Tuesday, 17 August 2021

বিয়ানীবাজারের কিশোরীকে প্রেমিকের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে গণধর্ষণ

প্রতীকী ছবি


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া বিয়ানীবাজারের এক কিশোরীকে (১৫) জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

রোববার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের অহিদাবাদ চা বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর ভাই বাদি হয়ে পরদিন সোমবার (১৬ আগস্ট) প্রেমিকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেছেন।


মামলার পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাজু বৈদ্য (২৭) নামে এক যুবককে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজু উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা দিলিপ বৈদ্যের ছেলে। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) তাকে আদালতের মাধ্যমে সিলেট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউপির গড়েরবন্দ এলাকার কমর উদ্দিনের ছেলে জামিল আহমদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল খশির চাতল এলাকার এক কিশোরীর (১৫)। 


গত রোববার (১৫ আগস্ট) বিকেলে জামিল আহমদ কিশোরী প্রেমিকাকে নিয়ে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের অহিদাবাদ চা বাগানে ঘুরতে যায়। এসময় সিএনজিঅটোরিকশা চালক সেলিম আহমদ তাদেরকে দেখতে পেয়ে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে কিশোরীকে ফেলে প্রেমিক জামিল পালিয়ে যায়। পরে সিএনজিঅটোরিকশা চালক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে (গ্রেপ্তার আসামী) রাজু বৈদ্যের কাছে যায়। পরে তারা অহিদাবাদ চা বাগান এলাকার নির্জনস্থানে পালাক্রমে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরী পরিচিত এক ব্যক্তিকে ফোনে ঘটনাটি জানালে তিনি তাকে উদ্ধার করে শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যান।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার মঙ্গলবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, ভিকটিম কিশোরীর ভাই বিয়ানীবাজার থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ এক আসামীকে উত্তর শাহবাজপুর থেকে গ্রেফতার করেছে। এতে শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ তাদের সহায়তা করেছে।


বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান মঙ্গলবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, কিশোরীর ভাই প্রেমিকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। পুলিশ রাজু বৈদ্য নামক এক আসামীকে বড়লেখা থেকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন