সিলেট থেকে শেওলা স্থলবন্দর পর্যন্ত যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের যাতায়াত সহজ করতে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সিলেটের চার উপজেলায় লাগবে উন্নয়নের ছোঁয়া। এসব উপজেলায় বাড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রম।
জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৭ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে ২ হাজার ৮৮৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে দেবে বিশ্বব্যাংক। বাকি ১ হাজার ৩৭০ কোটি ২৫ লাখ টাকা দেবে সরকার।
সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, গোলাপগঞ্জ এবং বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। চলতি বছরে শুরু হয়ে প্রকল্পটি ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, সিলেট থেকে শেওলা স্থলবন্দর পর্যন্ত যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের যাতায়াত দ্রুত ও সহজতর করা, মহাসড়কের উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন তৈরির মাধ্যমে স্থানীয় যানবাহন এবং ধীর গতির যানবাহন চলাচলের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বয়স্ক, মহিলা, শিশু এবং অন্য অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা এবং সড়ক দুর্ঘটনা কমানো।
এ ছাড়া বিবিআইএন করিডোর, সাসেক করিডোর, এশিয়ান হাইওয়ে, বিমসটেক করিডোর, বিসিআইএম করিডোর, সার্ক করিডোরের সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রম বাড়ানো। একই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখা।
প্রকল্পের আওতায় ২৪৭ দশমিক ১৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ৪২ দশমিক ৮০ লাখ ঘনফুট মাটির কাজ, ৪২ দশমিক ৯৮৫ কিলোমিটার পেভমেন্ট নির্মাণ, ১৫৭৫ জন-মাস পরামর্শক সেবা, ৩১টি কালভার্ট, ৩টি সেতু একটি ফ্লাইওভার, ৬টি ওভারপাস, ২টি আন্ডারপাস, ৪টি ফুটওভার ব্রিজ, ৭টি পথচারী পারাপার, ১টি টোল প্লাজা নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সংযুক্ত বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সিলেট থেকে শেওলা স্থলবন্দর পর্যন্ত যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের যাতায়াত দ্রুত ও সহজ হবে। এ ছাড়া, বিবিআইএন করিডোর, সাসেক করিডোর, এশিয়ান হাইওয়ে, বিমসটেক করিডোর, বিসিআইএম করিডোর, সার্ক করিডোরের সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রম বাড়বে, ভূমিকা রাখবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে।