২ মাস ১৯ দিন পর হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’র উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
এরআগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে তার চিকিৎসক প্রফেসর ফখরুদ্দিন মো. সিদ্দিকী বলেন, আপাত দৃষ্টিতে খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ভবিষ্যতে যে রক্তক্ষরণ হবে না সেটার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তিনি বলেছেন, ‘দেশে ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাই ম্যাডামের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি রয়েই গেছে। যেহেতু উনার অবস্থা এখন স্ট্যাবল (স্থিতিশীল) আছে সেক্ষেত্রে আমাদের তত্ত্বাবধানে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। সে কারণেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাসায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, তাহলে আবার তাঁকে হাসপাতালে রিসিভ করতেও প্রস্তুত আছি আমরা।’
অসুস্থতার কারণে গত ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি করা হয় খালেদাকে। পরদিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয় তাঁকে।
গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি (খালেদা জিয়া) লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তাঁর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া দরকার। যদিও সরকার এ ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি।
এর মধ্যে সেবা-পরিচর্যায় তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে সিসিইউ থেকে ৯ জানুয়ারি রাতে কেবিনে স্থানান্তর করা হয় বিএনপি প্রধানকে।
এরপর গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে খালেদা জিয়ার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষাগুলো হচ্ছে-আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, ব্লাড-সুগার, সোডিয়াম, হিমোগ্রোবিন,স্টুল, ইউরিন ও করোনাভাইরাস। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতির কথা উঠে আসে।
খবর বিভাগঃ
বাংলাদেশ