নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে যান ও জনশূণ্য অবস্থায় রয়েছে বিয়ানীবাজারের রাস্তাঘাট। ব্যস্ততম সড়কগুলোও রয়েছে ফাঁকা। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মানুষ। পৌরশহরসহ উপজেলাজুড়ে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেনাবাহিনী ও বিজিবির একাধিক টিম লকডাউন কার্যকরে মাঠে কাজ করছে। সকাল থেকে উপজেলাজুড়ে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে টহল দিতে দেখা গেছে।
এছাড়া বারইগ্রাম-সিলেট আভ্যন্তরীন সড়কসহ সবকটি সড়কের বিয়ানীবাজার অংশে চলছে না কোনো গণপরিবহন। জরুরি সেবার আওতাভুক্ত কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি চলছে। তারপরও পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই করে ছাড়ছে ট্রাফিক পুলিশ। সীমিত লকডাউনে মোটরসাইকেল চলতে দেওয়া হলেও এখন তা চলতে দেওয়া হচ্ছে না। রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিয়ানীবাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান ‘সকাল থেকে কোনো গণপরিবহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না। জরুরি প্রয়োজনে কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে’। বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলায় সর্বমোট পাঁচটি প্রবেশমুখে পুলিশের চেকপোস্ট থাকছে। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে পুলিশের একটি টিম সহযোগিতা করছে। পাশাপাশি উপজেলাজুড়ে পুলিশের দুটি মোবাইল টিম সক্রিয় রয়েছে।
বিয়ানীবাজার পৌরশহর ও উপজেলার বারইগ্রাম বাজারে পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক নূর ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুশফিকীন নূর। তারা বলেন, জেলা প্রশাসকের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। বিনা প্রয়োজনে কাউকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তারা আরও বলেন, বিয়ানীবাজারে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন।