সিলেট ৩ আসনের সাবেক সাংসদ, সিলেটের সর্বজন পরিচিত এক বনেদি পরিবারের সন্তান দেশের নামকরা ব্যবসায়ী আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী চিকিৎসার জন্য অনেকদিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। সিলেট-৩ আসনের উপ নির্বাচনের খবর শুনে দ্রুত দেশে ফিরে আসেন তিনি। দল নির্বাচন বয়কট করলেও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এই সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার শফি আহমদকে নোটিশ প্রদান করে বিএনপি। নোটিশে তাকে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।শুক্রবার তিন পৃষ্ঠার নোটিশের জবাব দিয়েছেন। এতে তিনি নির্বাচনী এলাকার 'মানুষের চাপে জীবনের শেষ নির্বাচন' করার কথা উল্লেখ করেছেন।
এখন দল যে সিদ্ধান্ত নিক, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারে অটল রয়েছেন। শুক্রবার রাতে সিলেট-৩ আসনের সাবেক এই এমপি বলেন, বিএনপির নোটিশের জবাব দিয়েছি। তিন পৃষ্ঠার জবাবে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন।
শফি আহমদ বলেন, বিএনপির রাজনীতি করি বলে দলের নোটিশের জবাব দিয়েছি। এতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যৌক্তিকতা, রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয় উল্লেখ করেছি। এখন দল সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ আছে। তবে তিনি কোনোভাবেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকার মানুষের চাপে প্রার্থী হয়েছি। এখন পিছিয়ে আসার সুযোগ নেই। দলকে দেওয়া চিঠিতে তা উল্লেখ করেছি। এটাই আমার শেষ নির্বাচন।
গত ১১ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান সিলেট-৩ আসনের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কয়েসের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন শফি আহমদ। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির পর ২০০১ সালে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। তবে ২০০৮ সালে কয়েসের কাছে পরাজিত হন। ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথম তিনি এমপি হয়েছিলেন বলে জানান শফি আহমদ। জীবনের শেষ নির্বাচনও 'স্বতন্ত্র প্রার্থী' হিসেবে লড়বেন তিনি।
গত ১৫ জুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিলেট-৩ আসনের রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন শফি চৌধুরী রাতেই দলের সিদ্ধান্ত অমান্য ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের জন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি।