নিজস্ব প্রতিবেদক: জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের জহিরপুর গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ৪টি ঘর ও সীমানা প্রাচীর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় জহিরপুর গ্রামের মৃত ইয়ারিছ মিয়ার ছেলে সিরাতুল আম্বিয়া টিপু বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত ওয়াজিব উল্লা ছেলে দ্বীনুল ইসলাম বাবুলকে প্রধান আসামী করে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা (মামলা নং ১৩, তারিখ- ২৯-০৪-২০২২ইং) দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। গত ২৭ এপ্রিল রাতে জহিরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২৭ এপ্রিল রাতে লন্ডন প্রবাসী শেখ আব্দুল হক তারেক মিয়া গং ও মোঃ সিরাতুল আম্বিয়া টিপুর মালিকানা বাগান বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ও সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করেন একই গ্রামের দ্বীনুল ইসলাম বাবুল ও তার লোকজন। এসময় সিরাতুল আম্বিয়া টিপু ও লন্ডন প্রবাসী শেখ আব্দুল হক তারেক মিয়ার বাড়ীর কেয়ার- টেকার মোঃ আমির আলী জুয়েল তাদের বাধা দিতে চাইলে বিবাদী দ্বীনুল ইসলাম বাবুল ও তার সহযোগি আজিজুর রাজা চৌধুরী ওরফে আনা, শাহনাজ চৌধুরী, সৈয়দ এনামুল হক, সুজেল আহমদ ও রেজা ওরফে রাজা চৌধুরী সহ বিবাদীরা তাদের দুজনের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমন করে আহত করে।
এজাহারে মামলার বাদী আরো উল্লেখ করেন, বিবাদীদের সাথে মৌরশি স্বত্ত ও দখলীয় বাড়ী (বাগান বাড়ী) ভূমি নিয়ে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিবাদীগণ অনেকদিন থেকেই বাদীর দখলীয় জয়হরিপুর মৌজার (জেএল নং- ১১১, খতিয়ান নং- ২৩০, দাগ নং- ৩৯০, পরিমান ০.১৬ একর, খতিয়ান নং- ১৪৮, দাগ নং- ৩৯০ পরিমান ০.১৮ একর, দাগ নং ৩৯০ পরিমান ০.১৪ একর) সর্বমোট আট চল্লিশ শতক ভূমি অন্যায় আত্মসাৎ করতে উঠেপড়ে লেগেছিল। এরজন্য তারা বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বনসহ নানাভাবে হুমকী- ধামকি দিয়ে আসছিল বলে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী ভুক্তভোগী মোঃ সিরাতুল আম্বিয়া টিপু জানান, অনেক দিন থেকেই তারা আমাদের জায়গাটি দখলের জন্য লিপ্ত ছিল।ঘটনার দিন এক্সেভেটর মেশিন ও তাদের হাতে থাকা সাবল, বড় হেমার দিয়ে আমাদের ৪ টি ঘর ও সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে এক কোটি বিশ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। এ ঘটনায় মামলা দেওয়ার পর থেকে আসামীরা আমাকে ও মামলার স্বাক্ষীদেত বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও প্রানে হত্যার হুমকি দিচ্ছি। তিনি নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, জগন্নাথপুর থানার এসআই জিয়া উদ্দিন জানান, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই জায়গাটি নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞার একটি বিষয় আমি শুনেছি, তবে আমাদের কাছে আদালতের কাগজপত্র এখনো এসে পৌছায়নি। আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামীরা আদালত থেকে জামিন লাভ করেছে। তাই তাদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছেনা। আর যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে। এই জায়গায় আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদলতের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র আমাদের কাছে এখনো আসেনি। আসলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
খবর বিভাগঃ
সুনামগঞ্জ