আন্তর্জাতিকঃ আফগানিস্তানে আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশি ও ১৬০ জন আফগান ছাত্রী কাবুল বিমানবন্দরের মার্কিন ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন। শিগগিরই তারা ভাড়া করা বিমানে বাংলাদেশে পৌঁছবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন শনিবার রাত সাড়ে নয়টায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
তালেবানের অনুমতি না পাওয়ায় চট্টগ্রামে অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন্সের আফগান ছাত্রীরা কাবুল এয়ারপোর্টের ভেতরে ঢুকতে পারছিলেন না। অভাবনীয় দুর্ভোগ ও উৎকণ্ঠায় বিমানবন্দরের বাইরে সময় কাটিয়ে তারা এখন বাংলাদেশে রওনা হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। অনিশ্চয়তার মধ্যে বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছেন।
দেড় বছর আগে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলে ১৬০ জন আফগান ছাত্রী নিজ দেশে যান। এখন বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়টি খোলার প্রস্তুতি শুরু হওয়ায় তারা চট্টগ্রামে ফিরতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে আফগানিস্তানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের জন্য তাদের পরিবারে বেশ উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
আফগানিস্তানের সর্ববৃহৎ টেলিকম কোম্পানি আফগান ওয়্যারলেসে কাজ করতেন বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার রাজিব বিন ইসলাম। তিনি শুক্রবার কাবুল থেকে টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেছিলেন, কাবুল বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকতে গতকাল (শুক্রবার) আমরা ৬/৭ বার চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু সফল হইনি। মার্কিন বাহিনী ও তালেবানের উভয়ের অনুমতি ছাড়া কেউ সেইফ প্যাসেস পাচ্ছেন না। আমরা সেইফ প্যাসেসের অপেক্ষায় আছি।
আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর বিভিন্ন দেশ নিজ নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন সৈন্য, দূতাবাস কর্মী, মার্কিন বাহিনীতে কর্মরত অনুবাদকসহ অপরাপর কর্মী ও তাদের পরিবারকে আফগানিস্তানের বাইরে নিয়ে আসার জন্য কাবুল বিমানবন্দরে নিরাপত্তা দিতে ৬ হাজার মার্কিন সৈন্য, ১ হাজার ব্রিটিশ সৈন্য এবং ন্যাটো সৈন্যরা মোতায়েন আছেন।
আফগান ছাত্রীদের বাংলাদেশে আনার জন্য জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা ইউএনএইচসিআর একটি সুপরিসর এয়ারক্রাফট ভাড়া করেছে। মার্কিন বাহিনী ও তালেবানের অনুমতি পেলে তাদেরকে নিয়ে বিমানটি বাংলাদেশে আসবে। বিমানটিতে কিছু আসন খালি থাকায় আফগানিস্তানের একটি টেলিকম কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার ও ব্র্যাকে কর্মরত বাংলাদেশি যারা এখন আটকে পড়েছেন, তারাও দেশে ফিরবেন।
রাজিব জানান, মার্কিন বাহিনী ও আফগান কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে আফগান ওয়্যারলেস কোম্পানিটি চালু করেছে।
জানতে চাইলে রাজিব বলেন, কাবুলের পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক। গাড়ি চলছে। দোকানপাট খুলেছে। রাস্তায় তালেবানের টহল আছে। ভয়ভীতি ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে।তিনি আরও বলেন, সেইফ প্যাসেস পাওয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক