Sunday, 8 January 2023

কুলাউড়া ট্রাজেডি : ‘অন্তিম শয়নে তারা’



দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী রাজু মিয়া। তাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে আনতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন বোন-ভাই-ভাগ্নিসহ পরিবা রের বেশ কয়েকজন। হাস্যজ্জ্বল চেহারা নিয়ে উৎফুল্ল মনে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।

কিন্তু পথিমধ্যে থমকে যায় সকল স্বপ্ন। হাসিমুখ মলিন হয়ে নিমিষেই ঘটে যায় এক ট্রাজেডি। ট্রাক,মাইক্রোবাস ও পিকআপ ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে সেখানে প্রাণ হারান শিশুসহ ৫ ব্যক্তি। বলছিলাম ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুর নামক স্থানে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কথা।

হৃদয়বিদারক মর্মান্তিক দূর্ঘটনার পর সিলেটজুড়ে নেমেছে বিষাদ। উপজেলাজুড়ে বইছে শোকের মাতম। স্বজনদের আর্তনাদে নিঃস্তব্ধ হয়ে যায় গোটা এলাকা।

এদিকে শনিবার (৭ জানুয়ারি) বাদ আসর অশ্রুসিক্ত নয়নে জানাজা শেষে কুলাউড়া ও কমলগঞ্জে নিহতদের বাড়িতে তাদের দাফন করা হয়। অন্তিম শয়নে শেষ বিদায় জানাতে জানাযায় দুর-দুরান্ত থেকে হাজারো মানুষ উপস্থিত হন। এসময় শোকে স্তব্ধ দেখা যায় স্বজনদের।

জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মাদানগর গ্রামে প্রবাসী রাজুর ছোটভাই সিহাবের (১৩) জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। একই উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের গাড়িচালক সাদি রের (৩২) লাশও তার এলাকায় জানা জা শেষে দাফন করা হয়। বাকি তিনটি লা শ কমলগঞ্জের ভেড়ারচর গ্রামে দাফন করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালাম (৩২), তার স্ত্রী সাদিয়া (২১) ও তাদের শিশুসন্তান হাবিবা (২)। তারা প্রবাসী রাজুর ভগ্নীপতি, বোন ও ভাগ্নি।

এরআগে শনিবার (৭ জানুয়ারি) গভীর রাত আনুমানিক ২টায় ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুর নামক স্থানে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায় কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মাদানগর গ্রামের ক্বারী নুরুল হকের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী রাজু মিয়াকে আনতে পরিবারের ৮ সদস্য মাইক্রোবাসে করে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান। 

শেয়ার করুন