Tuesday, 6 December 2022

করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার ঘোষণা



দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবীর।

আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু এ টিকা দেওয়ার কার্যক্রম। ষাটোর্ধ্ব মানুষ এ ডোজ আগে পাবেন।

এই টিকা দেওয়া কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে, সচিবালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল জেনারেল হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল।

সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। টিকা দেওয়ার ব্যাপারে টেকনিক্যাল কমিটিরও সম্মতি আছে। দ্রুত এ টিকা দেওয়া শুরু হবে।


গতকালের এক হিসেবে দেখা যায় দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৯৫৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৮ লাখ ৩৭ হাজার ১০০ জন।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৩১৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৪১৭ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে।

এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৯ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৮৩৬ জন।

২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ৭৭৩ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৭২ হাজার ৩৫২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২ হাজার ২৯৬ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন তিন হাজার ৯০৪ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজারের বিশেষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৪৭৪ জনকে। এখন পর্যন্ত এ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮১৬ শিশু। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ১২ হাজার ৮৭০ শিশুকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭০ হাজার ১২২ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে।তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৮৯ জন। 

শেয়ার করুন