিক্ষাবোর্ডের এসএমএম পাওয়া শিক্ষার্থীরা ফি পরিশোধ করতে পারবেন।

এবারের এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা (টেস্ট) হবে না। তাই এ সংক্রান্ত কোনো ফিও নেওয়া যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগে এক হাজার ১৬০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে এক হাজার ৭০ টাকা ফি ধরা হয়েছে। নির্ধারিত ফির বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না। এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য দৃষ্টিগোচর হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ফরম পূরণ প্যানেল বন্ধ করাসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এইচএসসি-আলিমের ফরম ফি নির্ধারিতঃ বেশি নিলে ব্যবস্থা

এতে আরও বলা হয়েছে, এসএমএস-এ পাওয়া লিংক বা সোনালী ব্যাংকের ই-সেবা অ্যাপ ব্যবহার করে সোনালী সেবা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে। বোর্ডের ওয়েবসাইটে স্টুডেন্ট প্যানেল থেকেও সোনালী সেবা গেটওয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবে পরীক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ, বিকাশ, রকেট, ইউপে ও সোনালী ই-ওয়ালেট যে কোনো একটির মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দেওয়া যাবে। যে কোনো ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডাচ বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস প্রভৃতি ব্যবহার করেও পরীক্ষার ফি পরিশোধ করা যাবে।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে, আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে আলিম পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি সোনালী ব্যাংক ও বিভিন্ন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। করোনার কারণে এবারের আলিমের টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।

এইচএসসি-আলিমের ফরম ফি নির্ধারিতঃ বেশি নিলে ব্যবস্থা

আলিম পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্রপ্রতি ১০০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

Thursday, 15 July 2021

পরীক্ষা না হলে যেভাবে এসএসসি-এইচএসসির ফল নির্ধারণ হবে

পরীক্ষা না হলে যেভাবে এসএসসি-এইচএসসির ফল নির্ধারণ হবে


এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, মহামারি করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

তবে কোভিড পরিস্থিতি যদি অনুকূলে না থাকে, তাহলে গত বছরের মতো এবারও বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ করা হবে বলে তিনি জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমন পরিস্থিতিতে এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে।

এসএসসি-র ক্ষেত্রে ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট এবং এইচএসসি-র ক্ষেত্রে ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে যদি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হয়, তাহলে এসএসসি-র ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে দুইটি করে টানা ১২ সপ্তাহে মোট ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। প্রতিটি বিষয়ে ৮টি করে অ্যাসাইনমেন্ট করবেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুনঃ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় ঘোষণা

অন্যদিকে, এইচএসসি-র ক্ষেত্রে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের মোট ৬টি পত্র রয়েছে। প্রতিটি পত্রের জন্য ৫টি করে মোট ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। সপ্তাহে ২টি করে মোট ১৫ সপ্তাহে এই ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট দেবেন শিক্ষার্থীরা।

গত বছর এই অ্যাসাইনমেন্টের মূল্যায়ণের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এবারে এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এবারও যদি অ্যাসাইনমেন্টে স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হয়, তাহলে শুধুমাত্র সাবজেক্ট ম্যাপিং অর্থাৎ পূর্ববর্তী পরীক্ষার বিষয়-ভিত্তিক মূল্যায়ণ করা হবে বলে তিনি জানান।

দীপু মনি বলেন, পূর্ববর্তী জেএসসি-জেডিসি-এসএসসির সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের ভিত্তিতে এবং অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে এসএসসি-এইচএসসির মূল্যায়ন করা হবে বলে তারা চিন্তাভাবনা করছেন।

অ্যাসাইনমেন্ট মূলত নেয়া হবে এটা ভেবে যে শিক্ষার্থীরা যেন তাদের পরীক্ষার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে পারেন। অন্যদিকে, আবশ্যিক বিষয়গুলোর মূল্যায়ণ ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত হয়েছে বলে মন্ত্রী মনে করেন।

কুরবানীর ঈদের পর এইচএসসির ফরম পূরণ অনলাইনে শুরু হবে, তাই কোন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হবে না।

অল্প বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তাই পরীক্ষার সময় এবং পরীক্ষার ফিও কম নেওয়া হবে। ফি পরিশোধ করতে হবে অনলাইনে। এ বিষয়ে বোর্ড থেকে নির্দেশনা দেয়া হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় ঘোষণা

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় ঘোষণা


এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, মহামারি করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 

তিনি বলেন, তিনটি বিষয়ে পরীক্ষার ভিত্তিতে বাকি আবশ্যিক বিষয়গুলোর মূল্যায়ন নির্ধারণ হবে এসএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষার বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে। 

‘আর যদি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে অ্যাসাইনমেন্ট ও বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। অথবা শুধু বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমেও মূল্যায়ন হতে পারে। সেটি পরে জানানো হবে।’

আরও পড়ুনঃ পরীক্ষা না হলে যেভাবে এসএসসি-এইচএসসির ফল নির্ধারণ হবে

তিনি আরোও বলেন, আমরা দেখেছি গতবার সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের দিকে সংক্রমণ অনেকটা কমে গিয়েছিল। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। গতবারের অভিজ্ঞতায় নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংক্রমণ কমে নিয়ে যাওয়ার সম্ভব হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঈদুল আজহার পর পর ফরম পূরণ অনলাইনে শুরু হবে। কোনো শিক্ষার্থীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হবে না। অল্প বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তাই ফিও কম নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বোর্ড থেকে নির্দেশনা জারি করা হবে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খানও উপস্থিত ছিলেন।

Sunday, 27 June 2021

ঢাকা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ স্থগিত

ঢাকা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ স্থগিত



ঢাকা বোর্ডের ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

গত বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি দেয় শিক্ষা বোর্ড। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আজ রোববার থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়ে ৭ জুলাই শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে আজ ফরম পূরণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত এলো। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল— বিজ্ঞান শাখার জন্য দুই হাজার ৫০০ টাকা, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার জন্য এক হাজার ৯৪০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা (টেস্ট) হবে না। তাই এ সংক্রান্ত কোনো ফিও নেওয়া যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা যাবে না। এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কলেজের ফরম পূরণ প্যানেল বন্ধ করাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

করোনার কারণে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের গড়ের ওপর এইচএসসির ফল দেওয়া হয়।

এ বছর ৮৪ দিনের পাঠ পরিকল্পনার ভিত্তিতে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।

Saturday, 19 June 2021

৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আল্টিমেটাম

৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আল্টিমেটাম



করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৩০ জুনের মধ্যে খুলে দেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে ‘শিক্ষক-কর্মচারী-অভিভাবক ফোরাম’

শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘শিক্ষক-কর্মচারী-অভিভাবক ফোরামের’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ আল্টিমেটাম দেন বক্তারা।

এ সময় মানববন্ধনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রা'স্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আর সময় দেওয়া যাবে না। এক সপ্তাহই যথেষ্ঠ। আমরা শাহবাগের মোড় থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উদ্দেশে পদযাত্রা করব। হাঁট-বাজার, ব্যাংক, অফিস-আদালত সব কিছু খোলা, শুধু বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজকে পরীক্ষা নিচ্ছেন না, অটোপাস দিচ্ছেন, এটা জঘন্য ভুল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দিচ্ছে।

এর আগে, দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর দশ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর দেয় সরকার। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। পরে কয়েক দফা সেই বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কয়েক দফা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েও শেষ পর্যন্ত আর সম্ভব হয়নি। সরকার করোনার প্রকোপ স্বাভাবিক না হওয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মুখে ফেলতে চায় না। সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী ৩০ জন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।