তালেবান কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকে নারীরা ঘরের বাইরে যেতে পারবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে নারীদের সরকারে নেওয়ারও আভাস দিয়েছে তালেবান।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, তালেবান জানিয়েছে, তারা চায় তাদের সরকারে নারীরাও অংশগ্রহণ করুন।
সরকারে অংশগ্রহণের জন্য তালেবান নারীদের আহ্বান জানাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য এনামুল্লাহ সামানগানি।
তিনি বলেন, ইসলামিক আমিরাত চায় না যে, নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। শরিয়া আইন অনুযায়ী, সরকারি কাঠামোতে তাদের অংশগ্রহণ থাকা উচিত।
কাতারের দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তরের উপপ্রধান আব্দুস সালাম হানাফি সোমবার বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিদেশি কূটনীতিক ও সেনাবাহিনীর সদস্যসহ সরকারি কাজে নিয়োজিত সব চাকরিজীবী কোনো ধরনের শঙ্কা ছাড়াই নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান।
এমনকি তিনি নারী চাকরিজীবীদেরও কর্মস্থলে ফিরে আসার আহ্বান জানান। হানাফি বলেন, কারও প্রতি অবিচার করা হবে না এবং নারীরা তাদের হিজাব রক্ষা করে কর্মস্থলসহ সব কাজ স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যেতে পারবেন।
তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, সাবেক আফগান সরকারের হয়ে কাজ করতেন বলে কাউকে হেনস্তা করা যাবে না।
আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসার আহ্বানও জানিয়েছে তালেবান। আফগানিস্তনের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম টোলো নিউজ আবারও নারীদের সংবাদ উপস্থাপনায় ফিরিয়ে এনেছে।
টোলো নিউজ প্রধানের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, এক নারী উপস্থাপিকা তালেবানের মিডিয়া বিভাগের এক সদস্যের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন।
এ ছাড়া অপর এক পোস্টে নিউজরুমের সকালের মিটিংয়ের ছবি পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যায় হিজাব পরা এক নারীও অংশ নিয়েছেন।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক