দেশে করোনাভাইরাসের শনাক্ত উদ্বেগজনক।তবে টানা কয়েক দিন ১৫ হাজারের বেশি শনাক্তের পর গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা কমেছে। করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩৭৮ জন। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ১০ শতাংশ।অপরদিকে ধীরে ধীরে মৃত্যু বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরও ২১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১০৩৭৮ জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৪৯ জনে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন মৃত্যু ২১ জন নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ হাজার ৩২৯ জন।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে।
খবর বিভাগঃ
বাংলাদেশ