Saturday, 14 May 2022

চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুর এপ্রোচ সড়ক দু'টিতে মারাত্মক ধস: দুর্ঘটনার আশঙ্কা


গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুর দুই পাড়ের এপ্রোচ সড়ক দুটিতে বিশাল ধস নেমেছে। সেতুর চন্দরপুর ও সুনামপুর পাড়ের সড়ক দুটিতে বিরাট ফাটলের পাশাপাশি ধসে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যেকোনো সময় সড়কটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর চন্দরপুর পাড়ে গার্ডার সাইটে বিরাট ফাটল দেখা দিয়েছে। আর এদিকে চলমান অতিবৃষ্টির পানি এই ফাটল দিয়ে ঢুকে রোডের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় বিরাট ধসের সৃষ্টি করেছে। আর তাতে এখানে বড়ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। এ অংশে কিছুদিন পূর্বেও গার্ডার সাইটের ব্লকগুলো ধসে পড়ে সেখানে বিরাট গর্তের সৃষ্টি করেছিলো। ওই সময় সৃষ্ট গর্তে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর বস্তা ফেলে ধস আটকানোর চেষ্টাও করেছিলো। কিন্তু এতোকিছুর পরও এখানকার ধস কোনোভাবেই আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই এখানে দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না গেলে পুরো রোডটিই ধসে পড়বে। 

চন্দরপুর পাড়ে বিরাট ফাটল। বৃষ্টিতে যা বড় ধরণের ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে।


সুনামপুর পাড়ে গিয়ে দেখা যায় সেখানে বিরাট ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। চলমান অতিবৃষ্টির ফলে এখানকার রোডের নিচের মাটি সরে গিয়ে ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে সড়কটি। সড়কের ভাঙ্গনের অংশে প্রায় মাঝ বরারবর পর্যন্ত মাটি ধসে পড়েছে, ফলে এ অংশের রোডটি প্রায় শূন্যে ঠিকে রয়েছে। আর তাতে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে এ অংশটি। যেকোনো সময় এখানে মারাত্মক দুর্ঘটনার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

সুনামপুর পাড়ে বিরাট গর্তের সৃষ্টি। সড়কের নিচের মাটি সরে গিয়ে ব্যাপক ঝুঁকি তৈরি করেছে। 

শাহজান আহমদ নামের একজন পথচারী বলেন, সেতুর দুই পাড়ের এপ্রোচ সড়ক দুটিতে মারাত্মক ধরণের দুটি ধস নেমেছে। যেকোনো সময় এ সড়ক দুটি ভেঙ্গে পড়তে পারে। তাই দ্রুত সময়ে তা সংস্কার করা না হলে বড় ধরণের দুর্ঘটনার পাশাপাশি যাতায়াত ব্যবস্থা একদম বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে সিলেট সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দ্রুত সংস্কার কাজের আশ্বাস প্রদান করেন।

চন্দরপুর-সুনামপুর সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শহর ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করে থাকেন। এ সেতু দিয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা পূর্বাঞ্চলের মানুষজন-সহ পূর্ব সিলেটের বিয়ানীবাজার, বড়লেখা তথা মৌলভীবাজারের বৃহৎ অঞ্চলের মানুষজন সহজেই বিভাগীয় শহরে যাওয়া-আসা করেন। ফলে এ সেতু ও সড়কটি দিয়ে যাতায়াতের চাপ ব্যাপক। তাই এপ্রোচ সড়ক দুটির গর্তগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা না হলে সড়কটি ভেঙ্গে গিয়ে দুর্ঘটনার পাশাপাশি যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় সড়কটি ধসে যাওয়ার হাত থেকে দ্রুত রক্ষা করা না হলে জনদুর্ভোগ চরমে গিয়ে পৌঁছবে।

শেয়ার করুন