সিলেটে হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স’। যেখানে থাকবে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’। থাকবে ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতীকী উপস্থাপনা।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে আঙুল উঁচিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, তাঁর সেই উঁচু অঙ্গুলির আদলে এই কমপ্লেক্সে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। থাকবে ‘বঙ্গবন্ধু প্লাজা’। যেখানে সিনেপ্লেক্স, অডিটোরিয়াম, ১ হাজার আসনের কনভেনশন হল, মুক্তিযুদ্ধের দালিলিক স্মারক সংগ্রহশালাও রাখা হবে।
কমপ্লেক্সে থাকবে খোলা পার্ক, বইমেলা বা কুঠিরশিল্প মেলা করার জন্য ৩৪২টি স্টল বসানোর সুবিধা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার জন্য উন্মুক্ত মঞ্চ রাখা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ এ কমপ্লেক্সের অনুমোদন দিয়েছে।
জানা গেছে, সিলেট অঞ্চলের মানুষের অন্তরে বঙ্গবন্ধুর অক্ষয় স্মৃতি জাগরুক রাখার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স’ বৃহৎ স্থাপনা গড়ে তুলতে পরিকল্পনা গ্রহণ করে সিলেট সিটি করপোরেশন। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চলতি বছরের ১০ জুন ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ বরাবারে একটি আবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ জুলাই ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স’ স্থাপনের অনুমতি দেয় ট্রাস্ট।
সিসিক সূত্র জানায়, সিলেট নগরীর বন্দরবাজারস্থ হাসান মার্কেট ও লালদিঘী সিটি সুপার মার্কেট নিয়ে গড়ে তোলা হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স’। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করবে সিলেট সিটি করপোরেশন। অত্যাধুনিক এই কমপ্লেক্সের নকশাও ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স’ নির্মাণে নকশা প্রণয়নের কাজ করেছে ট্রায়াঙ্গল কনসালট্যান্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১৫ একর জায়গাজুড়ে হবে এই কমপ্লেক্স। হাসান মার্কেট ও লালদিঘী সিটি সুপার মার্কেটের জায়গায় এই কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। এখানে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা থাকবে। রাখা হবে দৃষ্টিনন্দন নাগরিক চত্বর।
এ লক্ষে হাসান মার্কেট ও লালদিঘী সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য ৬ তলাবিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ করা হবে। ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সে’র ল্যাম্পপোস্টগুলো হবে সিলেটের ঐতিহ্য দুটি পাতা-একটি কুঁড়ির আদলে।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, প্রকল্পটির পুরো নকশা সিসিকে জমা করা হয়েছে। এটি সরকারি পর্যায়ে অনুমোদনও পাওয়া গেছে। এখন অর্থবিভাগ থেকে বাজেটের অনুমোদন পেলেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
খবর বিভাগঃ
সিলেট