বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবিলায় ৬২৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৮ হাজার ৪৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সোমবার (৯ মে) বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সংকেত বাড়লই জরুরি সভা ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ইতোমধ্যে জেলায় মোট ৬২৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির বরগুনার টিম লিডার জাকির হোসেন মিরাজ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৮ হাজার ৪৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। ৪ নম্বর সতর্কসংকেত জারি হলেই তারা কার্যক্রম শুরু করবেন।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে বরগুনায়। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। কোথাও কোথাও বইছে দমকা হাওয়া। অশনির প্রভাবে টানা বর্ষণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
বরগুনা জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপপরিচালক আবদুল লতিফ জানিয়েছেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় অশনি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
সোমবার (৯ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। ধীরে ধীরে এটি উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।