অস্ট্রেলিয়া সিরিজ যেখানে শেষ করেছিল বাংলাদেশ, যেন সেখান থেকেই শুরু করেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। অজিদের কাছে টাইগাররা চতুর্থ ম্যাচে হারলেও ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল।
এবার কিউইদের বিপক্ষেও শুরুটা সেরকম। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে তারুণ্য নির্ভর একটা দল। তার খেসারতও দিতে হলো প্রথম ম্যাচেই।
টাইগার বোলারদের তোপের মুখে মাত্র ৬০ রানে অল-আউট হয়ে যায় কিউইরা। যা নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বনিম্ন রান। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে ৬০ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৬ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। যদিও শুরুতে দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস ফিরে যান সমান ১ রান করে। নাঈমকে ফেরান ম্যাককনিক আর লিটনকে ফেরান প্যাটেল।
এরপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহিম। সাকিব ২৫ রান করে রবীন্দ্রর বলে ক্যাচ দিয়ে দলীয় ৩৭ রানের মাথায়।
এরপর অবশ্য আর উইকেট দিতে হয়নি কিউই বোলারদের। মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহ’র ২৫ রানের জুটিতে ভর করে ১৬ ওভারেই জয় তুলে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
এর আগে বিকালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম ল্যাথাম।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই শেখ মেহেদী হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন অভিষিক্ত রাচীন রবিন্দ্র। তৃতীয় ওভারের সাকিবের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার উইল ইয়ং (৫)।
দলীয় ৯ রানেই কিউইরা হারায় ৪ উইকেট। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে টম ল্যাথাম ও হ্যানরি নিকলস ৩৪ রানের জুটি গড়লেও সাকিব-মোস্তাফিজদের সামনে অসহায় আত্নসমর্পন করা ছাড়া উপায় খুঁজে পায়নি কিউই ব্যাটিং লাইন আপ।
ল্যাথাম ও নিকলস খেলেন সমান ১৮ রানের ইনিংস। বাকিদের কেউই পার হতে পারেননি দশ রানের কোঠা। তাতে ১৬ ওভার ৫ বলে অল-আউট হয়ে যায় ৬০ রানে।
মোস্তাফিজুর রহমান নেন ২.৫ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, নাসুম আহমেদ ও সাইফউদ্দিন। ১ উইকেট নেন মেহেদী হাসান।