সিলেটে রোমানিয়া পাঠানোর নামে প্রায় ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছেন এক ট্রাভেল অ্যাজেন্টের মালিক। প্রায় ৩শ' যুবক তার প্রতারণার স্বীকার বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আজ শনিবার দুপুরের দিকে আমিন রহমান ট্রাভেলসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন প্রতারিতদের কয়েকজন। তাদের দাবি, প্রতারক আমিন রহমানকে গ্রেফতার ও টাকা উদ্ধার।
প্রতারিতদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, মাত্র তিন মাসের মধ্যে রোমানিয়ায় পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয় নগরীর জিন্দাবাজারস্থ আমিন রহমান ট্রাভেলস। বিজ্ঞাপন দেখে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, রোমানিয়ায় যেতে খরচ লাগবে ৬ লাখ টাকা।বুকিং মানি হিসেবে ৫০ হাজার টাকা ও ওয়ার্কপারমিট আসার পর দিতে হবে আরও ৫০ হাজার টাকা। বাকি ৫ লাখ দিতে হবে ভিসা হওয়ার পর। এমন কথা শোনার পর স্ট্যাম্পে চুক্তি করে আমিন রহমানের হাতে টাকা তুলে দেন ভুক্তভোগীরা।
২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রোমানিয়ায় ফ্লাইট শুরুর কথা থাকলেও সেদিন বিকেল থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দেন তিনি আমিন রহমান। পরে যাদের ভিসা লাগানো হয়েছিল তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাদের পাসপোর্টে লাগানো ভিসাও ছিল জাল।
জকিগঞ্জের পশ্চিম গোটারগ্রামের অধিবাসী রুহুল আমিন জানান, তিনি ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা তিনি আমিনকে দিয়েছিলেন। তাকে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তিও করেন আমিন। ৩ মার্চ তার ফ্লাইট হওয়ার কথা। কিন্তু তিনি তার পরিচিত একজনের মাধ্যমে ভারতস্থ রোমানিয়া অ্যাম্বেসিতে ভিসার কপি পাঠালে তারা জানায়, ওই ভিসা নকল। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আমিনের মোবাইল বন্ধ পেয়ে তিনি বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। একইভাবে প্রতারিত হয়েছেন মৌলভীবাজারের রাজনগরের মাহবুবুর রহমান মঞ্জুসহ আরও অনেকে। শনিবার দুপুরে আমিন রহমান ট্রাভেলসের কর্মী মারওয়া বেগম চৌধুরী জানান, আমিন রহমান তাদের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, সমস্যায় পড়ে তিনি তার মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে সবার ফ্লাইট দেবেন। আর যদি না পারেন তবে সবার টাকা ফেরত দেবেন।
তবে ভূক্তভোগীরা জানান, আমিন যে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার থেকে কথা বলেছেন, সেটি দুবাই’র। তাদের ধারনা, আমিন রহমান দেশে থেকেই দুবাইর নম্বর ব্যবহার করে প্রতারণা বা ধোঁকাবাজী চালিয়ে যাচ্ছে।
খবর বিভাগঃ
কুশিয়ারা নিউজ
সিলেট