ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মত হারানোর পর ম্যাচ জয়ের নায়ক নাসুম আহমেদের পারফরম্যান্সের আলোচনায় পারদ চড়িয়ে ছিল তার নিষিদ্ধ হওয়ার সংবাদ। দেশের গণমাধ্যমে খবর হয়েছিল, নিজ জেলা সুনামগঞ্জে আজীবন নিষিদ্ধ রয়েছেন বাঁ-হাতি এই স্পিনার।
সেখানে বলা হয়েছিল, ২০১৫ সাল নাসুমের দুর্দান্ত পারফর্মে মুগ্ধ হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা দলে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে নিজ জেলার হয়ে ম্যাচ না খেলে সিলেট বিভাগীয় দলের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন নাসুম। আর সেকারণে তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করে সুনামগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা। তবে দীর্ঘ সাত বছর পর নাসুম বা তার ক্লাবের পক্ষে কেউ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট বিভাগের সম্পাদক রেজানুল হক রাজা। এদিকে নিষেধাজ্ঞার পুরো বিষয়টি অস্বিকার করলেন টাইগার স্পিনার নাসুম।
‘আজীবন নিষিদ্ধ’ হওয়ার খবরে বিস্মিত নাসুম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমার জন্ম, বড় হওয়া, পড়ালেখা কিংবা ক্রিকেট খেলা, সবকিছুই সিলেটে। আমার বাবার জন্মও সিলেটে। একসময় আমার দাদাবাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায় ছিল। কিন্তু আমার দাদা ১৯৫৮ সালে সিলেটে স্থায়ীভাবে চলে আসেন। ছোটবেলা সুনামগঞ্জে একবার গিয়েছিলাম এবং রাস্তাঘাটও ঠিক ভাবে চিনিনা ওখানকার। পরবর্তীতে ওখানকার একটা টুর্নামেন্টে একবার 'খ্যাপ' খেলতে গিয়েছিলাম।’
যেখানে সুনামগঞ্জের হয়ে কখনও খেলিনি সেখানে নিষিদ্ধ কিভাবে হই- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি আরো লিখেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদে হয়তো অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছেন আমি আমার জেলা দলে নিষিদ্ধ। কিন্তু আমি যে জেলার হয়ে কখনো খেলিনি তারা আমাকে কিভাবে নিষিদ্ধ করে? ২০০৫ সালে ১১ বছর বয়সে আমি পেশাগতভাবে ক্রিকেট শুরু করি এবং ওই বছর জেলা ক্রিকেটে সুনামগঞ্জের কোন দলই ছিল না। তখন থেকে সবসময়ই সিলেটের হয়ে খেলেছি। সিলেট লীগে খেলেছি ২০০৬ সাল থেকে এবং সিলেট জেলা দলে খেলেছি ৩ বছর, আর বিভাগীয় দলে ২০১০ সাল থেকে।’
নাসুম আহমেদ দেশের হয়ে ইতিমধ্যেই ৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ১৮.৬০ স্টাইক রেটে নিয়েছেন ১০ উইকেট। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টাইগার স্পিনে অন্যতম অস্ত্র ছিলেন বাঁ-হাতি অর্ধোডক্স স্পিনার নাসুম। তার সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ভক্ত-সমর্থকদের কাছে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য দোয়া চেয়ে লিখেন, ‘আল্লাহ্ এর অশেষ রহমতে আমি বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যেতে সবার দু'য়া কামনা করি।