নিঝুমদ্বীপে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় মো. শরীফ নামে আরও এক আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (৩১ অক্টোবর) রাতে নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার হাতিয়া বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক শরীফ (২৮) উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মদিনা গ্রামের মৃত সিরাজের ছেলে। সে ধর্ষণ মামলার এজহারভুক্ত আসামি। এর আগে এই ঘটনায় পুলিশ ভুক্তভোগী নারীর স্বামীসহ আরও চারজনকে আটক করে। নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূ চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ৩ আগস্ট নিজ এলাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে হাতিয়ার মুক্তারিয়াঘাট থেকে ট্রলার যোগে রওনা করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি বন্দরটিলাঘাটে পৌঁছান। সেখান থেকে একটি ভাড়া চালিত মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। কিছুপথ যাওয়ার পর সোহেলসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলটি গতিরোধ করে তাকে নামিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে। ওই নারীর স্বামী হচ্ছে সোহেল। তারা ওই গৃহবধূকে পাশ্ববর্তী বান্ধাখালি গ্রামের মেঘনা নদীর তীরে নিয়ে যান। সেখানে তাকে আটকে রেখে সোহেল, হক সাব, রাশেদ, আক্তারসহ ৭জন তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে মুখের বাঁধন খুলে গেলে চিৎকার করেন ওই গৃহবধূ।
এসময় স্থানীয় লোকজন স্বামী সোহেলকে আটক করে বাকিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক সৌরজিতের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে হক সাব, রাশেদ, আক্তার হোসেনসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এদের সবার বাড়ি নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নরে ৭ ওয়ার্ডে মদিনা গ্রামে।
এ ব্যাপারে হাতিয়া থানার পরিদর্শক কাঞ্চন কান্তি দাস আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, এই মামলায় পূর্বে আটক হওয়া ৪ জনের মধ্যে দু'জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে। আরও দুই আসামি পলাতক রয়েছে। তাদেরও আটক করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খবর বিভাগঃ
বাংলাদেশ