Showing posts with label বিজ্ঞান. Show all posts
Showing posts with label বিজ্ঞান. Show all posts

Tuesday, 9 November 2021

আসছে শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ

আসছে শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ



১৯ নভেম্বর কয়েক ঘণ্টার জন্য চাঁদ এবং সূর্যের মাঝামাঝি থাকবে পৃথিবী। এতে সূর্যের আলোর প্রভাবে পৃথিবীর ছায়া পড়বে চন্দ্রপৃষ্ঠে। সে ছায়ায় চাঁদের প্রায় পুরোটা ঢাকা পড়বে।
 
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটার দিকে চাঁদের দৃশ্যমান অংশের ৯৭ শতাংশ সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হবে।

শতভাগ ঢাকা না পড়ায় এটাকে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলা হচ্ছে। সে সময় লালচে রং ধারণ করবে চাঁদ। আর শেষ দিকে পিনামব্রাল চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও।
 
চাঁদের অবস্থান দিগন্তরেখার ওপরে থাকলেই কেবল চন্দ্রগ্রহণ দেখা সম্ভব। সে দিক থেকে এবারের গ্রহণের পুরোটা সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে উত্তর আমেরিকার দেশগুলো থেকে। এনডিটিভির খবরে আরও বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব এশিয়া, উত্তর ইউরোপ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও দৃশ্যমান হবে এবারের গ্রহণ।

টাইম অ্যান্ড ডেট ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চল থেকে ১৯ নভেম্বর পিনামব্রাল চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। গ্রহণের এ পর্যায়ে পৃথিবীর প্রচ্ছায়ায় না থেকে উপচ্ছায়ায় থাকে চাঁদ। আর মূল গ্রহণের মতো অতটা চমকপ্রদও নয়। তবু ঢাকাবাসী ১৯ নভেম্বর বিকেল ৫টা ১৩ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিট পর্যন্ত চাঁদে নজর রাখতে পারেন। সারা দেশ থেকেও এই সময়ের আশপাশেই দেখা যাওয়ার কথা।

নাসা বলছে, এবারের চন্দ্রগ্রহণ থাকবে সব মিলিয়ে ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট ২৩ সেকেন্ড, যা ২০০১ সাল থেকে শুরু করে ২১০০ সালের মধ্যে যেকোনো চন্দ্রগ্রহণের চেয়ে দীর্ঘতম। চলতি শতকে সব মিলিয়ে ২২৮টি চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে পৃথিবী থেকে।

সচরাচর সূর্যের আলো চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয় বলে আমরা চাঁদ দেখতে পাই। তবে চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ, পৃথিবী এবং সূর্য একই সরলরেখায় আসে। পৃথিবী সূর্যের আলো চাঁদে পৌঁছাতে বাধা দিলে তখন দেখতে মনে হয় কে যেন চাঁদের অংশবিশেষ খেয়ে ফেলেছে।
 
পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের পুরোটা পৃথিবীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে। এবারের চন্দ্রগ্রহণ যদিও আংশিক, তবু পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের মতোই দেখানোর কথা।
 
পরবর্তী চন্দ্রগ্রহণ হবে ২০২২ সালের ১৬ মে।

Tuesday, 14 September 2021

১৬ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াত ‘উড়ন্ত ড্রাগন’

১৬ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াত ‘উড়ন্ত ড্রাগন’


পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জীবাশ্ম আবিষ্কারে আমরা বিশ্ববাসী প্রতিনিয়তই নতুন নতুন চমকের সাক্ষী হচ্ছি। কোটি কোটি বছর আগেকার অক্ষত জীবাশ্ম আমাদের যে শুধু হতবাক করছে তাই নয়, একইসঙ্গে ভাবাচ্ছে ভবিষ্যতের পৃথিবীকে নিয়েও। সম্প্রতি এমনই এক আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা চিলির আতাকামা মরুভূমিতে। সেখানে পাওয়া গেছে ‘উড়ন্ত ড্রাগন’ তথা উড়ন্ত ডাইনোসরের জীবাশ্ম। পাখির মতো উড়ে বেড়াত এই অতিকায় ডাইনোসর। তাই একে বলা হতো ‘উড়ন্ত ড্রাগন’।

চিলির আতাকামা মরুভূমিতে বিজ্ঞানীরা সেই উড়ন্ত ড্রাগনের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন। এত দিন ধারণা করা হত, জুরাসিক যুগের এই ডাইনোসর কেবল উত্তর গোলার্ধেই বিচরণ করত। উড়ন্ত এ সরীসৃপ আদিম টেরোসরাসের অন্তর্গত ছিল, যারা ১৬ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে বিচরণ করত। এদের দীর্ঘ লেজ, ডানা এবং বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকা তীক্ষ্ণ দাঁত ছিল।

এই ডাইনোসরের জীবাশ্ম প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন আতাকামা ডেজার্ট মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্টরি অ্যান্ড কালচারের কর্মকর্তা ওসালদো রোজাস। এরপর চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এ নিয়ে গবেষণা চালান। দক্ষিণ গোলার্ধে উড়ন্ত ড্রাগনের অস্তিত্বের বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে জীবাশ্মবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা এক পত্রিকায়।

এই গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জোনাথন অ্যালার্কন বলেন, এত দিন পর্যন্ত উড়ন্ত ড্রাগনের বিচরণ নিয়ে যা জানা ছিল, প্রকৃতপক্ষে তাদের বিস্তৃতি ছিল তার চেয়েও বেশি। শুধু তাই নয়, এই আবিষ্কার থেকে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের প্রাণীদের সম্ভাব্য স্থানান্তর ও তাদের আন্তঃসম্পর্কের সূত্রেরও ইঙ্গিত মেলে। আর এটি এমন একটি সময়ের ইঙ্গিত দেয়, যখন পৃথিবীর অধিকাংশ দক্ষিণাঞ্চলীয় ভূমি গন্ডোয়ানা নামক এক মহা-মহাদেশে সংযুক্ত ছিল।

বিজ্ঞানী অ্যালার্কন বলেন, এসব টেরোসরাসের একটি প্রজাতির খোঁজ কিউবাতেও পাওয়া যায়। এগুলো উপকূলীয় প্রাণী ছিল। তাই তারা সম্ভবত উত্তর ও দক্ষিণে জায়গা বদল করত। অথবা তারা এ অঞ্চলে একবার এসে আর ফেরত যায়নি।

Tuesday, 7 September 2021

প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়, ইন্টারনেট শূন্য হতে পারে বিশ্ব

প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়, ইন্টারনেট শূন্য হতে পারে বিশ্ব



ইন্টারনেট ছাড়া যেন দুনিয়া অচল। যোগাযোগ, ব্যাংকিং থেকে শুরু করে বাজার-সদাই—সবকিছুতেই এখন ইন্টারনেটের ছোঁয়া। তবে এই আবহে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে সৌর ঝড়ে।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক সঙ্গীতা আবদু জ্যোতির গবেষণা পত্রে এই দাবি করা হয়েছে। তিনি জানান, বিশ্ব বর্তমানে এত বৃহতাকারের সৌর ঝড় মোকাবিলা করতে প্রস্তুত নয়। এই ঝড়ের কারণে সমুদ্রের তলা দিয়ে যেই অপটিক ফাইবার বিছানো রয়েছে তা অফলাইন হয়ে গিয়ে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। খবর ডিএনএ


উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই সূর্যের মধ্যে অস্থিরতা লক্ষ্য করেছেন গবেষকরা। ২০২০ সালে সূর্য ১১ বছরের নতুন সাইকেল শুরু করে। এই সাইকেল ২০২৫ সালে চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে। এই অবস্থায় সৌর ঝড়ের চোখ রাঙানি বিশ্বের উপর।

বিশ্বের উপর শেষবার বড় আকারের সৌর ঝড় আছড়ে পড়েছিল ১৭ বছর আগে। তখন প্রযুক্তি এতটাও উন্নত ছিল না। আর আমরাও এতটা প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল ছিলাম না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরও বেশি মোবাইল ও প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি।


সৌর ঝড়ের জেরে স্যাটেলাইট সিগ্নাল বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার জেরে জিপিএস এবং মোবাইল সিগ্নালে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এর আগে ১৯৮৯ সালে একটি সৌর ঝড় আছড়ে পড়েছিল পৃথিবীতে। এর ‌ফলে কানাডাতে প্রায় ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। এই পরিস্থিতিতে নতুন সৌর ঝড়ের প্রভাব নিয়ে আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা।

তথ্যসূত্রঃ হিন্দুস্থান টাইমস

Monday, 23 August 2021

সপ্তাহজুড়ে খালি চোখেই দেখা যাবে বৃহস্পতি ও শনি: নাসা

সপ্তাহজুড়ে খালি চোখেই দেখা যাবে বৃহস্পতি ও শনি: নাসা



সৌরজগত নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। চলছে গবেষণাও। এবার সামনে এলো চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। 

সৌরমণ্ডলের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি এখন পৃথিবীর আকাশে হয়ে উঠেছে উজ্জ্বলতম। কারণ গ্রহটি এসে পড়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি। এমনকি কাছাকাছি এসেছে শনি গ্রহও।


মেঘ না থাকলে আগামী এক সপ্তাহ সন্ধ্যার পর থেকেই আকাশে দেখা যাবে বৃহস্পতিকে। 

নাসা জানিয়েছে, টেলিস্কোপ ছাড়া খালি চোখে উজ্জ্বলতম বৃহস্পতি গ্রহকে এক সপ্তাহ ধরে রাতের আকাশেই দেখা যাবে। শুধু উজ্জ্বলতাই নয়, আকাশে যত তারা দেখা যায়, তাদের মধ্যে বৃহস্পতিই আকারে হয়ে উঠেছে এখন বৃহত্তম।

জ্যোতির পদার্থবিজ্ঞানের পরিভাষায়, সূর্যকে প্রদক্ষিণের পথে গত ১৯ আগস্ট থেকে সৌরমণ্ডলের বৃহত্তম গ্রহটি এখন রয়েছে ‘অপজিশন’-এ। যার অর্থ— পৃথিবীর যেদিকে রয়েছে সূর্য, এখন বৃহস্পতি রয়েছে ঠিক তার উল্টো দিকে। আগস্টেই সৌরমণ্ডলের আরও একটি গ্রহ শনিও চলে আসছে অপজিশনে। ফলে এই মাসে পৃথিবীর রাতের আকাশে বৃহস্পতি ও শনি দুটি গ্রহই হয়ে উঠেছে উজ্জ্বলতম।


নাসা জানিয়েছে, ২২ আগস্ট রাতের আকাশে চাঁদের বাঁ দিকে একটু ওপরে দেখা যাবে উজ্জ্বলতম বৃহস্পতিকে। আর শনিকে দেখা যাবে বৃহস্পতির ওপরে একটু ডান দিক ঘেঁষে।