করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে শুরু হচ্ছে গণহারে টিকাদান কর্মসূচী। এ কর্মসূচির আওতায় আগামীকাল (৭ আগস্ট) সারাদেশের একযোগে চলবে টিকাদান ক্যাম্পেইন। এদিন প্রত্যেক পৌরসভা ও ইউনিয়নের ১,২,৩নং ওয়ার্ডে মোট ৬০০ জনকে করোনার টিকা দেয়ার কথা থাকলেও ক্যাম্পেইনের আগের দিনে বড় পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন পরিবর্তনে আগামীকাল শুধুমাত্র ১টি ওয়ার্ডে করোনার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিন প্রত্যেক পৌরসভা ও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ৬০০জনকে করোনার টিকা দেয়া হবে। এছাড়া ১৮বছরের পরিবর্তে ২৫ বছরের নাগরিকগণকে করোনার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শুক্রবার রাতে এ তথ্য কুশিয়ারা নিউজকে জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ শাহীনুর ইসলাম শাহীন।
তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে শুধুমাত্র ১নং ওয়ার্ডে ৬০০জনকে করোনার টিকা দেয়া হবে।
তিনি আরোও জানান, টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ, মহিলা ও পঞ্চাশোর্ধ বয়স্ক পুরুষ, প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, শুধু তারাই এই কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে সক্ষম হবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কোনভাবেই টিকা প্রদান সম্ভব হবেনা। গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদেরকে এই মুহূর্তে টিকা দেয়া যাবেনা।
তিনি আরও বলেন, টিকাকেন্দ্রে সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুশৃঙ্খলভাবে টিকা গ্রহণ করেন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য প্রত্যেককে নিজে থেকে সচেতন থাকার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এরআগে দফায় দফায় গণটিকা ক্যাম্পেইনের বিভিন্ন পরিবর্তন করেছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে এবার চূড়ান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে গণটিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় আপাতত শুধু ০৭ আগস্ট (এক দিন) ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তারপর সাত দিন বন্ধ থাকার পর ১৪ আগস্ট থেকে এ ক্যাম্পেইন আবার চালু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন ও পৌরসভার অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতেও এ ক্যাম্পেইন চলমান থাকবে।