বিষয়টি সিলেট মেট্রোপলিট পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সৌরভ ও বাদলকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়ার পর থানা প্রাঙ্গনে হাতকড়া পরা অবস্থায়ই থানায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য সাইফুর রহমান মিন্টুর উপর হামলা করেন ‘ছাত্রলীগ কর্মী’ সৌরভ। এসময় সাইফুরকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মেরে তার পরনের সরকারি পোষাক টেনে-হিঁচড়ে ছিঁড়ে পুলিশ হেফাজত হতে পালানোর চেষ্টা করে সে।
এর আগে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং চারদিকের সড়কেই গাড়ির দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। এসময় ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন দুদিকের গাড়ি বন্ধ করে অপর দুদিকের গাড়ি ছাড়েন। কিন্তু ছাত্রলীগ কর্মী সৌরভ সার্জেন্টের সিগন্যাল অমান্য করে মোটরসাইকেল নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে জসিম উদ্দিন বাধা দেন।
এসময় সৌরভ উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ করি। ফোন দিলে তর অবস্থা বেহাল হবে’ একথা বলে ট্রাফিক সার্জেন্টের দিকে তেড়ে গিয়ে মারধর শুরু করে। এতে ট্রাফিক সার্জেন্ট জসিম বেশ আহত হন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ দ্রুত চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে সৌরভ ও তার সহযোগীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং ট্রাফিক সার্জেন্ট জসিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
গ্রেপ্তার সৌরভ সিলেটের টুকেরবাজার এলাকার পীরপুর গ্রামের সন্তোষ ঘোষের ছেলে। তিনি নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী বলে দাবি করেন।
এ ঘটনায় ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগকর্মী পরিচয়দানকারী সৌরভ নামে এক যুবক ট্রাফিক সার্জেন্ট জসিমকে বেধড়ক মারধর করেছে। তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। রোববার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।