কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন বিলুপ্ত কমিটির যুগ্মমহাসচিব আলোচিত নেতা মামুনুল হক।
মামুনুল হককে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে সোমবার (৭ জুন) রাজধানীর খিলগাঁও চৌরাস্তায় মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটিতে জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির ও নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিব করে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে হেফাজতে ইসলাম।
এছাড়াও এই কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী সহ অনেকেই।
আরও পড়ুন: হেফাজতের নতুন কমিটি ঘোষণা
আগের কমিটিতে শায়খুল হাদিস আজিজুল হকের ছেলে মামুনুল হক হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব পদ ছাড়াও ছিলেন ঢাকা মহানগর কমিটির সেক্রেটারি। গত নভেম্বরে এক ধর্মীয় সভায় রাজধানীর ধোলাইখাল থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণের হুমকি দিয়ে আলোচনায় আসেন মামুনুল।
গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টি করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা তিন মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মামুনুল হককে। এরপর ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে তার নারী কেলেংকারি ইস্যুতে ভাঙচুর ও নাশকতার আরো দুইটি মামলায়ও প্রধান আসামি মামুনুল হক।
এছাড়া, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগে গত ৩০ এপ্রিল মামুনুলের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনটি গড়ে তোলেন কওমী মাদরাসাকেন্দ্রিক ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব শাহ আহমদ শফী।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর আহমদ শফী মারা যান। এরপর ১৫ নভেম্বর প্রতিনিধি সম্মেলন করে হেফাজতে ইসলামের ১৫১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আমির নির্বাচিত হন আগের কমিটির মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী। আর নতুন মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন নূর হোসাইন কাসেমী, যিনি গত ১৩ ডিসেম্বর মারা যান।