নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের আরও ১৪ নেতা পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় আকস্মিক এক সাংবাদ সম্মেলনে তারা সংগঠনের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
পদত্যাগকারীরা হলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রায়হান বক্স রাকু, ২১নং ওয়ার্ডের আহ্বায়ক কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন, ৬নং ওয়ার্ডের আহ্বায়ক আব্দুল হান্নান, ১৯নং ওয়ার্ডের মাসুক গাজী, ১৭নং ওয়ার্ডের আহ্বায়ক বিলাল আহমদ খান, ১০নং ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান, ১১নং ওয়ার্ডের সেলিম আহমদ, ১০নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম আহমদ খান, ২০নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আকবর হোসেন কয়ছর, ৩নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন আহমদ, ২৩নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেন, ২০নং ওয়ার্ডের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, ২১নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল ফরহাদ ও শাহজান আহমদ।
দলে মূল্যায়িত না হওয়া, অযোগ্যদের কমিটিতে ঠাঁই দেওয়ার অভিযোগে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ আগস্ট সিলেট জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদক। কমিটিতে জেলা শাখার আহ্বায়কের দায়িত্ব পান আব্দুল আহাদ খান জামাল, সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা দেওয়ান জাকির হোসেন খান।
মহানগর শাখার আহ্বায়ক হিসেবে আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল ও সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আজিজুল হোসেন আজিজ।
জানা গেছে, অযোগ্যদের নিয়ে এ কমিটি করায় ক্ষুব্ধ রয়েছেন জেলা বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা। কমিটি ঘোষণার পরদিনই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক সামসুজ্জামান জামান পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ওই দিনই দলের মহাসচিব বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।
পদত্যাগপত্রে তিনি অভিযোগ করেন, সহ-স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক হওয়ার পরও তার সঙ্গে আলোচনা না করেই জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ কারণে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা বাদ পড়েছেন।
জামানের পদত্যাগ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই নবগঠিত জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ১১ নেতা। এর দুই দিন পর পদত্যাগ করেন বিএনপির সহযোগী সংগঠন তাঁতী দলের তিন নেতা। এরপর গত ২৫ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
খবর বিভাগঃ
সিলেট