দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চতুর্থ দিনের মতো অব্যাহত আছে শৈত্যপ্রবাহ। রোববার আরও তিন জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভ করেছে। এ নিয়ে ১১ জেলাসহ কয়েকটি বিভাগে তীব্র শীতের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এই শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রারও ওঠানামা করছে। তেঁতুলিয়া ও রাজারহাটে শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার পরিস্থিতি আরেকটু অবনতি হয়েছে। তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে প্রায় সারা দেশের মানুষ। ঘনকুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শীতবস্ত্র বা গরম কাপড়ের অভাবে প্রান্তিক জনপদে শীতার্ত মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। শীতের তীব্রতায় জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, দুই-এক দিনের মধ্যে এই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে পারে। পাশাপাশি আগামী ৫ দিনের মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে। সেই হিসাবে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এক সপ্তাহের মধ্যে আবারো শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাঙ্গামাটি, ফেনী, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও ভোলা জেলা এবং সীতাকুণ্ড উপজেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলছে।
এবার শীতে গত শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামে, ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত মাসে একবার তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রিতে নামে। তবে তাতে বড় এলাকাজুড়ে শীতের দাপট দেখা যায়নি।