Showing posts with label ক্রিকেট. Show all posts
Showing posts with label ক্রিকেট. Show all posts

Monday 7 February 2022

ঘরের মাঠেও খুলনার কাছে ধরাশায়ী সিলেট

ঘরের মাঠেও খুলনার কাছে ধরাশায়ী সিলেট



ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই নাটকীয়তার জন্ম দিল সিলেট সানরাইজার্স। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত একাদশে থাকলেও টস করতে নামলেন ইংল্যান্ডের রবি বোপারা। পরে জানানো হলো, অধিনায়ক দায়িত্ব সামলাবেন এই অলরাউন্ডার। নেতৃত্ব কাঁধে নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিলেন বোপারা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও বল টেম্পারিং করলেন তিনি। ধরা পড়ায় ৫ রানর পেনাল্টি গুণতে হলো সিলেটকে। 

এমন নাটকীয় ম্যাচে মাঠের লড়াইয়েও খানিক নাটক জমলো। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৩৬ রান প্রয়োজন হলে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে টানা ৩টি ছয় মারেন আলাউদ্দিন বাবু। যদিও শেষরক্ষা হয়নি সিলেটের। আগে ব্যাট করে সৌম্য সরকার আর মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো ফিফটিতে স্কোরবোর্ডে ১৮২ রানের বিশাল পুঁজি পায় খুলনা টাইগার্স। এই লক্ষ্য টপকাতে নেমে পরে ১৬৭ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। এতে ১৫ রানের জয় পায় খুলনা। 

এই জয়ের ফলে ৭ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট খুলনার। অন্যদিনে সমান ৭ ম্যাচে সিলেটের অর্জন মাত্র ৩ পয়েন্ট। 
 
যদিও ১৮৩ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল সিলেট। উদ্বোধনী জুটিতে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪১ রান যোগ করেন এনামুল হক বিজয় ও লেন্ডন সিমন্স। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে সিমন্স ১৭ বলে ১০ রান করে আউট হলে ভাঙে এই পার্টনারশিপ। এরপর ফিফটির পথে ছুঁটতে থাকেন বিজয়। তবে ৩ রানে আক্ষেপে ৩৩ বলে ৪৭ রানে থামতে হয় তাকে। যেখানে সমান ৩টি করে চার-ছক্কা আসে বিজয়ের ব্যাট থেকে। 

এরপর ১৩ রানের মধ্যে আরো দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে তারা। মোহাম্মদ মিঠুন ৮ বলে ২ আর রবি বোপারা সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। ৭৩ রান ৪ উইকেট হারানো দলটির হাল ধরেন কলিং ইনগ্রাম ও মোসাদ্দেক। তবে চাহিদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি তারা। শেষদিকে হাত খুলে খেলতে গিয়ে খালেদ আহমেদের বলে আউট হন ইনগ্রাম। ২টি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৩৭ রানে থামেন তিনি। এতে পঞ্চম উইকেটে ভাঙে ৫৮ রানের পার্টনারশিপ। 

মোসাদ্দেকের ২২ বলে ৩৯ এবং আলাউদ্দিন বাবুর ৭ বলে ২৫ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। এতে ১৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা। ব্যাটিংয়ে অনবদ্য ৮২ রানে ইনিংস খেলার পর বল হাতেও ২ উইকেট নেন সৌম্য সরকার। 

এর আগে টস জিতে খুলনা টাইগার্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান সিলেটের নতুন অধিনায়ক রবি বোপারা। প্রথম ওভারে দুটি উইকেটের পতন ঘটিয়ে সিলেট পায় স্বপ্নের মতো শুরু। ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার রান আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ১ রান করে। আরেক ওপেনার শেখ মেহেদী হাসান রানের খাতা খুলতে পারেননি। সোহাগ গাজীর বলে আউট হন অলক কাপালির হাতে ক্যাচ দিয়ে। 

ইনিংসে প্রথম ওভারেই ২ ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে খুলনা। পরে সৌম্য সরকার আর ইয়াসির আলীর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ১৮ বলে ২৩ রান করে ইয়াসির বিদায় নিলে ভাঙে ৪৫ রানের জুটি। এরপর সৌম্যর সাথে দলের হাল ধরেন মুশফিক। নবম ওভারে বল টেম্পারিংয়ের কারণে ৫ রান জরিমানা গুণে সিলেট। তাতে যেন মোমেন্টামও হারিয়ে ফেলে দলটি। খুলনার আর কোনো উইকেটের পতন ঘটাতে পারেনি স্বাগতিক বোলাররা।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৮৪ বলে ১৩৬ রান যোগ করেন দুজন। মাঝে দুজনেই তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। সৌম্য ৬২ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় ৮২ এবং মুশফিক ৩৮ বলের মোকাবেলায় ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সহায়তায় ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮২ রান। টুর্নামেন্টজুড়ে উজ্জ্বল থাকলেও আজ বল হাতে পাননি নাজমুল ইসলাম অপু। দলের পক্ষে সোহাগ গাজী ও অভিষিক্ত একেএস স্বাধীন একটি করে উইকেট শিকার করেন।

Monday 15 November 2021

নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া


ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপার কমতি নেই অস্ট্রেলিয়ার। এখন পর্যন্ত হওয়া ১২ আসরের মধ্যে পাঁচবারই সেরা মুকুট উঠেছে অসিদের মাথায়। কিন্তু কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে ছয় আসর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অস্ট্রেলিয়ার ট্রফি ক্যাবিনেট ছিল পুরোপুরি শূন্য।

অবশেষে সপ্তম আসরে এসে অধরা শিরোপার দেখা পেল বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল জিততে তাদের গড়তে হতো ইতিহাস। নতুন রেকর্ড গড়েই শিরোপা ঘরে তুলেছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। ফাইনালে অসিদের সামনে পাত্তাই পায়নি নিউজিল্যান্ড।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৭২ রান। যা ছিল বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। শিরোপা জেতার পথে নতুন রেকর্ড গড়ে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৮.৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

অসিদের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে ব্যাট হাতে বড় অবদান রেখেছেন তিন নম্বরে নামা ডানহাতি ব্যাটার মিচেল মার্শ। তার ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ৭৭ রান। বাঁহাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার খেলেছেন ৩৭ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন জশ হ্যাজলউড।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩২ বলে ফিফটি করে বিশ্বকাপ ফাইনালে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছিলেন কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। রান তাড়া করতে নেমে ৩১ বলে ফিফটি করে সেই রেকর্ড নিজের করে নেন মিচেল মার্শ।

তার ৭৭ রানের ইনিংসের সুবাদেই মূলত সাত বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের ইনিংসের ১৯তম ওভারের পঞ্চম বল রিভার্স স্কুপে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৮ বলে ২৮ রান করে।

অথচ শুরুতেই অধিনায়কের বিদায়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের করা ১৭২ রানের সংগ্রহটি তখন মনে হচ্ছিল বেশ কঠিন। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণভাবে অসিদের ম্যাচে রাখেন আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও তিন নম্বরে নামা মিচেল মার্শ।

১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে বোল্টের বিপক্ষে কোনো জবাবই খুঁজে পাননি ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথম ওভারে আসে মাত্র ১ রান। টিম সাউদির করা দ্বিতীয় ওভারে দুই চারের মারে ১০ রান তুলে নেন ওয়ার্নার।

তার দেখাদেখি বোল্টের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারেন ফিঞ্চ। কিন্তু পরের বলেই তার বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেন বোল্ট। ডিপ মিড উইকেটে বেশ খানিকটা পথ দৌড়ে দারুণ এক ডাইভিং ক্যাচ ধরেন মিচেল।

শুরুতেই অধিনায়ক ফিরে গেলে খানিক খোলসবন্দী হয়ে পড়েন ওয়ার্নার। তবে অপরপ্রান্তে তাকে চাপমুক্ত রাখেন মিচেল মার্শ। অ্যাডাম মিলনের করা চতুর্থ ওভারের প্রথম তিন বলেই দুইটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান মার্শ। প্রথম পাওয়ার প্লে'তে অস্ট্রেলিয়া করে ৪৩ রান।

এরপর হাত খুলে খেলতে শুরু করেন ওয়ার্নারও। বিশেষ করে ইশ সোধির করা নবম ওভারে হাঁকান দুই চার ও একটি বিশাল ছক্কা। যার সুবাদে প্রথম ছয় ওভারে ৪৩ রান করা অস্ট্রেলিয়া পরের চার ওভারেই পেয়ে যায় আরও ৩৯ রান।

জুটি দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর আর পেছন ফিরে তাকাননি ওয়ার্নার ও মার্শ। দুজন মিলে তাণ্ডব চালাতে থাকেন কিউই বোলারদের ওপর। উইকেটের আশায় ১১তম ওভারে জিমি নিশামকে আনেন কিউই অধিনায়ক। সেই ওভারে একটি করে ছক্কা হাঁকান ওয়ার্নার ও মার্শ।

নিশামকে হাঁকানো ছক্কায় ব্যক্তিগত ফিফটি পূরণ হয় ওয়ার্নারের। প্রথম ১৮ বলে মাত্র ১৮ রান করা ওয়ার্নার ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন ৩৪ বলে। অর্থাৎ পরের ১৬ বল থেকে তিনি করেন ৩৩ রান। মিচেল স্যান্টনারের করা পরের ওভারে পূরণ হয় অস্ট্রেলিয়ার দলীয় শতক।

তবে ওয়ার্নারকে বেশি দূর যেতে দেননি বোল্ট। ইনিংসের ১৩তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে দ্বিতীয় বলেই বোল্ড করে দেন ওয়ার্নারকে। আউট হওয়ার আগে চার চার ও তিন ছয়ের মারে ৩৭ বলে ৫৩ রান করেন ওয়ার্নার। তার বিদায়ে ভাঙে ৯২ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।

তাতেও অবশ্য কোনো সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। কেননা তৃতীয় উইকেট জুটিতেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালু রাখেন মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ইনিংসের ১৩ থেকে ১৭ ওভারের মধ্যে ৫০ রান নেন এ দুজন। যা অস্ট্রেলিয়ার জয় একপ্রকার নিশ্চিতই করে দেয়।

তবে ১৮তম ওভারে মিলনে দারুণ বোলিং করেন। যার বলে বাড়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের অপেক্ষা। পরে সাউদির করা ১৯তম ওভারের প্রথম ও পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেয় তারা। ম্যাক্সওয়েলের রিভার্স স্কুপে ফুরোয় দীর্ঘদিনের শিরোপার অপেক্ষা।

এর আগে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাটিংয়ে নেমে মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইতিবাচক শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কিউই ওপেনার গাপটিল।

কিন্তু পাওয়ার প্লে'তে সে তুলনায় রান তুলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারের মতো দ্বিতীয় ওভারেও আসে একটি বাউন্ডারি। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ইনিংসের প্রথম ছক্কা হাঁকান সেমিফাইনালে কিউইদের জয়ের নায়ক মিচেল।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের করা সেই ওভারেই জীবন পান গাপটিল। তৃতীয় বলে তার ব্যাটের নিচের কানায় লেগেছিল বল। কিন্তু সেটি গ্লাভসে রাখতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড। ফলে ব্যক্তিগত ১০ রানে জীবন পেয়ে যান গাপটিল।

তবে গাপটিলের ক্যাচ ছাড়লেও মিচেলকে ফেরাতে ভুল করেননি ওয়েড। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলটি লেগ কাটার করেছিলেন জশ হ্যাজলউড। বলের গতি ব্যবহার করে লেট কাটের মতো খেলেন মিচেল। কিন্তু তার ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় ওয়েডের গ্লাভসে। ফলে সমাপ্তি ঘটে ৮ বলে ১১ রানের ইনিংসের।

মিচেলের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। প্রথম চার ওভারে ২৮ থেকে পরের দুই ওভারে কিউইদের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় মাত্র ৫ রান। পাওয়ার প্লের শেষ দুই ওভারে দারুণ বোলিং করে নিউজিল্যান্ডকে আটকে রেখেছেন অসি বোলাররা।

প্রথম উইকেটের সেই ধাক্কা টানা চার ওভার পর্যন্ত সইতে হয়েছে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের পঞ্চম থেকে অষ্টম ওভার পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারিই হয়নি। আট ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে মাত্র ৪১ রান। উইলিয়ামসন তখন অপরাজিত ১২ বলে ৬ রানে আর গাপটিল খেলছিলেন ২৮ বলে ২২ রান নিয়ে।

সেখান থেকে নবম ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রান রেট কিছুটা বাড়িয়ে নেন উইলিয়ামসন। সেই ওভারেই পূরণ হয় কিউইদের দলীয় পঞ্চাশ। অ্যাডাম জাম্পার করা দশম ওভারে ছয়টি সিঙ্গেল নিলে স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৫৭ রান।

ইনিংসের মাঝপথ পেরিয়ে যাওয়ার পরই যেন সম্বিৎ ফেরে উইলিয়ামসনের। মিচেল স্টার্কের করা ১১তম ওভারে পরপর তিন চারের মারে তুলে নেন ১৯ রান। স্টার্কের এই ওভারে উল্টো বিদায়ঘণ্টা বাজতে পারতো উইলিয়ামসনের। কিন্তু চতুর্থ বলে ক্যাচ ছেড়ে দেন হ্যাজলউড। ফলে ২১ রানে জীবন পেয়ে যান উইলিয়ামসন।

অ্যাডাম জাম্পার করা পরের ওভারে মার্টিন গাপটিল আউট হন ৩৫ বলে মাত্র ২৫ রান করে। তবে পথ হারাননি উইলিয়ামসন। ম্যাক্সওয়েলের করা ১৩তম ওভারে ব্যাক টু ব্যাক ছক্কার মারে তুলে নেন ১৬ রান। সেই ওভারে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে হাঁকানো দ্বিতীয় ছক্কায় মাত্র ৩২ বলে ফিফটি পূরণ হয় কিউই অধিনায়কের।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তার ১৪তম ফিফটি। শুধু তাই নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তার ৩২ বলের ফিফটিই দ্রুততম। এর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর কেউ এর চেয়ে দ্রুত পঞ্চাশ করতে পারেননি।

অধিনায়কের দেখাদেখি হাত খুলে মারতে শুরু করেন চার নম্বরে নামা গ্লেন ফিলিপসও। জাম্পার করা ১৫তম ওভারে একটি করে চার-ছক্কার মারে নিয়ে নেন ১২ রান। স্টার্কের করা পরের ওভারে রীতিমতো তাণ্ডব চালান উইলিয়ামসন। চারটি চার ও এক ছয়ের মারে নিয়ে নেন ২২ রান।

এই ওভারে হাঁকানো ছক্কাটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন উইলিয়ামসন। পাশাপাশি একই ওভারে বিশ্বকাপ ফাইনালে অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডও নিজের করে নেন কিউই দলপতি।

নিজের প্রথম ওভারে ৯ রান দেওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারে ১৯ রান দেন স্টার্ক। আর ১৬তম ওভারে ২২ রান খরচ করার মাধ্যমে মাত্র তিন ওভারেই ৫০ রান দিয়ে বসেন অস্ট্রেলিয়ার স্ট্রাইক বোলার। যা বাড়িয়ে দেয় অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের চিন্তা।

ইনিংসের ১৬ ওভারের মধ্যে স্টার্কের করা প্রথম তিন ওভারে উইলিয়ামসন মোকাবিলা করেন ১২টি বল। যেখানে সাত চার ও একটি ছক্কা হাঁকান উইলিয়ামসন। যা কি না বিশ্বকাপের এক ম্যাচে নির্দিষ্ট কোনো বোলারের বিপক্ষে সর্বোচ্চ বাউন্ডারি হাঁকানোর রেকর্ড।

স্টার্কের দেদারসে রান বিলানোর ধারাটা খানিক চেপে ধরেন অন্য দুই পেসার প্যাট কামিনস ও জশ হ্যাজলউড। কামিনসের করা ১৭তম ওভারে আসে মাত্র ৮ রান। পরের ওভারে ৫ রান দিয়ে উইলিয়ামসন ও ফিলিপসকে সাজঘরে পাঠান হ্যাজলউড।

আউট হওয়ার আগে ১০ চার ও তিন ছয়ের মারে ৪৮ বলে ৮৫ রান করেন উইলিয়ামসন। যা কি না বিশ্বকাপ ফাইনালে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহের রেকর্ড। এর আগে ২০১৬ বিশ্বকাপের ফাইনালেও ঠিক ৮৫ রান করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার মারলন স্যামুয়েলস।

অন্যদিকে ফিলিপসের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। এ দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটির সংগ্রহ মাত্র ৬.২ ওভারে ৬৮ রান। ফিলিপস-উইলিয়ামসন ফিরে যাওয়ার পর শেষ দুই ওভারে আসে ২৩ রান। জিমি নিশাম ৭ বলে ১৩ এবং টিম সেইফার্ট করেন ৬ বলে ৮ রান।

স্কোরকার্ড

নিউজিল্যান্ড: ১৭২/৪ (মার্টিন গাপটিল ২৮, ড্যারেল মিচেল ১১, কেন উইলিয়ামসন ৮৫, গ্লেন ফিলিপস ১৮, জেমস নিশাম ১৩*, টিম সেইফার্ট ৮*; জশ হ্যাজলউড ৪-০-১৬-৩, মিচেল স্টার্ক ৪-০-৬০-০, অ্যাডাম জাম্পা ৪-০-২৬-১, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৩-০-২৮-০, প্যাট কামিনস ৪-০-২৭-০, মিচেল মার্শ ১-০-১১-০)

অস্ট্রেলিয়া: ১৭৩/২ (অ্যারন ফিঞ্চ ৫, ডেভিড ওয়ার্নার ৫৩, মিচেল মার্শ ৭৭*, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৮; ট্রেন্ট বোল্ট ৪-০-১৮-২, টিম সাউদি ৩.৫-০-৪৩-০, অ্যাডাম মিলনে ৪-০-৩০-০, ইশ সোধি ৩-০-৪০-০, মিচেল স্যান্টনার ৩-০-২৩-০, জেমস নিশাম ১-০-১৫-০)

ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মিচেল মার্শ (৭৭ রান)

ম্যাচ অব দ্য টুর্নামেন্ট: ডেভিড ওয়ার্নার (২৮৯ রান)

Thursday 4 November 2021

অজিদের কাছে ৩৮ বলে লজ্জার হার টাইগারদের

অজিদের কাছে ৩৮ বলে লজ্জার হার টাইগারদের


ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে এমন বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বোধ হয় দেখা যায়নি কখনই। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করলো টাইগাররা।

সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিল। সুপার টুয়েলভপর্বে পাঁচ ম্যাচের সব কটিতে হার নিয়ে সেই স্বপ্ন কবর দিয়ে ফিরছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলে।

তার চেয়েও বড় কথা, সেই হারগুলোর মাঝে লড়াকু মানসিকতার ছিঁটেফোটা দেখা যায়নি। বরং একের পর এক লজ্জার রেকর্ড গড়তে পিছপা হয়নি লাল সবুজ জার্সিধারীরা।

আজ (বৃহস্পতিবার) সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ৮২ বল হাতে রেখে পাওয়া এই জয়টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়।

আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। যেটা ছিল দেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ।

এবার অস্ট্রেলিয়া আরও বড় লজ্জা দিলো বাংলাদেশকে। ৫ ওভার বাকি থাকতেই ইনিংস গুটিয়ে দিলো ৭৩ রানে। এটি টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড।


টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বরাবরের মতো শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ওপেনিং জুটি দাঁড়াতেই পারেনি। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই গোল্ডেন ডাকে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাস।

মিচেল স্টার্কের ১৪৪ কিলোমিটার গতির এক ডেলিভারি বাইরে থেকে টেনে এনে বোল্ড হন লিটন। পরের ওভারে জশ হ্যাজলেউড তুলে নেন সৌম্য সরকারকে (৮ বলে ৫), তিনিও হন বোল্ড।

তৃতীয় ওভারে আরও এক উইকেট। এবার মুশফিকুর রহিমকে (২ বলে ১) এলবিডব্লিউ করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২.৫ ওভারে ১০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

ব্যাটারদের সেই আসা-যাওয়ার মিছিল আর একটু থেমেছিল ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত। চার বলের ব্যবধানে দুই তরুণ নাইম শেখ (১৬ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৭) আর আফিফ হোসেন ধ্রুব (৪ বলে ০) ফিরে সেই চাকা আবারও চালু করে দেন।

এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারী নেমে ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন। ১১তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পা তাকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানান। ১৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় শামীম করেন ১৮ রান। পরের বলে মেহেদি হাসান এলবিডব্লিউ হন গোল্ডেন ডাকে।

একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সতীর্থদের এমন আসা-যাওয়া থেকে তাল সামলে রাখতে পারেননি তিনিও। লেগ সাইডে বেরিয়ে যেতে থাকা বলে ব্যাট লাগিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন মাহমুদউল্লাহ। ১৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে তিনি তখন ১৬ রানে।

৬৫ রানে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশ এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বাকি ২ উইকেট হারিয়েছে আর ৮ রান যোগ করে। মোস্তাফিজুর রহমান আউট হন ৯ বলে ৪ রানে, তাসকিন আহমেদ ১১ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের এই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানোর নায়ক অ্যাডাম জাম্পা। অসি লেগস্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নেন ৫টি উইকেট। ২টি করে মিচেল স্টার্ক আর জশ হ্যাজলেউডের।

লক্ষ্য মাত্র ৭৪ রানের। জবাব দিতে নেমে আর বেশি দেরি করতে চায়নি অস্ট্রেলিয়া। উদ্বোধনী জুটিতে ৩০ বলে ৫৮ রান তোলেন ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারন ফিঞ্চ।

ফিঞ্চ যেভাবে খেলছিলেন, পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারেই ম্যাচ শেষ হয়ে যেতো। কিন্তু তাসকিন আহমেদ ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন অসি অধিনায়ককে (২০ বলে ৪০)।

সেই উইকেট দেখেই যেন উজ্জীবিত হয়ে উঠেন শরিফুল ইসলাম, বোল্ড করে দেন ডেভিড ওয়ার্নারকে (১৪ বলে ১৮)। তবে তাতে পরাজয়ের ব্যবধানটাই যা একটু কমেছে। অল্প সময়ে ম্যাচ হেরে যাওয়া রুখতে পারেননি তারা।

Wednesday 3 November 2021

ভারতের নতুন কোচ রাহুল দ্রাবিড়

ভারতের নতুন কোচ রাহুল দ্রাবিড়


ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে রাহুল দ্রাবিড়ের নাম ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। বুধবার (৩ নভেম্বর) টি২০ বিশ্বকাপে ভারত বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ চলাকালেই রাহুলের নাম ঘোষণা করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। টুইট করে সে কথা জানানো হয়েছে।

বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘সুলক্ষণা নায়েক ও আর পি সিংহর উপদেষ্টা কমিটি বুধবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্রাবিড়কে ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে নির্বাচিত করেছে। বিশ্বকাপের পরে নিউজিল্যান্ড সফর থেকে দলের দায়িত্ব নেবেন তিনি।’

গত ২৬ অক্টোবর ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেন দ্রাবিড়। তার নাম ঘোষণা করলেও এখনও কোহলিদের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং কোচ হিসাবে কারও নাম ঘোষণা করেনি ভারতীয় বোর্ড। বিশ্বকাপের পরেই রবি শাস্ত্রী, ভরত অরুণ, আর শ্রীধর ও বিক্রম রাঠৌরের কার্যকাল শেষ হচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেটে তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে বিসিসিআই।

কোহলিদের কোচ কে হবেন, তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে জল্পনা চলছিল। কখনও শোনা গেছে অনিল কুম্বলের নাম, কখনও উঠে এসেছে ভিভিএস লক্ষ্মণের নাম। আইপিএল চলাকালে খবর রটে গিয়েছিল রাহুল দ্রাবিড়ই ভারতীয় দলের কোচ হচ্ছেন। তার বেতনও ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গলী কয়েক দিন আগেই জানিয়েছিলেন, দ্রাবিড়ের সঙ্গে কথা হলেও তিনি এখনও কিছু জানাননি। যদিও অবশেষে সেই দ্রাবিড়ই এলেন কোহলিদের কোচের দায়িত্বে।

Tuesday 2 November 2021

যে সমীকরণে সেমিফাইনালে যেতে পারে ভারত

যে সমীকরণে সেমিফাইনালে যেতে পারে ভারত



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান আসরের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ে মিশন শুরু ভারতের। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও স্রেফ উড়ে যায় কোহলিরা। 

পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৫১/৭ রানে ইনিংস গুটানো ভারত হেরে যায় ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। আর দ্বিতীয় ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে ১১০/৭ রানে থেমে যাওয়া ভারত ম্যাচ হারে ৮ উইকেটে। 

পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাজেভাবে হারের কারণে ভারতের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আশা কার্যত শেষ।

নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয়ের পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে আফগানিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের দিকেও। সেই ম্যাচে আফগানিস্তান যদি নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় তাহলে ভারতের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

এমন ফলাফল হলে পাকিস্তানের পরে রানার্স আপ লড়াই হবে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের মধ্যে। তখন রানরেটে যারা এগিয়ে থাকবে তারা সেমিফাইনালের যাবে। 
শ্রীলংকার বিপক্ষে ২৬ রানে জয় পেল ইংল্যান্ড

শ্রীলংকার বিপক্ষে ২৬ রানে জয় পেল ইংল্যান্ড


শ্রীলংকার বিপক্ষে ২৬ রানে জয় পেল ইংল্যান্ড। ১৬৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৩৭ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলংকার ইনিংস। ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় শ্রীলংকা। দলীয় ২৪ ও ৩৪ রানে ফেরেন চারিথ আসালঙ্কা ও কুশাল পেরেরা। এরপর ৫৭ রানে ফেরেন আভিস্কা ফার্নান্দো। ১০.৫ ওভারে ৭৬ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ভানুকা রাজাপক্ষে। 

এর আগে ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংস শেষ করে ফেরেন জস বাটলার। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরিপূর্ণ করেন এ ওপেনার। তার অনবদ্য সেঞ্চুরিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৪ উইকেটে ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য শ্রীলংকাকে ১৬৪ রান করতে হবে। সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ইংল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় শ্রীলংকা ক্রিকেট দল। 

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় ইংলিশরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন ওপেনার জেসন রয়। ১.২ ওভারে দলীয় ১৩ রানে লংকান লেগ স্পিনার ওয়ানেন্দু হাসারঙ্গার লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন জেসন রয়। দলীয় ৩৫ রানে ফেরেন তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা ডেভিড মালান। তিনি দুশমন্ত চামিরার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। এরপর স্কোর বোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই ফেরেন জনি বেয়ারস্টো। ৩৫ রানে প্রথম সারির ৩ উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। এরপর অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে সঙ্গে নিয়ে ৭৮ বলে ১১২ রানের জুটি গড়েন ওপেনার জস বাটলার।

১৮.২ ওভারে দলীয় ১৪৭ রানে সজোরে ব্যাট চলাতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন মরগান। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৬ বলে এক চার ও ৩ ছক্কায় ৪০ রান করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। অধিনায়ক মরগান ফিরে গেলেও ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান জস বাটলার। ইনিংস ওপেন করতে নেমে খেলেন শেষ বল পর্যন্ত। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাটলার। ৬৭ বলে ৬টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১০১ রান করেন এ তারকা ব্যাটসম্যান। সংক্ষিপ্ত স্কোর ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৬৩/৪ (জস বাটলার ১০১*, ইয়ন মরগান ৪০, ওয়ানেন্দু হাসারঙ্গা ৩/২১)। শ্রীলংকা: ১৮.৬ ওভারে ১৩৭/১০ (ভানুকা রাজাপক্ষে ৭৬, আভিস্কা ফার্নান্দো ৫৭ , কুশাল পেরেরা ৩৪)

Sunday 31 October 2021

সাকিবও ছিটকে গেলেন বিশ্বকাপ থেকে

সাকিবও ছিটকে গেলেন বিশ্বকাপ থেকে



বিশ্বকাপের শেষের দিকে বাংলাদেশ। তবে আসরটা মোটেই ভালো যাচ্ছে না টাইগারদের। টানা হারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চোট সমস্যাও। প্রথমে পেসার সাইফউদ্দিন ছিটকে যাবার পর এবার বিশ্বকাপ শেষ হলো দলের সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসানের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মূল পর্বে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন তিনি। এরপর শনিবার পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানানো হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে।

পর্যবেক্ষণ শেষে বাংলাদেশ দলের প্রধান চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশিষ চৌধুরী বলেছেন, “ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় সাকিবের বাম দিকের লোয়ার হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে। ক্লিনিকাল পরীক্ষায় এটি গ্রেড ১ ইনজুরি।

সাকিব কবে ফিরবেন এ নিয়ে বলা হয়েছে, “টুর্নামেন্টের শেষ দুটি ম্যাচে থাকা হচ্ছে না এবং কবে দলে ফিরবেন সেটি পরবর্তী পর্যালোচনা শেষে জানানো হবে।” বিসিবি আরও জানিয়েছে, সাকিবের বদলি হিসেবে দলে নতুন কাউকে নেওয়া হবে না।

চলতি বিশ্বকাপে সময়টা সাকিবেরও ভালো কাটেনি। প্রথম বা কোয়ালিফাইং রাউন্ডে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২টি, ওমানের সঙ্গে ৩টি ও পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে ৪ উইকেট নিলেও মূল পর্বে এসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটায় ২ উইকেট ছাড়া শূন্য হাতে ছিলেন ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে। ব্যাট হাতে যথাক্রমে ২০, ৪২, ৪৬, ১০, ৪ ও ৯ রান করেন তিনি।

এদিকে সাইফউদ্দিনের ছিটকে পড়ায় রিজার্ভ বেঞ্চে থাকা রুবেল হোসেনকে দলে নেওয়া হয়। সাইফউদ্দিন আর সাকিবই নন শুধু, চোটে পড়েছে উইকেট রক্ষক-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। অনুশীলনে পেটে ব্যথা পেয়ে খেলতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। খেলতে না পারার শঙ্কা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটিও। এখন সাকিবের ছিটকে যাওয়ায় ১৪ জনের দলে পরিণত হয়েছে। বাকি আছে আরও দুটি ম্যাচ। আইসিসির নিয়মে এখন সাকিবের বদলে নতুন কাউকে যে দলে নেবে সেই সময়ও নেই বিসিবির হাতে।

Wednesday 27 October 2021

টি-টোয়েন্টিতে সেরা সাকিব

টি-টোয়েন্টিতে সেরা সাকিব


চলতি আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাট ও বলে সমান দাপট দেখাচ্ছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এর পুরস্কার হিসেবে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবিকে সরিয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে আবার শীর্ষে উঠে এসেছেন টাইগার অলরাউন্ডার।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাকিবের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

এদিকে, আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। কোমরের চোটে বিশ্বকাপ শেষ সাইফ উদ্দিনের। তার জায়গায় মূল স্কোয়াডে সুযোগ হয়েছে রুবেল হোসেনের। তবে একাদশে জায়গা পেয়েছেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী পেসার শরিফুল ইসলাম।

এই ম্যাচের নামার আগে ২০১১ ও ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংলিশদের হারানোর সুখস্মৃতি সামনে আসছে টাইগারদের। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো দল দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে।

বাংলাদেশে থেকে ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাচ্ছে বিটিভি, গাজী টিভি ও টি স্পোর্টসে।

বাংলাদেশ একাদশ

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, ও নাসুম আহমেদ।

Thursday 21 October 2021

রেকর্ড জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

রেকর্ড জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে ৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। 

এর আগে টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। 

তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৭২ রানের বিশাল ব্যাবধানে জয় পায় শ্রীলংকা। 


বৃহস্পতিবার বাঁচা মরার লড়াইয়ের ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের নবম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় পায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলটি। 

এদিন আমিরাতে আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে বাংলাদেশ। 

দলের হয়ে ২৮ বলে ৩ চার ও তিন ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া ৩৭ বলে তিন ছক্কায় ৪৬ রান করেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। 

২৩ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২৯ রান করে ২৯ রান করেন ওপেনার লিটন দাস। ১৪ বলে ২১ রান করেন আফিফ হোসেন। 
ইনিংসের শেষ ওভারে রীতিমতো তাণ্ডব চালান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শেষ ওভারেই ২০ রান আদায় করে নেয় বাংলাদেশ।

সাইফউদ্দিন মাত্র ৬ বলে এক চার আর দুই ছক্কায় করেন অপরাজিত ১৯ রান। তার কারণেই পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ১৮১ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

১৮২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে পাপুয়া নিউগিনি।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ব্রেক থ্রু উপহার দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন পাপুয়া নিউগিনির ওপেনার লিগা সিকা।


চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসেই সাফল্য পান তাসকিন আহমেদ। তার দ্বিতীয় বলে শিকার হয়ে ফেরেন পাপুয়া নিউগিনির অধিনায়ক আসাদ ভালা।

পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসে পাপুয়া নিউগিনি শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। তার শিকার হয়ে ফেরেন চার্লস আমিনি ও সাইমন আতাই। নবম ওভারে বোলিংয়ে এসে সাকিব ফেরান সিস বাউকে। 

৯.২ ওভারে দলীয় ২৫ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে নরম্যান ভানুয়াকে ফেরান অফ স্পিনার মেহেদি হাসান। 
ইনিংসের ১১তম ওভারে বোলিংয়ে এসে হিরি হিরিকে সাজঘরে ফেরান সাকিব।  এদিন ৪ ওভারে মাত্র ৯ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন এই অলরাউন্ডার। চলতি বিশ্বকাপে এটাই সেরা বোলিং ফিগার। 

এদিন ৪ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রেকর্ড ৩৯ উইকেট শিকার করা পাকিস্তানের কিংবদন্তিকে ছুঁয়ে ফেলেন সাকিব।

দলীয় ৫৪ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে চাদ সোপারকে আউট করে সাইফউদ্দিন। 

১৭.৪ ওভারে দলীয় ৮০ রানে রান আউট হয়ে নবম ব্যাটসম্যাস হিসেবে ফেরেন কবুয়া মোরিয়া। পাপুয়া নিউগিনি শিবিরে শেষ পেরেকটি মারেন তাসকিন আহমেদ। ড্যামিয়েন রাভুর বিদায়ের মধ্য দিয়ে  ১৯.৩ ওভারে ৯৭ রানে আলআউট হয় পাপুয়া নিউগিনি।


সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৮১/৭ রান (মাহমুদউল্লাহ ৫০, সাকিব ৪৬, লিটন ২৯, আফিফ ২১, সাইফউদ্দিন ১৯)।

পাপুয়া নিউগিনি: ১৯.৩ ওভারে ৯৭/ (কিপলিন ডোরিগা ৪৬*, চাদ সোপার ১১; সাকিব ৪/৮, তাসকিন ২/১২, সাইফউদ্দিন ২/২১)। 

ফল: বাংলাদেশ ৮৪ রানে জয়ী
আফ্রিদিকে ছুঁয়ে বিশ্বকাপে সাকিবের ইতিহাস

আফ্রিদিকে ছুঁয়ে বিশ্বকাপে সাকিবের ইতিহাস



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরে ব্যাটে বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান।

বৃহস্পতিবার ব্যাট হাতে ৩৭ বলে ৪৬ রান করার পর বল হাতেও দুর্বার সাকিব। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে মাত্র ৯ রান খরচ করে ৪ উইকেট শিকার করেন এ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। 

এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩৯ উইকেট শিকার করেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। 

বৃহস্পতিবার পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটসম্যান চার্লস আমিনি, সেস বাউ, সাইমন আতাই ও হিরি হিরিকে আউট করার মধ্য দিয়ে আফ্রিদিকে ছুঁয়ে ফেললেন সাকিব আল হাসান।

সাকিবই বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ রান সংগ্রহের পাশাপাশি ৬শতাধিক উইকেট শিকার করেন।

Wednesday 6 October 2021

সিলেট প্রিমিয়ারলীগে বিয়ানীবাজার ক্রিকেট দল 'এসডিএস সিক্সার্স'র জার্সি উন্মোচন

সিলেট প্রিমিয়ারলীগে বিয়ানীবাজার ক্রিকেট দল 'এসডিএস সিক্সার্স'র জার্সি উন্মোচন


আনোয়ারুল হক হেলাল সিলেট প্রিমিয়ার লীগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষে বিয়ানীবাজার উপজেলার ক্রিকেট দল 'এসডিএস বিয়ানীবাজার সিক্সার্স'র জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার বাদ এশা বিয়ানীবাজার পৌরশহরের রয়েল স্পাইসি রেস্টুরেন্টের হলরুমে এ জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে রোটারিয়ান ছালেহ হোসেন এবং জুনেদ খানের যৌথ পরিচালনায় এবং এসডিএস বিয়ানীবাজার সিক্সারস টিমের পৃষ্টপোষক সুবেল আহমদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার পৌর মেয়র আব্দুল শুক্কুর।


বিশেষ অতিথি ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা ক্রিকেট এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা জাবেদ আহমেদ, প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক সুহেল আহমদ, বিয়ানীবাজার কোয়াব'র আহবায়ক আনিছুর রহমান, বিয়ানীবাজার ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাছুম আহমেদ, উপদেষ্টা এনামুল হক, মারুফ আহমদ, মিশু, এবং এসোসিয়শনের সভাপতি রাজেল আহমদ।

এসময় অতিথিবৃন্দ 'এসডিএস বিয়ানীবাজার সিক্সারস' টিমের জার্সি উন্মোচন করেন।

 অনুষ্ঠানে উপজেলার সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। 


উল্লেখ্য, আনোয়ারুল হক হেলাল সিলেট প্রিমিয়ার লীগের আসরে আগামী ৭ অক্টোবর দুপুর ২টায় সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে 'এসডিএস বিয়ানীবাজার সিক্সার্স'র মুখোমুখি হবে 'লিসবন সিক্সার্স'।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ ম্যাচ উপভোগ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন 'এসডিএস বিয়ানীবাজার সিক্সারস' দলের সংশ্লিষ্টরা।

Sunday 3 October 2021

দক্ষিণ সুরমায় তাজুল ইসলাম ক্রিকেট একাডেমির সাধারণ সভা

দক্ষিণ সুরমায় তাজুল ইসলাম ক্রিকেট একাডেমির সাধারণ সভা



দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারস্হ তাজুল ইসলাম ক্রিকেট একাডেমি পরিচালনা পরিষদের  সাধারণ সভা গত শুক্রবার একাডেমি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। 

তাজুল ইসলাম ক্রিকেট একাডেমির সভাপতি ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আখতার মিয়ার পরিচালনায় সভায় পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুকিত খান,  জুহেল আহমেদ, ইমন আহমদ, সাইদুল ইসলাম ও আব্দুল ওয়াহিদ সাজু।  

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়  একাডেমির  প্র্যাক্টিস এই মাসের (অক্টোবর ) ২০তারিখ থেকে শুরু হবে। তাই সকল ছাত্রদের একাডেমির কোচ মুকিত খান এবং জুহেল আহমদের সাথে যোগাযোগ  করার জন্য  আহবান জানানো হয়। এছাড়াও নতুন ভর্তিচ্ছুরা একাডেমির মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার আহবান করা হয়।

Saturday 25 September 2021

শৈশবে টিভিতে খেলার স্বপ্ন দেখতেন বোলিংয়ে আগুন ঝরানো গোলাপগঞ্জের আকসার (ভিডিও)

শৈশবে টিভিতে খেলার স্বপ্ন দেখতেন বোলিংয়ে আগুন ঝরানো গোলাপগঞ্জের আকসার (ভিডিও)



কথা শুনতে ও বলতে পারেন না, তবুও প্রতিপক্ষের ধরাশায়ী পেসার আকসার এখন দেশজুড়ে আলোচনায়। তার আলোচনায় আসার প্রধান কারণ ১৩৮ প্লাস গতিতে বল করতে পারার ক্ষমতা, সঙ্গে আছে স্ট্রেট আর্মে বোলিং দক্ষতা। সব কিছু মিলে একজন আদর্শ পেসারের প্যাকেজ বলা যেতে পারে তাকে।

যমুনা টিভি, বিবিসি নিউজ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আকসারের ধরাশায়ী বর্ণনা। আর কুশিয়ারা নিউজের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কে সেই আকসার?


আকসার আহমদ, বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা তীরবর্তী বাদেপাশা ইউনিয়নের মোল্লারচক গ্রামে। তার পিতার নাম মরহুম আব্দুর রহিম, মাতা দিলারা বেগম। আকসারের বয়স যখন মাত্র ২বছর তখনই পিতৃহারা হন তিনি। পরিবারে ১ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে আকসার সবার ছোট। সে ও তার ভাই দু'জনেই জন্ম থেকে বাক-প্রতিবন্ধী। অথচ নিজের অসাধারণ পারফর্ম্যান্সে আকসার তার প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দেশ-বিদেশে অর্জন করেছেন সুনাম।

আকসারের ক্রিকেট খেলা শুরু হয় তার গ্রাম মোল্লারচক থেকেই। শৈশবে মোল্লারচক টিমের একজন সদস্য হিসেবেই খেলতেন আকসার। খেলার প্রতি অসম্ভব আগ্রহ থাকায় শৈশব থেকেই আকসারের স্বপ্ন ছিলো টিভিতে খেলার। তার সকল স্বপ্ন পূরণে সর্বদা সহযোগিতা করে এসেছেন মা দিলারা বেগম। একই সাথে বিভিন্ন সহযোগিতা করেছেন আকসারের এক চাচা আজিজ আহমদও।

আজিজ আহমদ কুশিয়ারা নিউজকে জানান, আকসার যখন সবে ৯ম শ্রেণীর ছাত্র তখন সে জয়েন করে সিলেটের রাগীব-রাবেয়া স্পোর্টস একাডেমিতে। এখান থেকেই স্বপ্ন পূরণের দিকে এগিয়ে চলার পথ শুরু হয় তার। আকসার তার অসাধারণ পারফর্ম্যান্সে একে একে খেলতে থাকেন সিলেট ডিভিশন টিমে,  ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (ডি.ই.এ.এফ) সাইনরাইজ-হায়দ্রাবাদ টিমের হয়ে এবং বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী জাতীয় টিমের খেলোয়াড় হয়ে। প্রত্যেকটিতেই তার অসাধারণ পারফর্ম্যান্স যুক্ত হতে থাকে নিজের ক্যারিয়ারে।

এমনকি নিজের পারফর্ম্যান্সে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকেও আকসার অর্জন করেছেন সংবর্ধনা।

আকসারের মা দিলারা বেগম কুশিয়ারা নিউজকে বলেন, আকসার তার নিজ স্বপ্ন পূরণে নিজের অধ্যবসায় রেখে সামনের পানে এগিয়ে চলেছে। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব তাকে সাপোর্ট দিয়ে আসছি। আকসার যেনো আরোও অনেকদূর এগিয়ে গিয়ে নিজ এলাকা এবং দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে সেই প্রত্যাশা রেখে তিনি সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।

আকসারের পারফর্ম্যান্সঃ
(যমুনা টিভির সৌজন্যে)

কথা বলতে ও শুনতে না পারা আকসার খেলার মাঠে সতীর্থদের অনেক কিছু বোঝাতে না পাড়লেও কোচের ইশারায় ইনসুইং আর আউট সুইংয়ে ব্যাটসম্যানকে পরাস্থ করতে কোনো সমস্যা হয় না তার। 

ইনসুইং, আউটসুইং, বাউন্স, গতি, ভ্যারিয়েশন- সবকিছু মিলিয়েই দারুণ দক্ষতা রয়েছে তার। একজন ভালো ব্যাটারকে বিভ্রান্ত করতে যা প্রয়োজন সবই বিদ্যমান তার মাঝে।

আকসারের প্রতি দশ বলের তথ্য নিলে দেখা যায়, ৫টি বল ব্যাটারের ব্যাটেই লাগছে না। ৩ টি বল খেলতে ব্যাটার নিচ্ছেন রক্ষণাত্মক কৌশল, না হলে পড়তে হচ্ছে মুশকিলে। আর বাকি দুই বলে আকসার উপড়ে ফেলছেন স্ট্যাম্প কিংবা ফেলছেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে।

১৩৮ এর বেশি গতিতে বল করতে পারেন ৬ ফিট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার আকসার। এতসব থাকা এই পিতৃহীন আকসারের মুখে নেই ভাষা, অন্য শব্দে আকসার একজন বাকপ্রতিবন্ধী।

কোচের ইশারায় ঠিক জায়গা মতই বলগুলো করছেন। ইশারাতেই বুঝছেন ইনসুইং কিংবা আউট সুইংয়ের নির্দেশনা।

একাত্তর একাডেমির কোচ হাফিজ মোহাম্মদ সোহেল বলেন, সব ধরনের বলই করতে পারে আকসার। অফ কাটার, লেগ কাটার, ইয়র্কার সবই তার দখলে। তার মূল শক্তি আউট সুইং। ইনসুইংয়ে এখনও কিছুটা দুর্বলতা আছে।

সিলেট থেকে উঠে আসা আকসারের ধ্যানজ্ঞানজুড়ে শুধুই বোলিং, বোলিং আর বোলিং। সবকিছু মিলিয়ে তার খাবারের নাম বোলিং, তার ঘুমের উপাদানও বোলিং। সারাক্ষণই চলে ক্রিকেট বিশ্লেষণ আর পর্যবেক্ষণ। তার সময় কাটে বিশ্বসেরা নামীদামি সব পেসারের বোলিং দেখে।

একজন পেস বোলারের যে যে গুণ থাকা প্রয়োজন তার সবই আছে। স্রষ্টা প্রদত্ত গুণগুলো আছে একটু বেশিই। তবু এখন পর্যন্ত ডাক পাননি বিসিবি বা কোনো ক্লাব থেকে। যার অন্যতম কারণ মুখের ভাষা। কিন্তু যার কাছে ক্রিকেটের সব ব্যাকরণ ও সব ভাষাই জানা, তার কাছে মুখের ভাষা কি আদৌ কোনো সমস্যা?

ভিডিওঃ

Friday 3 September 2021

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে র‍্যাংকিংয়ের ৬নং পজিশনে উঠে গেলো বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে র‍্যাংকিংয়ের ৬নং পজিশনে উঠে গেলো বাংলাদেশ



নিউজিল্যান্ডকে ৪ রানে হারিয়ে আইসিসির টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে ছয় নম্বর পজিশনে উঠে গেলে বাংলাদেশ। এর আগে কিউইদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় জিতে দশ নম্বর পজিশন থেকে সাতে উঠে যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলটি।


শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে ইনিংস গুটায় নিউজিল্যান্ড। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৪ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২.৩ ওভারে দলীয় ১৬ রানে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। সাকিবের পর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদি হাসান। তার শিকার হন টম বান্ডেল। ৩.১ ওভারে দলীয় ১৮ রানে ফেরেন এ ওপেনার।  

১৮ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে উইলি ইয়াংকে সঙ্গে নিয়ে ৪৭ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক টম ল্যাথাম।

ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান সাকিব। তার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ২৮ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইয়াং। ১০.৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৬১ রান।


পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারো সেই নাসুম আহমেদের স্পিনে বিভ্রান্ত হন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১ রান করে নাসুমের বলে আউট হওয়া নিউজিল্যান্ডের এ তারকা ব্যাটসম্যান এদিনও সেই একই বোলারের স্পিনে শিকার হন। দ্বিতীয় ম্যাচে ফেরেন ১০ বলে মাত্র ৮ রান করে। তার বিদায়ে ১৪.২ ওভারে ৮৫ রানে ৪ উইকেট হারায় কিউইরা।

নাসুমের পর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদি হাসান। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন হেনরি নিকোলাস। ১৫.৩ ওভারে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন নিকোলাস।

এরপর কলিন ম্যাককলিনচকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ২৮ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক টম ল্যাথাম। এই জুটিই দলকে জয়ের পথে নিয়েছিল। 

শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম চার বলে দেন ৭ রান। পরের দুই বলে কিউইদের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। পঞ্চম বলটি ‘নো’ করেন ফিজ। শেষ দুই বলে নিউজিল্যান্ডকে ৮ রান করতে হতো। পঞ্চম বলে দুই রান নেয় নিউজিল্যান্ড। 


জয়ের জন্য শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে হতো নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথামকে। কিন্তু তিনি এক রানের বেশি নিতে পারেননি। ৪ রানের জয় পায় টাইগাররা। 


এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া ৩৩ রান করেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। 

শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিংয়ে ৯.৩ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৫৯ রান যোগ করেন নাঈম। 

২৯ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রান করে রাচিন রবিন্দ্রর স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন লিটন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। 

লিটন আউট হওয়ার পর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপদে পড়েন মুশফিকুর রহিম। রাচিন রবিন্দ্রর বলে গোল্ডেন ডাক পান জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক।  


চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ বলে ১২ রান করে ফেরেন সাকিব আল হাসান। তার বিদায়ে ৭২ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল। 

এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত রান সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে আউট হন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। রাচিন রবিন্দ্রর করা বলটি বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন এ ওপেনার। ৩৯ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩৯ রান করে ফেরেন তিনি। 

নাঈম আউট হওয়ার পর ৩ বলে ৩ রান করে ফেরেন আফিফ হোসেন। তার বিদায়ে ১৬.২ ওভারে ১০৯ রানে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট।

এরপর নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ২২ বলে ৩২ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন সোহান। তিনি ফেরেন ৯ বলে ১৩ রান করে। ৩২ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪১/৬

নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৩৭/৫

ফলাফল: বাংলাদেশ ৪ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (বাংলাদেশ)।

Wednesday 1 September 2021

কিউইদের হতাশ করে এগিয়ে গেল টাইগাররা

কিউইদের হতাশ করে এগিয়ে গেল টাইগাররা




অস্ট্রেলিয়া সিরিজ যেখানে শেষ করেছিল বাংলাদেশ, যেন সেখান থেকেই শুরু করেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। অজিদের কাছে টাইগাররা চতুর্থ ম্যাচে হারলেও ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল।

এবার কিউইদের বিপক্ষেও শুরুটা সেরকম। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে তারুণ্য নির্ভর একটা দল। তার খেসারতও দিতে হলো প্রথম ম্যাচেই।


টাইগার বোলারদের তোপের মুখে মাত্র ৬০ রানে অল-আউট হয়ে যায় কিউইরা। যা নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বনিম্ন রান। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে ৬০ রানে অল-আউট হয়ে যায়।

৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৬ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। যদিও শুরুতে দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস ফিরে যান সমান ১ রান করে। নাঈমকে ফেরান ম্যাককনিক আর লিটনকে ফেরান প্যাটেল।

এরপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহিম। সাকিব ২৫ রান করে রবীন্দ্রর বলে ক্যাচ দিয়ে দলীয় ৩৭ রানের মাথায়।

এরপর অবশ্য আর উইকেট দিতে হয়নি কিউই বোলারদের। মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহ’র ২৫ রানের জুটিতে ভর করে ১৬ ওভারেই জয় তুলে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

এর আগে বিকালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম ল্যাথাম।

ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই শেখ মেহেদী হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন অভিষিক্ত রাচীন রবিন্দ্র। তৃতীয় ওভারের সাকিবের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার উইল ইয়ং (৫)।


দলীয় ৯ রানেই কিউইরা হারায় ৪ উইকেট। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে টম ল্যাথাম ও হ্যানরি নিকলস ৩৪ রানের জুটি গড়লেও সাকিব-মোস্তাফিজদের সামনে অসহায় আত্নসমর্পন করা ছাড়া উপায় খুঁজে পায়নি কিউই ব্যাটিং লাইন আপ।

ল্যাথাম ও নিকলস খেলেন সমান ১৮ রানের ইনিংস। বাকিদের কেউই পার হতে পারেননি দশ রানের কোঠা। তাতে ১৬ ওভার ৫ বলে অল-আউট হয়ে যায় ৬০ রানে।

মোস্তাফিজুর রহমান নেন ২.৫ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, নাসুম আহমেদ ও সাইফউদ্দিন। ১ উইকেট নেন মেহেদী হাসান।
প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড

প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড



টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জেতার পর ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিউইরা।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) হোম অব ক্রিকেট থেকে ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), গাজী টেলিভিশন (জিটিভি) ও টি-স্পোর্টন। অনলাইনে র‌্যাবিটহোল বিডির ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাবে ম্যাচটি।


অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে জয় তোলার সুখস্মৃতী নিয়ে মাঠে লাল-সবুজরা। ওই সিরিজে দলে ছিলেন না মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাস। তবে ব্ল্যাকক্যাপসদের বিপক্ষে স্কোয়াডে রয়েছেন দুইজনই।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে রাচিন রবীন্দ্র ও কোল ম্যাকনির।

এর আগে দল দুটি মোট ১০ বার সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে মুখোমুখি হয়েছে। যদিও একবারও জয় পায়নি বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দলঃ

লিটন কুমার দাস, নাইম শেখ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন দ্রুব, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শেখ মাহাদি হাসান, সাইফ উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান ও নাসুম আহমেদ।

নিউজিল্যান্ড দলঃ

রাচিন রবীন্দ্র, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, উইল ইয়ং, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), হেনরি নিকোলস, কোল ম্যাকনি, ডগ ব্রাসওয়েল, এজাজ প্যাটেল, ব্লেয়ার টিকনার ও জ্যাকব ডাফি।

Thursday 19 August 2021

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তামিমকে বাদ দিয়ে ১৯ সদস্যের বাংলাদেশ দল ঘোষণা

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তামিমকে বাদ দিয়ে ১৯ সদস্যের বাংলাদেশ দল ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্কঃ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের ১৯ জন সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

দলে যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। জিম্বাবুয়ে সফরের স্কোয়াডে থাকা অলরাউন্ডার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও আছেন দলে।


তবে হাঁটুর ইনজুরি সেভাবে সেরে না ওঠাও এ সিরিজেও বিশ্রাম নিয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ১৯ সদস্যের স্কোয়াডে ঠাঁই হয়নি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনেরও। ফর্ম না থাকায় সুযোগ হারিয়েছেন তিনি। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া সিরিজের খেলা বিজয়ী দলের সবাই রয়েছেন স্কোয়াডে। 

বাংলাদেশ স্কোয়াড:

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নাইম শেখ, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, শেখ মাহেদি হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, নাসুম আহমেদ।

Tuesday 17 August 2021

ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলাঃ মাশরাফির বাসার সামনে গ্রাহকদের ভিড়

ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলাঃ মাশরাফির বাসার সামনে গ্রাহকদের ভিড়



ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করেছেন একজন গ্রাহক।পণ্যের নগদ টাকা নিয়ে মাসের পর মাস পণ্য না দেওয়ায় মামলাটি করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে গুলশান থানায় এ মামলা করা হয়।


গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে একজন গ্রাহক বাদী হয়ে একটি প্রতারণা মামলা করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।

এর আগে সোমবার বিকালে ই-অরেঞ্জের গুলশান কার্যালয়ের সামনে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকরা বিক্ষোভ এবং সড়ক অবরোধ করেন। এরপর তারা প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা বাসার সামনে যান। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন মাশরাফি।
আমি যে জেলার হয়ে কখনো খেলিনি তারা আমাকে কিভাবে নিষিদ্ধ করে: নাসুম আহমদ

আমি যে জেলার হয়ে কখনো খেলিনি তারা আমাকে কিভাবে নিষিদ্ধ করে: নাসুম আহমদ



ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মত হারানোর পর ম্যাচ জয়ের নায়ক নাসুম আহমেদের পারফরম্যান্সের আলোচনায় পারদ চড়িয়ে ছিল তার নিষিদ্ধ হওয়ার সংবাদ। দেশের গণমাধ্যমে খবর হয়েছিল, নিজ জেলা সুনামগঞ্জে আজীবন নিষিদ্ধ রয়েছেন বাঁ-হাতি এই স্পিনার।


সেখানে বলা হয়েছিল, ২০১৫ সাল নাসুমের দুর্দান্ত পারফর্মে মুগ্ধ হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা দলে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে নিজ জেলার হয়ে ম্যাচ না খেলে সিলেট বিভাগীয় দলের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন নাসুম। আর সেকারণে তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করে সুনামগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা। তবে দীর্ঘ সাত বছর পর নাসুম বা তার ক্লাবের পক্ষে কেউ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট বিভাগের সম্পাদক রেজানুল হক রাজা। এদিকে নিষেধাজ্ঞার পুরো বিষয়টি অস্বিকার করলেন টাইগার স্পিনার নাসুম।

‘আজীবন নিষিদ্ধ’ হওয়ার খবরে বিস্মিত নাসুম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমার জন্ম, বড় হওয়া, পড়ালেখা কিংবা ক্রিকেট খেলা, সবকিছুই সিলেটে। আমার বাবার জন্মও সিলেটে। একসময় আমার দাদাবাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায় ছিল। কিন্তু আমার দাদা ১৯৫৮ সালে সিলেটে স্থায়ীভাবে চলে আসেন। ছোটবেলা সুনামগঞ্জে একবার গিয়েছিলাম এবং রাস্তাঘাটও ঠিক ভাবে চিনিনা ওখানকার। পরবর্তীতে ওখানকার একটা টুর্নামেন্টে একবার 'খ্যাপ' খেলতে গিয়েছিলাম।’

যেখানে সুনামগঞ্জের হয়ে কখনও খেলিনি সেখানে নিষিদ্ধ কিভাবে হই- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি আরো লিখেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদে হয়তো অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছেন আমি আমার জেলা দলে নিষিদ্ধ। কিন্তু আমি যে জেলার হয়ে কখনো খেলিনি তারা আমাকে কিভাবে নিষিদ্ধ করে? ২০০৫ সালে ১১ বছর বয়সে আমি পেশাগতভাবে ক্রিকেট শুরু করি এবং ওই বছর জেলা ক্রিকেটে সুনামগঞ্জের কোন দলই ছিল না। তখন থেকে সবসময়ই সিলেটের হয়ে খেলেছি। সিলেট লীগে খেলেছি ২০০৬ সাল থেকে এবং সিলেট জেলা দলে খেলেছি ৩ বছর, আর বিভাগীয় দলে ২০১০ সাল থেকে।’


নাসুম আহমেদ দেশের হয়ে ইতিমধ্যেই ৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ১৮.৬০ স্টাইক রেটে নিয়েছেন ১০ উইকেট। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টাইগার স্পিনে অন্যতম অস্ত্র ছিলেন বাঁ-হাতি অর্ধোডক্স স্পিনার নাসুম। তার সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ভক্ত-সমর্থকদের কাছে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য দোয়া চেয়ে লিখেন, ‘আল্লাহ্‌ এর অশেষ রহমতে আমি বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যেতে সবার দু'য়া কামনা করি।

Saturday 7 August 2021

অস্ট্রেলিয়ার নাভিশ্বাস তুলে হারল টাইগাররা

অস্ট্রেলিয়ার নাভিশ্বাস তুলে হারল টাইগাররা



স্পোর্টস ডেস্কঃ অবশেষে জয়ের দেখা পেল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিন টি-টোয়েন্টিতে হেরে আগেই সিরিজ হারায় সফরকারীরা।

শনিবার চতুর্থ ম্যাচে টাইগারদের ৩ উইকেটে হারিয়ে জয়ে ফিরল অস্ট্রেলিয়া। 

এদিন টস জিতে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান করে বাংলাদেশ।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩ রানে অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডের উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।


দলকে চাপমুক্ত করতে চতুর্থ ওভারে সাকিব আল হাসানকে ৫টি ছক্কা হাঁকান ডেন ক্রিষ্টিয়ান। 

এরপর মাত্র ১৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফের কোণঠাসা হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে অ্যাস্টন অ্যাগার ও অ্যাস্টন টার্নারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ের কাছাকাছি চলে যায় অসিরা।

জয়ের জন্য শেষ ১৫ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৬ রান। খেলার এমন সময় শরিফুলের বলে শামিম হোসেনের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হয়ে সাজঘরে ফেরেন অ্যাস্ট অ্যাগার।

তবে অ্যান্ডু টাইকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন অ্যাস্টন টার্নার।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১০৪/৯ (মোহাম্মদ নাঈম ২৮, মেহেদি হাসান ২৩, আফিফ হোসেন ২০, সাকিব ১৫; মিচেল সোয়েসপন ৩/১২, অ্যান্ডু টাই ৩/১৮)।

অস্ট্রেলিয়া: ১৯ ওভারে ১০৫/৭ (ডেন ক্রিস্টিয়ান ৩৯, অ্যাস্টন অ্যাগর ২৭, অ্যাস্টন টার্নার ৯*)।

ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয়ী।