Thursday, 17 March 2022

সিলেট-৬ আসনের সাবেক এমপি লেচু মিয়া আর নেই


সিলেট-৬ আসনের সাবেক দুইবারের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া আর নেই ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।

বুধবার(১৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও লেচু মিয়ার ছেলে সৈয়দ তানভীর হোসেন।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর।

ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজার- বাসীর কাছে লেচু মিয়া হিসাবেই বেশী পরিচিত ছিলেন।দুইবারের নির্বাচিত স্বতন্ত্র সাংসদ হিসাবে তিনি এই নির্বাচনী এলাকার অনেক উন্নয়ন কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

তাঁর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয়-স্বজন ও নির্বাচনী এলাকার সচেতন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য, ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, নাতি নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) ঢাকার ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে জানাজা শেষে বনানী গোরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হবে নিশ্চিত করেছেন তাঁর একমাত্র পুত্র সৈয়দ তানভীর হোসেন।

মরহুমের মৃত্যুর সংবাদে গোলাপগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।সৈয়দ মকবুল হোসেন ১৯৪৬ সালে সিলেটের গোলাপগঞ্জের পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ এবং এমএ পাশ করেন। পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।মকবুল হোসেন সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।তিনি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৫ সালে তিনি উপসচিব পদ থেকে পদত্যাগ করে ব্যবসা শুরু করেন।তিনি তাঁর জন্মস্থান আমুড়া ইউনিয়নে  প্রতিষ্ঠাতা করেন ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় ও ডিগ্রি কলেজ।

এছাড়া বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।সৈয়দ মকবুল হোসেন ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিলেট-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে তিনি জড়িত থাকলেও ১৯৯১ সালের পর যোগ দেন বিএনপিতে।

১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে একই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতি থেকে তিনি অবসরে ছিলেন। 

শেয়ার করুন