Thursday, 5 May 2022

বিয়ানীবাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ৬জন আহত, ঈদ কেটেছে হাসপাতালে


বিয়ানীবাজারে একটি পরিবারের ঈদ কেটেছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত ২৭ এপ্রিল (বুধবার) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে ওই পরিবারটির ৬জন সদস্য ভর্তী আছেন হাসপাতালে। এরমধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক। পরিবারের ৬ সদস্য আহত হওয়ায় এই পরিবারটির সকল সদস্যরা ঈদ কাটিয়েছেন হাসপাতালে।

হামলায় আহতরা হলেন, বিয়ানীবাজার উপজেলার জলঢুপ কমলাবাড়ি গ্রামের খোরশেদ আলমের পুত্র আজাদ হোসেন, আজাদ হোসেনের পুত্র শামিমুল হক,  শাহেদুল হক, শফিকুল হক, সাইদুল হক, বদরুল হক। 

এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় একটি মামলা (মামলা নং-৪, তারিখ ২/০৫/২০২২ ইংরেজি) দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আজাদ হোসেন । 

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায় , গত ২৭ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বিয়ানীবাজার উপজেলার দক্ষিণ পাড়িয়াবহর গ্রামের মৃত মনির আলীর ছেলে আবুল কালাম ওয়েছ, মহব্বত আলীর ছেলে বিলাল উদ্দিন, বিলাল উদ্দিনের ছেলে আহমদ গংরা প্রায় অর্ধ শতাধিক লোক নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে আজাদ হোসেনের বাড়ির সামনে তাদের সেনেটারি ও ফার্ণিচার দোকানে হামলা চালায়। 

এসময় তাদের হামলায় আজাদ হোসেনের ৫ ছেলে ও তিনিও আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে আহত শামীমুল হক ও বদরুল হকের চিকিৎসা হলেও আজাদ হোসেন ও তার তিন ছেলে সাহেদুল হক, সাইদুল হক এবং শফিকুল হকের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। 

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আজাদ হোসেন বলেন, আবুল কালাম ওয়েছ ও বিলাল উদ্দিন গংরা আমাদের দোকান ও বাড়ির জায়গা দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছিল। আবুল কালাম ওয়েছ বিয়ানী বাজার থানার সাবেক ওসি সৈয়দ মোনায়েম ইসলাম খুনের ২নং আসামী। সে তার সহযোগিদের নিয়ে আমার ছেলেদের প্রাণের মাররা জন্য এ হামলা চালিয়েছে। এমনমি আসামীরা সিলেট ওসমানী হাসপাতালেও এসে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমার ছেলেদেরও অবস্থা আশংকাজনক। 

এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ হিল্লোল রায় জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ বিয়ানীবাজার থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ চেষ্টা করছে। 

শেয়ার করুন