Thursday, 16 September 2021

বিয়ানীবাজারে মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকারঃ প্রধান শিক্ষক কারাগারে


বিয়ানীবাজারে মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকারের ঘটনায় পৌর এলাকার বৃহত্তর ফতেহপুর হযরত হায়দর শাহ (রহঃ) হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজ আব্দুর রহিমকে (৫৫) আটকের পর জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।


বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি হিসেবে তাকে বৃহস্পতিবার আটক করে আদালতে প্রেরণ করে বিয়ানীবাজার থানাপুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের বিয়ানীবাজার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিকে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত আসামীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এর আগে ভিকটিম ছাত্রের পিতা বিজিবি সদস্য এ মামলা (নং- ৫) দায়ের করেন। আটক শিক্ষক বিয়ানীবাজার পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক।


মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকারের ঘটনায় মঙ্গলবার রাত থেকে বিয়ানীবাজার পৌরশহর ও আশপাশ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যরাতে ফতেহপুর এলাকার হায়দর শাহ (রহঃ) মাদ্রাসার ছাত্ররা পৌরশহরে স্বশস্ত্র অবস্থান নেয়। এ সময় তারা পৌর কিচেন মার্কেট ও সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেনের ব্যক্তিগত অফিসে হামলায় চালায়। এ ঘটনায় সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন বিয়ানীবাজার থানায় হামলার ঘটনায় অভিযোগ দিয়েছেন ।


এদিকে, বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বলাৎকারের ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে হায়দর শাহ (রহঃ) মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক (মুহতামিম) আব্দুর রহিমকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিজিবির দায়িত্বশীলরা রাত ৮টার দিকে বিয়ানীবাজার থানায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে হস্তান্তর করে। হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষে রাত ৯টার দিকে ভিকটিমের পিতা বিজিবি সদস্য থানায় মামলা দায়ের করেন।


স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করেন, আটক মুহতামিমের বিরুদ্ধে অতীতেও এমন অভিযোগ এসেছে। কিন্তু তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্যবহার করে বিষয়গুলো সমাধান করে নেন। তবে আটক হওয়া অভিযোগের ভিকটিম একজন বিজিবি সদস্যের ছেলে হওয়ার এই বিষয়টি গোপনে সুরাহার সকল প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়েছে।

শেয়ার করুন