গোলাপগঞ্জের চন্দরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাইক্রোবাস (কার) খাঁদে এবং অপর আরেকটি মিনিবাস (নোহা) গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সিলেট থেকে বিয়ানীবাজারগামী মাইক্রোবাস(কার) চন্দরপুরের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আতিকুর রহমানের বাড়ির নিকট আসলে হঠাৎ করে গাড়িটির চাকা ফুটো হয়ে যায়। এসময় চালক গাড়িটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও রাস্তা মারাত্মক পিচ্ছিল হওয়ায় তা খাঁদে পড়ে যায়। এঘটনার সময় অপর আরেকটি নোহা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
মাইক্রোবাস(কার) চালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাস্তাটি মারাত্মক পিচ্ছিল থাকায় কোনোভাবে গাড়িটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় নি। রাস্তা থেকে পিচ্ছিল খেয়ে গাড়িটি সোজা পাশের কাদাযুক্ত জমিনে পড়ে যায়। এতে গাড়িটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
তবে এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও গাড়ি দুটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চন্দরপুর-বিয়ানীবাজার সড়ক দিয়ে মাটি পরিবহন করে আসছে খোলা ট্রলি। আর এতে করে ট্রলি থেকে অতিরিক্ত মাটি উপচে পড়ায় পাকা রাস্তায় মাটির আস্তরণ সৃষ্টি হয়েছে। রোববার বিকেল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির ফলে রাস্তাটি মারাত্মক পিচ্ছিল আকার ধারণ করে যান ও জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, এধরণের বাহন দিয়ে অতিরিক্ত মাটি পরিবহনের ফলে পাকা রাস্তায় মাটির আবরণ তৈরি হয়েছে। আজ সামান্য বৃষ্টির ফলে রাস্তাটি মারাত্মক পিচ্ছিল আকার ধারণ করে। এতে যান ও জনসাধারণের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তাদের দাবী, এ ধরণের মাটি পরিবহনে জান-মালের নিরাপত্তা যেমন ঝুঁকিতে পড়ে ঠিক তেমনি বিটুমিন নষ্ট হয়ে সড়কটিও হয়ে পড়ে দুর্বল। এব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।
খবর বিভাগঃ
কুশিয়ারা নিউজ
গোলাপগঞ্জ