Thursday 4 November 2021

‘প্রেমিকের’ অন্যত্র বিয়ে ঠিক, প্রতিবাদে অনশনে ‘প্রেমিকা’


মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া গ্রামের পুলিশ সদস্য আব্দুস সালামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন তার ‘প্রেমিকা’ নাসিমা আক্তার। আব্দুস সালাম উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের জাঙ্গালীয়া গ্রামের তেরাব আলীর ছেলে। তিনি পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি করেন এবং আগামীকাল শুক্রবার গোপনে বিয়ে করতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ও অনশনরত নাসিমা আক্তারের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে পুলিশ সদস্য আব্দুস সালামের বাড়িতে অনশন শুরু করেন নাসিমা। তিনি আব্দুস সালামের চাচাতো ভাই শাহ আলমের সাবেক স্ত্রী।

নাসিমার দাবি, চাচাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ের পর থেকে সালাম তাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দেন। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয়ভাবে বিয়ের সিদ্ধান্তে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা হলেও সালাম ওই নারীকে বিয়ে করতে চাননি। পরে ওই নারী আব্দুস সালামের বিষয়ে তার তৎকালীন কর্মস্থল হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার পুলিশকে অবগত করে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে অভিযোগটি তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। এরই মধ্যে গোপনে শুক্রবার উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় সালামের বিয়ে ঠিক করেছে তার পরিবার। এ খবর পেয়ে নিজের অধিকার আদায়ে বিয়ের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশ সদস্য আব্দুস সালামের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন নাসিমা আক্তার।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে অনশনে থাকা নাসিমা আক্তার বলেন, আব্দুস সালামের সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমাকে নিয়ে বিভিন্ন হোটেলে রাত্রীযাপনও করেছে। আমার পূর্বের স্বামীকেও তার কথায় তালাক দিয়েছি। এখন সে গোপনে অন্য নারীকে বিয়ে করতে দিন-তারিখ ঠিক করেছে। এ খবর জেনে তাকে বিয়ে করার জন্যই এ বাড়িতে এসেছি। বাড়িতে প্রবেশের পর আমাকে সালামসহ তার ভাবিরা মিলে মারধর করেছে।

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে সালামের বাবা ও দুই ভাবি জানান, সালাম এই নারীকে (নাসিমা আক্তার) বিয়ে করতে রাজি নন। তাই তারা অন্যত্র তার বিয়ে ঠিক করেছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে নাসিমা আক্তার হঠাৎ করে এসে গালমন্দ শুরু করে বাড়ির সামনে বসে আছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠক হয়। কিন্তু সালাম বৈঠকের রায় মানেননি। এখন আর আমাদের কিছু করা নেই।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন