গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ৪ জনকে আসামি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল গ্রামে এলাকাবাসী এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১১টার দিকে সুন্দিশাইল গ্রামের আব্দুছ ছত্তার ও তার স্ত্রী নুরুন্নেছার মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এসময় স্বামী চিৎকার করলে স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে দৌড় শুরু করেন। আব্দুছ ছত্তারের চিৎকার শুনে তার ভাতিজা সুমন, আহাদ, এমন এগিয়ে এসে দেখতে পান কেউ একজন দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এসময় তারা দৌড়ে পালানো ব্যক্তির পিছু নেন। পরে পাশের আরেকটি বাড়ির উঠানে গিয়ে ধরে ফেললে তারা ঐ মহিলাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। মহিলার চিৎকার শুনে ঐ ঘরের মালিক প্রত্যক্ষদর্শী মামলার স্বাক্ষী সাহেল আহমদ বের হয়ে দেখেন সুমন, আহাদ, এমন তারা ৩ জন মিলে দা দিয়ে কোপাচ্ছেন মহিলাকে। পরে এলাকাবাসীসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাই গুরুতর আহত অবস্থায় মহিলাকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে মহিলা ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে ঘটনার ৩ দিন পর থানায় উপস্থিত হয়ে আহত মহিলার ভাইপো মো.দেলোয়ার হোসেন ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ এমরান আহমদ নামে একজনকে গ্রেফতার করে।
এজাহারে উল্লেখিত ১নং আসামি ব্যতিত বাকি ৪ জন নির্দোশ বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীসহ এলাকাবাসী।
এবিষয়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ইমরান আহমদের মামা অলিম উদ্দিন বলেন, 'ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমার ভাগনাসহ ৪ জনকে আসামি দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় তারা কেউ ছিলেন না। মামলায় মূল আসামিদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। যারা মহিলাকে কুপিয়ে আহত করেছে তাদের ১ জন ব্যাতিত বাকি ২ জনের নাম মামলায় দেওয়া হয়নি। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে চিহ্ন করে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে যারা জড়িত নয় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।'
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.কামরান আহমদ বলেন, 'খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখি মহিলাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। পরে আমি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। এজাহারে ১নং আসামি পরে বাকি যারা মামলায় রয়েছেন তার ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না। আমি আসার পর তাদেরকে ঘুম থেকে ডেকে তুলি। আমিও জানি তারা নির্দোশ। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।'
এসময় উপস্থিত আসামি এমরানের মামাতো ভাই আলি আহমদ, এলাকার মুরব্বি আওলাদ হোসেন, লোকমান আহমদ, মুনশি নজমুল হক, আলাল আহমদ, জামাল আহমদ, রিয়াজ উদ্দিন, খালেদ আহমদ, মঈন উদ্দিন সাকন, জলাল উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিনসহ উপস্থিত সবাই মূল আসামিদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে নির্দোশদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার বলেন, 'তদন্ত করে পাওয়া যাবে কারা ঘটনার সাথে জড়িত। তিনি বলেন, ১নং আসামি পরে বাকিরা যে ঘটনার সাথে জড়িত নয়, তারা কোথায় ছিলেন, আপনি আমাকে বলেন?'