Monday 24 January 2022

আন্দোলনকারীদের ফান্ড সংগ্রহের ৬টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার অভিযোগ


সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের খাবার ও আনুষঙ্গিক খরচের জন্য আর্থিক সহায়তা করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিকাশ, নগদ ও রকেটের মোট ৬টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এ অর্থ প্রেরণ করে থাকেন তারা।

তবে সোমবার থেকে এ অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার আন্দোলনকারীদের ফেসবুক পেজ থেকেও এমন তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়- সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আন্দোলনকারীদের খাবার ও চিকিৎসার জন্য যে যেসব ভাই-আপুরা অর্থ সহায়তা পাঠাচ্ছিলেন সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এসব অ্যাকাউন্টে কেউ টাকা পাঠাবেন না।

আন্দোলনকারীরা জানান, আন্দোলনকারীদের খাবারসহ কিছু আনুষঙ্গিক খরচের জন্য শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থীরা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। ইস্টার্ন ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্ট, তিনটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট, একটি রকেট ও একটি নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এ অর্থ সহায়তা আসছে।

আন্দোলনকারী দুজন শিক্ষার্থী যুগান্তরকে জানান, প্রতিদিন অ্যাকাউন্টগুলোতে লাখ দুয়েক টাকার মতো আসত। তবে আজ থেকে অ্যাকাউন্টগুলোতে আমরা কোনো লেনদেন করতে পারছি না। ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ সবগুলো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ব্যাপারে আমাদের কিছু জানানোও হয়নি। আমরা স্থানীয়ভাবে বিকাশ অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো সদুত্তর পাইনি।

সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রদত্ত অর্থ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর খাবারসহ আন্দোলনের সব খরচ সংকুলান করা হতো।

এ ব্যাপারে বিকাশের সিলেটের ডিস্ট্রিবিউটর নাসিম হোসাইন যুগান্তরকে বলেন, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে বিকাশে লেনদেনের কিছু নিয়ম আছে। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে দিনে ৫ বারে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা প্রেরণ ও  উত্তোলন করা যায়। একইভাবে ৩০ হাজার গ্রহণ করা যায়। এর বেশি লেনদেন বা কোনো কাস্টমার অভিযোগ করলে অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়। আর এজেন্ট অ্যাকাউন্টের কোনো লিমিট নাই। মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টে ব্যবসার ধরন বুঝে লিমিট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এছাড়া সরকার চাইলেও বন্ধ করে দিতে পারে বলে জানান তিনি।

শাবির আন্দোলনকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার ব্যাপারে কিছু জানেন না জানিয়ে বিকাশের বিভাগীয় বিপণন কর্মকর্তা এহসান আহমদ যুগান্তরকে বলেন, এ রকম কিছু আমার জানা নেই। তবে কোনো নাম্বারের লেনদের ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে আমরা কিছুক্ষণের জন্য ওই নাম্বারটি বন্ধ রাখি। তবে শাবির কারো নাম্বার বন্ধ রাখা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।

শেয়ার করুন