করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে শুরু হচ্ছে ইউনিয়নভিত্তিক গণটিকাদান কার্যক্রম। এ লক্ষ্যে গোলাপগঞ্জের সবক'টি ইউনিয়নের সাবেক ১নং ওয়ার্ডের (বর্তমান ১,২,৩নং ওয়ার্ড) টিকাদানের স্থান ও সময়সূচী প্রকাশ করা হয়েছিলো। প্রকাশিত সূচিতে আগামী ০৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট প্রত্যেক ইউনিয়নের ১,২,৩নং ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতে ৬০০জনকে টিকাদান করার কথা থাকলেও বুধবার রাতে এ সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী আগামী ০৭ আগস্ট উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের উল্লিখিত (১,২,৩) ওয়ার্ড গুলোর প্রত্যেকটিতে প্রায় ২০০জনকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নে তিনদিনের পরিবর্তে একদিনের জন্য গণটিকা প্রয়োগের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে টিকা গ্রহণের জন্য ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের মাধ্যমে কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। টিকাদানের নাম-তালিকা প্রণয়ন ও বাছাইকরণসহ সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করবেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
বুধবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ শাহীনুর ইসলাম শাহীন।
তিনি জানান, টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ, মহিলা ও পঞ্চাশোর্ধ বয়স্ক পুরুষ, প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এছাড়া যাদের বয়স ১৮ ঊর্ধ্ব এবং তাদের মধ্যে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, শুধু তারাই এই কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে সক্ষম হবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কোনভাবেই টিকা প্রদান সম্ভব হবেনা। গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদেরকে এই মুহূর্তে টিকা দেয়া যাবেনা।
প্রত্যেককে টিকা নিতে আসার সময় অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি ফটোকপি এবং একটি সচল সিম-সহ সেলফোন সাথে আনতে হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণ প্রক্রিয়াটি পুরোপুরিভাবে বিনামূল্যে। এই প্রক্রিয়ায় পর্যায়ক্রমে অতিদ্রুত সকল জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
পূর্বের সূচিঃ