গোলাপগঞ্জের চন্দরপুর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা সেই শিউলী বেগমের পরিবারে প্রায়ই কলহ লেগে থাকতো, এমনকি স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তালাক পর্যন্ত হয়েছিলো বলে জানা গেছে। শিউলী বেগমের পরিবার এবং স্থানীয় একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শিউলী বেগম চন্দরপুরের আল-এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন আমকোনী বাড়ির ইকবাল হোসেনের স্ত্রী। তার পিতার বাড়িও একই এলাকার লামা-চন্দরপুর গ্রামে। সে লামা-চন্দরপুর গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, শিউলী বেগম ও ইকবাল হোসেনের মাঝে পারিবারিক কলহ ছিলো। এমনকি তা তালাক পর্যন্ত গড়ায়। তালাকের ঘটনায় বেশ কিছুদিন শিউলী বেগম তার পিত্রালয়ে ছিলেন। পরবর্তীতে উভয় পরিবার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করলে গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শিউলী বেগম তার স্বামীর বাড়ি ফিরেন। স্বামীর বাড়িতে ফেরার এক সপ্তাহের মাথায় (২৫ ফেব্রুয়ারি) রহস্য ঘেরা ঝুলন্ত লাশ হলেন শিউলী বেগম(২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে শিউলী বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এসময় শিউলী বেগমের নিথর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো। তবে দু'পা বিছানায় লেপ্টে থাকায় সন্দেহের উদ্রেক দেখা দিয়েছে। এছাড়া শিউলী বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন ও দেবর রাজন আহমদ ঘটনার সময় বাড়িতে থাকলেও পুলিশের আগমন এবং লাশ উদ্ধারের পূর্বে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে রহস্য ঘনীভূত হয়।
এদিকে ইকবাল হোসেনের পরিবারের দাবী, ইকবাল গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসার জন্য বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজার গিয়েছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিউলী বেগমের মৃত্যু সংবাদে সে বাড়িতে ফিরে। তবে ঠিক কি কারণে ইকবাল হোসেন ও রাজন আহমদ পালিয়ে গেলেন তার সদুত্তর মিলেনি।
পরিবার সূত্র আরোও জানায়, আজ সন্ধ্যার কিছু পূর্বে শিউলী বেগমকে তার বন্ধ কক্ষে ডাকাডাকি করলে তার সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এতে পরিবারের লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোক জড়ো হয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোফাখখারুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।
খবর বিভাগঃ
কুশিয়ারা নিউজ