আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে রবিবার পৌর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য নৌকার মাঝি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চুড়ান্ত করতে বিশেষ বর্ধিত সভার কার্যক্রম শুরু হয়। বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল এর পরিচালনায় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিলেট ৬ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম নাহিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দীন খান, যুগ্ম সম্পাদক কবীর উদ্দিন আহমদ, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নৌকার মাঝি নির্ধারণে সকাল থেকেই শুরু হয় তৃণমূলের ভোট গ্রহণ।
তবে একক প্রার্থী হওয়ায় ১নং আলীনগর ইউনিয়নে আহবাবুর রহমান শিশু ও ১১নং লাউতা ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল এর নাম কাউন্সিলের পূর্বে ঘোষণা করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. নাসির উদ্দিন খান।
পরে কাউন্সিলরদের গোপন ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে নৌকার মননোয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে জেলা আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ২নং চারখাই ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমদ আলী, ৩ নং দুবাগ ইউনিয়নে পলাশ আফজল, ৪ নং শেওলা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান জহুর উদ্দিন, ৯ নং মোল্লাপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, ১০ নং মুড়িয়া ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মাথিউরা ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আমান উদ্দিন, তিলপারা ইউনিয়নে বিবেকানন্দ দাস বিবেক, কুড়ার বাজার ইউনিয়নে বাহার উদ্দিন মেম্বার কে নৌকার মাঝি হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে ।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে তৃণমূলের ভোট। তাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা প্রার্থী চুড়ান্ত করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে তাদের প্রার্থী বাছাই করেছে। তাই এবার বিয়ানীবাজার উপজেলায় দলীয় কোন কোন্দল থাকবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।
খবর বিভাগঃ
বিয়ানীবাজার