গত ১৪ মার্চ, সোমবার ছিল ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের পঞ্চদশ বই মেলার সমাপনী দিন। ঐদিন মেলায় ছিল লেখক পাঠক সহ বইপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়। এমনই এক আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রসঙ্গ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্রী বর্তমানে ভাদেশ্বর মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা, জয়ন্তী রানী চক্রবর্তীর সঞ্চালনায়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিভাগের উপ—পরিচালক ড. সালাহ উদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লিডিং ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কাজী আজিজুল মাওলা।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক, গবেষক ও সংগঠক ড. সেলু বাসিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরটিএম আল কবীর টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস এন্ড ডেভলাপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ডীন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ, লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ, লিডিং ইউনিভার্সিটির সহকারী রেজিষ্ট্রার (্পিআর) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।
কবি ও সংগঠক কামাল আহমদের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লেখক, কলামিস্ট, গীতিকার বেলাল আহমদ চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক, গবেষক মাওলানা শামসীর হারুনুর রশিদ, কবি ও কাউন্সিলর নাজনীন আক্তার কনা, কবি ও ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন চৌধুরী মহি, উপনস্যাসিক, গবেষক ও মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, ছড়াকার তারেশ কান্তি তালুকদার, প্রভাষক মাহবুবুর রব নয়ন, কবি শাহ আব্দুস সালাম, কবি ও শিক্ষক লিলি বেগম, গীতিকার বাহা উদ্দিন বাহার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেন, বইটির লেখক মোঃ আব্দুল মালিক একটি ভালো কাজ করেছেন, তিনি একটি ভালো বই লিখেছেন, সময় উপযোগী বই লিখেছেন, বইটির মূল বিষয়ের বর্ণনা আরো বিস্তৃত হওয়ার প্রয়োজন ছিল। আগামী সংস্করণে বইটি আরো বড় আকারে, আরো তথ্য সমৃদ্ধ করে লেখক প্রকাশ করবেন লেখকের লেখনি অব্যাহত থাকবে। পাঠকরা তাঁর কাছ থেকে আরো মূল্যবান বই উপহার পাবেন এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধান বক্তা ড. সেলু বাসিত বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোন ভূমিকা নিয়েছেন এমন কোন লিখিত তথ্য পাওয়া যায় না। তিনি গড়ের মাঠের সভায় উপস্থিত ছিলেন না এ কথা সম্পূর্ণ সত্য। লেখক আব্দুল মালিক বিষয়টির স্বপক্ষে অনেক তথ্য সূত্র দিয়েছেন। আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ বলেন, লেখক মোঃ আব্দুল মালিক উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত বইটি লিখেছেন। একজন স্পষ্টভাষী মানুষ; যা বিশ্বাস করেন তা অকপটে স্বীকার করেন। এ বইটি পাঠে পাঠকরা অনেক বিভ্রান্তি থেকে নিস্কৃতি পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমদ বলেন, বিষয়ের তুলনায় বইটির কলেবর অনেক ছোট হয়ে গেছে, আগামী সংস্করণে লেখক আরো বেশি তথ্য সমৃদ্ধ করে বইটি আরো বড় আকারে প্রকাশ করবেন বলে মত প্রকাশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, শিক্ষক আব্দুল মালিক একটি গবেষণাধর্মী বই আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন, তিনি নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন, তাঁর কাছ থেকে আমরা আরো অনেক অনেক মূল্যবান বই উপহার পাবো সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে অতিথিবৃন্দ ও সুধী মন্ডলীকে উপস্থিত হয়ে সভাকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বইটির লেখক মোঃ আব্দুল মালিক তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, প্রধান অতিথি, প্রধান বক্তা, বিশেষ অতিথিরা উপস্থিত হয়ে বইটির সম্পর্কে মূল্যবান বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য তাঁদেরকে কৃতজ্ঞতার সহিত ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও “সার্জন টিভি চ্যানেল” অনলাইনে অনুষ্ঠানটির সম্পূর্ণ লাইভ প্রচার করায় ও উপস্থিত সুধী মন্ডলীকে ধন্যবাদ জানান।
খবর বিভাগঃ
কুশিয়ারা নিউজ
সাহিত্য