বিশ্বব্যাপী প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ ছিল ফেসবুক। এ ঘটনায় ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গসহ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা ক্ষমা চেয়েছেন। ঘটনার সেখানেই শেষ নয়।
ফেসবুকের সেবা বিপর্যয়ের সম্ভাব্য কারণ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র লেসলি গ্র্যান্ট। প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশল দলের বিবৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রকৌশল দল জানতে পারে, ব্যাকবোন রাউটারের কনফিগারেশনে পরিবর্তন আনায় এমন সমস্যা হয়। ফেসবুকের ডেটা সার্ভারগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিক সমন্বয় করে রাউটারটি। এতে সার্ভারের ডেটা আদান-প্রদান ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেবাগুলো বন্ধ হয়ে যায়।’
বিভিন্ন গণমাধ্যম ও গ্রাহকসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সময় সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত পৌনে ১০টার পর থেকে এ সমস্যা দেখা দেয়। এরপর মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে সচল হয় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম।
ওয়েবসাইট মনিটরিং গ্রুপ ডাউনডিটেক্টর জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী এক কোটির বেশি মানুষ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
টুইট বার্তায় ফেসবুক জানিয়েছে, বিশ্বে বিপুল পরিমাণ মানুষ ও ব্যবসায়িক কমিউনিটি যারা আমাদের ওপর নির্ভরশীল : আমরা দুঃখিত। আমরা অ্যাপ ও সেবা চালুর জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি এবং তারা অনলাইনে পুনরায় ফিরে এসেছে জানতে পেরে খুশি। আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ইনস্টাগ্রাম টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রাম এখন ফিরে এসেছে কিন্তু ধীরে চলছে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। দেরি হওয়ার জন্য দুঃখিত!
এর আগে ফেসবুকের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাইক শ্রোফার টুইট করে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ‘আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন।’এত দীর্ঘ সময় ধরে সার্ভার ডাউন হওয়ার ঘটনা বিরল। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ফেসবুক ও অন্যান্য অ্যাপে ১৪ ঘণ্টার মতো এ ধরনের সমস্যা হয়েছিল।
খবর বিভাগঃ
প্রযুক্তি